সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে আলোচনা, র্যালী ও পুরস্কার বিতরণী

র্যালী ও পুরস্কার বিতরণী

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের সাইকিয়াট্রি বিভাগের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে র‍্যালীর মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু হয়।

‘কর্মের মাধ্যমে আশার সঞ্চার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দিবসটি পালনে দিনব্যাপী আলোচনা সভা, র‍্যালী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ ডা. এবিএম মাকসুদুল আলম।

সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. জিল্লুর রহমান খান এর সঞ্চালনা ও উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রি (বিএপি) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. মো. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, ডা. মো. খলিলুর রহমান, ডা. মো সাইদুজ্জামান ও ডা. মো. তারিকুল আলম।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জোবায়ের মিয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারিবারিক নির্যাতন, কলহ, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষা ও প্রেমে ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, প্রাত্যহিক জীবনের অস্থিরতা, নৈতিক অবক্ষয় এবং মাদক ইত্যাদি কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আত্মহত্যা প্রবণতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে দশম উল্লেখ্য করে বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আজ এই দিবস পালিত হচ্ছে। যাতে আত্মহত্যা প্রতিরোধে নাগরিক মনে সচেতনতা তৈরী করা যায়। তবে শুধু বিশেষ দিবস অনুষ্ঠান নয়, বরং আত্মহত্যা প্রতিরোধে সারাবছরই কাছের মানুষদের ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।

উল্লেখ, বিশ্বে আত্মহত্যা প্রতিরোধে ২০০৩ সাল থেকে প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা দিবসটি পালন করে আসছে। ২০০৩ সাল থেকে দিবসটি পালন করা শুরু হলেও ২০১১ সালে প্রায় ৪০টি দেশ এই দিবসটি উদযাপন করে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর কমপক্ষে ১৩ হাজার থেকে ৬৪ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। গত এক যুগে প্রকাশিত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে আত্মহত্যায় মৃত্যুহার প্রতি লাখ মানুষে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৬ জন।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleআত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবসে বিএসএমএমইউতে বৈজ্ঞানিক সেমিনার
Next articleআত্মহত্যা প্রতিরোধ সচেতনতায় বিএসএমএমইউতে নানা আয়োজন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here