ফ্লোরিডা তে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর রাষ্ট্রীয় বাজেট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কিছু দ্বিদলীয় আইনজীবি বৃহষ্পতিবারে খুব নাটকীয়ভাবে মানসিক স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার পেছনে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য এক আইনসভা করেন। যদিও এই বরাদ্দ অর্থ রাষ্ট্রের কাছেই ঝুলে থাকে। এই ঝুলে থাকা অর্থ সঠিক ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যবহারের জন্যই এই আইন্সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এই রাষ্ট্রের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ খুব ই কম। র্যাংকিং এর ক্ষেত্রে একদম নিচের দিকেই থাকে। ২০১৬ সালে মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি ভাল রকমের পরিবর্তন আসে, ব্যবস্থার এই পরিবর্তনের পর আইনজীবি রা বলেন মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় এবং এর চিকিৎসায় নজরে পড়ার মত উন্নয়ন আনতে হলে একমাত্র ফান্ড গঠন করা ছাড়া কোন উপায় নেই।
রাষ্ট্রের এক প্রতিনিধি, রাজ্যপাল কেথলীন পিটার বলেন, “আমরা মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থায় উন্নতির পথে শুধু একটি অংশের অভাব, আর সেই অংশটি হল ফান্ড গঠন করা”। আর-সাউথ পেসাডেনা বলেন, “রাজ্যপাল যা বলেছেন তা একদম সঠিক যে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ফান্ড বাড়াতে হবে, যা আছে তা যথেষ্ঠ নয়। অবশ্যই যা আছে তা যথেষ্ঠ নয়”।
স্কট প্রত্যেক বছরে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা এবং চিকিৎসার অপব্যবহার কমাতে বার্ষিক ২৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের বাজেট উত্থাপন করেন। তার বাজেট আগের বার্ষিক বাজেটের চাইতে ৫ মিলিয়ন ডলার বেশি। মানসিক স্বাস্থ্য সেবা খাতে নতুন যন্ত্রপাতি এবং নতুন সেবা কেন্দ্র তৈরীর জন্য আগের বছরের তুলনায় এই অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দের দাবি স্কট এর।
সিনেটর রেনে গারসিয়া আর- হিয়ালিয়াহ বলেন, “সবশেষে বরাদ্দকৃত অর্থের হিসেব করা হলে জাতীয়ভাবে আমরা ৪৯ তম অবস্থানে আছি। তার মানে আমরা অনেকদিন ধরেই মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবহেলা করে এসেছি”। আর এমন ফান্ড না করা মানে হচ্ছে যারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে অথবা যাদের খুব কাছের কেউ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগে এবং তারা যখন মনে করে তাদের সাহায্যের দরকার তারা তা পায় না।
আর এমনটি হয়েছে সেন্ট অগাস্টিন এর রিক এবং কেথলীন মারকুইস এর ছেলের সাথে যার পরীক্ষা নিরীক্ষার পর স্কিজোফ্রেনিয়া ধরা পড়েছিল। মারকুইস পরিবারকে নিজেদের তাদের ছেলের যত্ন নিতে হয়েছিল। কারণ হাসপাতাল গুলো ছেলেটির মানসিক পরিস্থিতির অবনতির পর তাকে হাসপাতালে রাখতে চায় নি। রিক মারকুইস বলেন, “আমি এবং আমার মত যারা অথবা যেসব পরিবার রয়েছে তাদের একটি ভয়ংকর প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা যখন থাকব না তখন কে থাকবে আমাদের এই অসুস্থ আপনজনদের দেখাশুনা করার জন্য”?
পিটার বলেন, “যদি রাষ্ট্র ভাবে যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাহলে দেখা যাবে অনেক জমানো অর্থ পাওয়া যাচ্ছে, এখন রাষ্ট্র বুঝতে পারছে না তাদের এই মুখ বন্ধ করে রাখা ধীরে ধীরে কতটা ভয়ংকর রুপ নিচ্ছে। এখন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা এবং নানা অপব্যবহারের কারণে অসুস্থ মানুষের সংখ্যা হাসপাতালের চাইতে রাষ্ট্রীয় জেলখানায় বেশি। এসব অপরাধীদের বিচার করার পাশাপাশি জরুরিভাবে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা উচিৎ। বিচার করার চাইতে চিকিৎসা এবং রোগ প্রতিকারের জন্য ফান্ড তৈরী করা জরুরি”।
পিটার আরো বলেন, “অনেক দেরি হয়ে গেছে, আমরা যদি এখন এই দিকটায় একটু ভালভাবে নজর দেই তবে এর ফলাফল সবক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে। এই দিকটায় একটু নজর দেয়া এখন অন্য সবদিকে বিনিয়োগ করার মত”। তিনি আরো বলেন, “আমরা হৃদরোগের জন্য ফান্ড তৈরী করেছি, আমরা ক্যান্সারের জন্য ফান্ড তৈরী করেছি। আমরা জানি এই প্রতিকার কিভাবে কাজ করে কিন্তু আমরা প্রতিকারের ব্যাপারে কথা বলছি না, এমনকি আমরা প্রতিকার ব্যাপারটিকে উৎসাহিত পর্যন্ত করছি না। আমরা শুধু সমস্যা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করছি”।
তথ্যসূত্র-
(http://www.tampabay.com/blogs/the-buzz-florida-politics/mental-health-crisis-demands-more-state-money-lawmakers-urge/2315994)
রুবাইয়াত মুরসালিন, আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মনেরখবর.কম