প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে রেটিনা দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে বাংলাদেশে এবারই প্রথম পালিত হয়েছে দৃষ্টি সচেতনতার এই দিবস। ‘রেটিনা সম্বন্ধে জানুন, দৃষ্টি সুরক্ষিত রাখুন’ শীর্ষক স্লোগানে দিবসটি পালন করেছে ‘বাংলাদেশ ভিট্রিও-রেটিনা সোসাইটি’।
এ উপলক্ষ্যে রোববার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিল্টন হলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রোববার রাত ৮টায় মনের খবর টিভিতে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার হয়।
‘বাংলাদেশ ভিট্রিও-রেটিনা সোসাইটি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জিয়াউল আহসান এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএসএমএমইউ এর উপ-উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমী অফ অফথালমোলজীর প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট অধ্যাপক আভা হোসেন এবং বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ সাঈদ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোসাইটির মহাসচিব ডা. তারিক রেজা আলী।
সোসাইটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুজহাত চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউভিয়া সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ শফিকুল ইসলাম, গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক হাসান শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বাংলাদেশ সোসাইটি অফ ক্যাটারেক্ট এন্ড রিফ্রাকটিভ সার্জনস-এর সভাপতি অধ্যাপক জাফর খালেদ এবং বাংলাদেশ একাডেমী অফ অফথালমোলজীর অনারারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর।
আলোচনা সভায় বক্তারা রেটিনার বিভিন্ন রোগ ও তার সমাধানে করণীয় তুলে ধরেন এবং রেটিনার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও প্রতিবৎসর রেটিনা পরীক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া অপরিণত শিশুর সঠিক সময়ে চক্ষু পরীক্ষা করার ওপর জোর দেন।
অনুষ্ঠানে একটি নবজাতক শিশুর মা তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পেলে তার শিশু নিশ্চিত অন্ধত্ববরণ করত। আরেক জন ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথী আক্রান্ত রোগীও তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।
রেটিনা হলো চোখের একেবারে ভিতরের একটি পাতলা পর্দা যার উপর আলো পড়লে আমরা দেখতে পাই। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল পর্দা। রেটিনা খুবই পাতলা হলেও দশটি স্তরে তৈরী। নানারকম শারীরিক সমস্যা ও চোখের সমস্যায় রেটিনা আক্রান্ত হয়। রেটিনা ক্ষতিগ্রস্থ হলে যে কোনো ব্যক্তির সম্পূর্ণভাবে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়।
/এসএস/মনেরখবর/