মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতে ইতিবাচক চিন্তা জরুরী

0
74

পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট কিংবা চাকরী বা ব্যাবসায় মন্দা অবস্থায় অনেকাংশে পাশে থাকে না পরিবার বা বন্ধু স্বজন। আর এই দুঃসময়ে নিসঙ্গতায় হতাশায় ভোগে সমাজের চোখে সাময়িকভাবে ব্যর্থ ব্যক্তি। ফলে হতাশা থেকে জন্ম নেয় মানসিক সমস্যা। কখনো কখনো এটা চূড়ান্ত পর্যায়ে আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ করে।

অথচ মানুষের সব থেকে বেশি সঙ্গ প্রয়োজন তার দুঃসময়ে। এই সময় পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবের মানসিক সাপোর্ট ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে যে কাউকে। বাঁচাতে পারে মানসিক সমস্যা থেকে। কিন্তু আমাদের সমাজে দিন দিন এ সমস্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। আর এই সমস্যা বাড়ছে অধিক লোভ আর প্রত্যেকেই সেলফিস হয়ে ওঠার কারণে।

এটাও পড়ুন…
পরিবারে কম সন্তান শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরী করে : গবেষণা

সামাজিক এই প্রবণতা রুখতে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সামাজিক সংগঠন ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি অপটিমিসটিক সোসাইটি’ (ডিইউওএস)। পজিটিভিটি, হ্যাপিনেস এবং মেন্টাল হেলথ এই তিনটি বিষয় নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সময় ক্যাম্পেইন, সেমিনারের আয়োজন করে থাকে তারা। বিশেষ করে প্রতি বছর ভর্তি পরীক্ষার সময় তারা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ইতিবাচক বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে লিফলেট, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড তৈরী করে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেয় তারা। অনেক অভিভাবক সন্তানের পরীক্ষায় সফলতাকে এতো বড় করে দেখেন যার কারণে সন্তান মানসিক চাপে ভোগে। ফলে পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ হলে সন্তান হতাশায় ভোগে এমনকি আত্মহত্যা পর্যন্ত করে বসে। প্রায়ই এরকম ঘটনা আমরা গণমাধ্যমে দেখি। এই প্রবণতা রুখতে সংগঠনটির স্লোগান ‘পরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফলই শেষ কথা নয়, সফলতা আসতে পারে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত’। ‘একটা দিন খারাপ যেতে পারে, জীবনটা নয়’, সন্তানের পাশে থাকুন সফলতায়, এবং অবশ্যই ব্যর্থতায়’ এরকম চমৎকার চমৎকার স্লোগানে ইতিবাচক চিন্তা প্রসারে কাজ করছে সংগঠনটি।

এ বিষয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১০-১১সেশনের মুখলেসুর রহমান মাহিন। তিনি জানান ২০১৮সালের ২৮নভেম্বর ‘পজিটিভিটি ব্রিংস হ্যাপিনেস’ স্লোগানকে ধারণ করে যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি।

খলেসুর রহমান বলেন, পজিটিভিটি, হ্যাপিনেস এবং মেন্টাল হেলথ—এই তিনটি বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও আমরা এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, সেমিনারের আয়োজন করে থাকি।  আমরা বিভিন্ন দিবসেও হ্যাপিনেস ক্যাম্পেইন করি যেমন, একুশে ফেব্রুয়ারি, বই মেলা, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার সময়ে হ্যাপিনেস রিলেটেড প্ল্যাকার্ড তৈরি করে আমরা ক্যাম্পেইন করে থাকি।

শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে তাদের এই কার্যক্রম বলে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমরা চাচ্ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে সুস্থ থাকুক। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করে তুলতেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা। আমাদের এখানকার প্ল্যাকার্ডগুলো এমনভাবে বানানো হয় যেন সেটা মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘস্থায়ীভাবে গেঁথে যায়।

সংগঠন সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, একজন শিক্ষার্থী কিংবা সন্তান একটি পরিবারের স্বপ্ন। স্বপ্ন নিয়েই তার পথচলা। তাই স্বপ্ন পূরণে সর্বদা পাশে থাকা পরিবারের সকল সদস্যের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কেননা স্বপ্নের সাফল্য পরিবারের সবাই উপভোগ করবে। সুতরাং সাফল্যের সাথে সাথে ব্যর্থতার ভাগও পরিবারকে নিতে হবে। অন্যথায় যে কোনো ধরণের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে যে কারোর সঙ্গে।

আরো পড়ুন…
ওসিডি হলে করণীয় কী? : (চতুর্থ ও শেষ পর্ব)

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

/এসএস

Previous articleপরিবারে কম সন্তান শিশুর মানসিক সমস্যা তৈরী করে : গবেষণা
Next articleহার্ট এটাকের কারণ হতে পারে মানসিক চাপ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here