শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসিক স্বাস্থ্য বাতায়ন চালু করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে ‘তোমাকেই শুনছি’ নামে বাতায়নের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
বিষন্নতা, উদ্বিগ্নতা, মানসিক চাপ ও আত্মহত্যার চিন্তা প্রতিরোধে ‘মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট এইড” প্রকল্পের আওতায় (যবিপ্রবি) এই মনোস্বাস্থ্য বাতায়ন চালু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাস্থ্য বাতায়নে যোগাযোগের জন্য ব্যানার টাঙানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ‘মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট এইড’ প্রকল্পের প্রশ্নপত্র নিরূপণ, পদ্ধতি ও পাইলট প্রকল্পের ফলাফল প্রকাশনা বিষয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রকল্প প্রধান ও ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের প্রভাষক ডা. কাজী মো. এমরান হোসেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত NAAND-এর কাউন্সিলিং সাইকোলজিস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটি সবচেয়ে বড় ও একমাত্র ‘কোহট’ গবেষণা যাতে শুধু মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা চিহ্নিত করাই নয়, তার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি গবেষণার স্ক্রিনিং-এর পাশাপাশি একটি স্বল্প-পরিসরে সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীদের সমন্বয়ে এ প্রকল্পের অধীনে একটি ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র’ চালু করার সুপারিশ প্রস্তাব করেন।
তিনি বলেন, এ সেবা কেন্দ্রে এবং গবেষণা কার্যক্রমে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এবং সরকার বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা প্রকাশ করেছে তা বাস্তবায়নেও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অস্ট্রেলিয়ার লা’ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. মোহাম্মদ আলী গবেষণার পদ্ধতি বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, এটি শুধু গবেষণা নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত একটি সেবা, যা সকলের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য এ সেবায় গ্রহণে তাদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মার্কেটিং বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, নিয়মিতভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা জরুরি। ইংরেজি বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, নিয়মিতভাবে এ প্রকল্পের অগ্রগতি ও কার্যক্রম নিয়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছোট ছোট সভা পরিচালনা করা যেতে পারে।
ফিজিওথারপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সহ-প্রধান অঞ্জন কুমার রায়, প্রকল্পের সদস্য ডা. মো. জাহিদ হোসেন, ডা. এহসানুর রহমান, ডা. কবীর হোসেন ও আহমাদুল্লাহ-হিল-গালিবসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সকল বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধি, ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
/এসএস/মনেরখবর/