সিলেটে ‘ওসিডি’র প্রাদুর্ভাব শীর্ষক গবেষণা : ডাটা কালেকশন সম্পন্ন

সিলেটে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে  ‘ওসিডি’র প্রাদুর্ভাব শীর্ষক গবেষণার ডাটা কালেকশন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। গত ২১ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে।

‘Prevalence of OCD among 1st year medical students’ শিরোনামের এই গবেষণাটি পরিচালিত হচ্ছে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে। এতে সিলেট বিভাগের তিনটি সরকারি এবং চারটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।

গবেষণার চীফ ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করছেন সিওমেক এর মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আর কে এস রয়েল এবং কো ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করছেন সিলেট বিভাগের স্বনামধন্য আরো ১৪ জন সাইকিয়াট্রিস্টস।

গবেষণার সার্বিক এ আয়োজনে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে কাজ করছে জেনারেল ফার্মা লিমিটেড এবং মিডিয়া পার্টনার হিসেবে মনের খবর।

জানা যায়, প্ল্যানিং, প্রটোকল এবং ইথিকাল এপ্রুভাল এর জন্যে গত তিন মাস বিভিন্ন সময়ে টিমভিত্তিক কার্যক্রম চলে। পরে ২১ আগস্ট ডাটা কালেকশন এর কাজ শুরু হয়। ওইদিন পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এবং জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেলে ডাটা কালেকশন এবং সচেতনতা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

এখানে যথাক্রমে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন এবং ডাটা কালেকশন সেশন পরিচালনা করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের এমডি রেসিডেন্সি কোর্সের ফেইজ বির চিকিৎসক ডা.শুভ্র তুষার সিংহ, ডা.মোঃ মাহমুদুল হাসান এবং ডা. রাহাত ইমাম।

এই তিন প্রতিষ্ঠানে যথাক্রমে দুইজন করে সাইকিয়াট্রিস্ট কো ইনভেস্টিগেটর হিসেবে কাজ করেন। তারা হলেন প্রফেসর ডা. সুস্মিতা রয়, প্রফেসর ডা. দিপ্রেন্দ্র নারায়ন দাস, প্রফেসর সিদ্ধার্থ পাল, ডা.মোঃ সাইদ ইনাম, ডা.শফিউল ইসলাম খালেদ, ডা. মোঃ মুবিন উদ্দিন।

পরে ২৩ আগস্ট সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল, ২৪ আগস্ট হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং ২৫ আগস্ট সুনামগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে এবং সিলেটের নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজে এই কার্যক্রম চলে।

সিগমেক এর সেশন পরিচালনা করেন, রেসিডেন্সি কোর্সের চিকিৎসক ডা.ইমদাদুল মাগফুর সেশন পরিচালনা করেন। এসময় সিওমেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা.শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী এ সময় সাইকিয়াট্রি বিভাগের এই কাজকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।

এছাড়াও ডা. কাকন কুমার দে, ডা.আহমেদ রিয়াদ চৌধুরী, ডা.আব্দুল্লাহ সায়িদ, ডা. সুচিত্রা তালুকদার, ডা.মোঃ সাইদ এনাম, ডা.অনামিকা চৌধুরী সংশ্লিষ্ট ভেন্যুতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনসহ নানা কার্যতক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও সিনিয়র রেসিডেন্ট ডা. মোঃ রাহাত ইমাম ডা.আব্দুল্লাহ মামুন, ডা.মাহবুবর রহমান মিতুল, ডা.ইকবাল ভুইয়া, ডা.মেহেরাজ শারমিন, ডা.নিগার সুলতানা, ডা.প্রজ্ঞা এবং এফসিপিএস পার্ট ২ ট্রেইনি ডা.মিসবাহ সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত ছিলেন।

/এসএস/মনেরখবর/

Previous articleবাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার : বিষণ্ণতা ও উৎফুল্লতাজনিত রোগ
Next articleপ্রবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here