মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে পরিবারের সদস্যদের মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় সচেতনতার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। এছাড়া আগামী অর্থবছরের বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্ধ বাড়ানার চেষ্টা করা হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের বলরুমে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওয়ার্ল্ড মেন্টাল হেলথ রিপোর্ট-২০১৯ এবং ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ স্ট্রাটেজিক প্লান ২০২০-৩০ এর অগ্রগতি অবহিতকরণ উপলক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য সেবাবিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসাইন হাওলাদার এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারের মেন্টাল হেলথ কনসালটেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক এমপি আরো বলেন, মানসিকভাবে যদি কাউকে সুস্থ রাখতে না পারি তাহলে সে শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এর প্রভাব পড়বে আমাদের পরিবার ও সমাজে। এজন্য মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে।
পুতুলকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে অটিজম সম্পর্কেও এক সময় কেউ জানতো না৷ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং সেবা অনেকদূর এগিয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে নানা স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার এ অবদানের জন্য আমরা তাকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।
আমরা বলবো না খুব বেশি ব্যবস্থা নিতে পেরেছি কিন্তু আমরা এটা উপলব্ধি করতে পেরেছি মানসিক অসুস্থতা সুস্থ থাকার অন্তরায়। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছি এবং কার্যকর উদ্যোগ শুরু করতে পেরেছি।
মন্ত্রী বলেন, দারিদ্রতা, জটিল কোনো শারীরিক রোগ, বিবাহ বিচ্ছেদ, বিভিন্ন দুর্ঘটনাসহ নানা কারণে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়। অনেকে ডিপ্রেশনে ভোগে কিন্তু সে নিজেই সেটা জানে না। পরিবারের অন্যান্য স্বজনরাও জানে না।
এই অসচেতনতা ছাড়াও প্রচলিত নানান কুসংস্কার মানিসকরোগ চিকিৎসা গ্রহণে ব্যাপক গ্যাপ তৈরি করেছে। এরজন্য আমাদের সবাইকেই সচেতন করতে হবে।
সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, ব্রি.জে. (অবঃ) অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম, অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব, ডা. তারিকুল আলম, ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ এবং অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের (এনসিডিসি) পরিচালক ডা. মো. রোবেদ আমিন প্রমুখ।
/এসএস/মনেরখবর/