শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
পাইলটিং প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক স্তরের ১২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম (টিএফপি)’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি ওয়েবসাইটে টোটাল ফিটনেস প্রোগামের মূখ্য সমন্বয়ক ও উপ-পরিচালক (বিশেষ শিক্ষা) সৈয়দ মইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বিবৃতিতে নির্দেশনা ঘোষণার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২৫ জানুয়ারি।
টিএফটি বাস্তবায়নে প্রকল্পের পাইলটিং ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে সব জেলার একটি সরকারি বালক ও একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন হবে।
এ সংক্রান্ত প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষক/শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘টোটাল ফিটনেস প্রোগ্রাম (টিএফপি)’ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাইলটিং ভিত্তিতে সব জেলার একটি সরকারি বালক ও একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ১২৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা নিম্নোক্ত নির্দেশনা অনুযায়ী আয়োজনের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’’
নির্দেশনাগুলো হলো :
- জেলা শিক্ষা অফিসাররা স্থানীয় সমন্বয়ক এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসাররা সহকারী স্থানীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা কর্মশালা আয়োজনের ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন এবং প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
- প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেতৃত্বে সব শিক্ষক স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজনে সহযোগিতা করবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা এ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনার আলোকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাস্তবায়ন করবেন)।
- প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে।
- প্রতিষ্ঠানগুলো স্ব স্ব ভেন্যুতে কর্মশালার আয়োজন করবে।
- স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকরা এ কর্মশালা পরিচালনা করবেন। ইতোমধ্যেই জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকদের নাম ও ফোন নম্বর সম্বলিত তালিকাপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
- সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এর আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষকদের টিম লিডারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন এবং কর্মশালার তারিখ, দুই জন প্রশিক্ষকের নাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে যাবতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করবেন।
- ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যেকোনো একদিন দিবসব্যাপী (সকাল ৯টা বিকেল ৫টা) কর্মশালাটি আয়োজন করতে হবে। এই সময়কালের মধ্যে যেকোনো শুক্রবার/শনিবার কিংবা অন্যকোনো বন্ধের দিনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত করা যেতে পারে।
- প্রতিষ্ঠান প্রধানরা পরবর্তীতে কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের সুবিধার্থে বা প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য প্রশিক্ষক ও অংশগ্রহণকারীদের সংযুক্ত করে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলবেন।
- অঞ্চল পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য বালক বিদ্যালয়ের কর্মশালায় মাউশির অঞ্চল, জেলা ও নির্বাচিত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট মহানগর থানা/উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (অঞ্চলের পরিচালক বিষয়টি নিশ্চিত করবেন)।
- জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিতব্য বালক বিদ্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মাউশির জেলা ও নির্বাচিত বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সদর উপজেলা/থানা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এবং প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন (জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন)।
- ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখের মধ্যে সব জেলা শিক্ষা অফিসার, কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তা, শিক্ষক ও প্রশিক্ষকের তালিকাপত্রে সংযুক্ত ‘প্রতিবেদন ছকে’ tfp.dddshe@gmail.com মেইলে প্রেরণ করবেন।
- যেকোনো তথ্য/পরামর্শের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানরা সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। প্রয়োজনে জেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে।
- এ কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক পরিচালক, উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এবং সার্বিক বিষয়ে তদারকি করবেন।
/এসএস/মনেরখবর/