‘মানুষ কেবল তাদের শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়েই সিরিয়াস, কিন্তু তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়ে তেমন ভাবনা নেই।বালাদেশে নারী ও তরুণ-তরুণিসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। আমরা বিভ্রান্তি, মানসিক আঘাতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু বাস্তবতা মেনে নিতে চাই না। অথচ মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
সম্প্রতি একটি গবেষণা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমরা জানি যে আমরা অশান্তির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি কিন্তু আমরা এটা স্বীকার করি না বা এটা নিয়ে কথা বলি না। অনেকেই বুঝতে পারছেন সমস্যা আছে, কিন্তু চিকিৎসার সাহায্য নেন না।
তিনি বলেন, যখন আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন আমরা হাসপাতালে ছুটে যাই, কিন্তু আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে গুরুত্ব দেই না। আমরা একজন সাইকিয়াট্রিস্ট বা থেরাপিস্টকে দেখাতে নারাজ। আমাদের বাচ্চারা ডিভাইসে আসক্ত কিন্তু আমরা সমস্যাগুলি সম্পর্কে কোনো থেরাপিস্টের সাথে পরামর্শ করছি না। আমরা ভয় করি যে আমরা যদি আমাদের সন্তানদের একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাই, লোকেরা সমালোচনা করবে এবং বলবে তারা পাগল হয়ে গেছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং এই সামাজিক সমস্যাটিকে খুব যত্ন সহকারে বিবেচনা করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সামাজিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে প্রয়োজনে থেরাপিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়ারও পরামর্শ দেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১০ অক্টোবর) বালিকা দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশে যুব জনগোষ্ঠীর মধ্যে জেন্ডার নর্মস অ্যাক্টিউড এক্সপ্লোরিং এ্যাটিটিউড টুড দ্য ইয়ুথ পপুলেশন ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামের এক গবেষণা উপস্থান অনুষ্ঠান আয়োজন করে ব্র্যাক।
/এসএস/মনেরখবর/