মাদকাসক্তি চিকিৎসায় এনআইএমএইচে এডিকশন সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ড

মাদকাসক্তদের চিকিৎসায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (এনআইএমএইচ) এডিকশন সাইকিয়াট্রি বিভাগের তত্ত্বাবধানে স্বতন্ত্র এডিকশন সাইকিয়াট্রি ওয়ার্ড চালু হয়েছে।

সম্প্রতি এ ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক, অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

গত ২৪ জানুয়ারি শনিবার বেলা ১২টায় এডিকশন সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক, ডা. অভ্র দাস ভৌমিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এনআইএমএইচের উপ-পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক, ডা. মোহাম্মদ তারিকুল আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ খান।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, মাদকাসক্তি, মস্তিষ্কের একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। মাদকের ব্যাবহার মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের উপর ( যে অংশগুলো reward, stress ও self-control নিয়ন্ত্রণ করে) নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সারা পৃথিবীতেই মাদকাসক্তি চিকিৎসা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। তবে এর বৈজ্ঞানিক চিকিৎসায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি সাইকোলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার ও অভিভাবকদের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়।

আমাদের দেশে মাদকাসক্তির যে মহামারী চলছে তা সচেতন মানুষ মাত্রই অবগত। কিন্তু মাদকাসক্তির বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার ক্ষেত্র এ দেশে খুবই সীমিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাদকাসক্তির চিকিৎসার নামে অপেশাদার ব্যক্তিদের দ্বারা অবৈজ্ঞানিক ও অনেক ক্ষেত্রে পাশবিক চিকিৎসা চলে আসছে। মানসম্পন্ন রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার গুলোর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অধিকাংশ মানুষের সাধ্যের বাইরে। তাই জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এই নতুন ওয়ার্ড উদ্বোধনের ফলে দেশের জনগণ বিশেষ করে স্বল্প আয়ের জনগণের বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা লাভের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হলো। প্রত্যাশা এই যে, এই সুযোগের উত্তরোত্তর সম্প্রসারণ হবে এবং এর মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক মাদকাসক্ত রোগী চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে। মাদকমুক্ত, সুস্থ, স্বাভাবিক ও সম্ভাবনাময় জীবনের আস্বাদ লাভ করবে।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, এডিকশন সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ, ডা. জহির উদ্দিন, ডা. শাহানা পারভীন, ডা. জিনাত ডি লায়লা, সাইকিয়াট্রিক সোশ্যাল ওয়ার্কার জামাল উদ্দিন এবং ইনস্টিউটের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতলের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

Previous article‘মথুরানাথ মুখার্জি’ পুরস্কার পেলেন ‘এসপিএফ’ প্রেসিডেন্ট গৌতম সাহা
Next articleঅপেক্ষা করতে শেখার গুরুত্ব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here