গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের গজারিয়াপাড়ায় অবস্থিত আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে দিনব্যাপী রিকভারি মিলন মেলা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের অঙ্গসহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই মিলন মেলা আয়োজন করা হয়। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দিনব্যাপী চলা এ আয়োজনে শতাধিক রিকভারি রোগী ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (নিরোধ শিক্ষা, গবেষণা ও প্রকাশনা অধিশাখা) মো. মাসুদ হোসেন, পিপিএ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—
- শাহিন মাহমুদ, সহকারী পরিচালক, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গাজীপুর
- ছবদের হাসান, কাউন্সিল পদপ্রার্থী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, ২২ নং ওয়ার্ড
- ডা. নায়লা পারভীন, সহকারী পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস), ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর
- আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন জিহাদী, সমাজসেবক
মাদকাসক্তি নিরাময়ে ২০ বছরের সফলতা
বক্তারা বলেন, গত ২০ বছরে আহ্ছানিয়া মিশন মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র অগণিত মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে সহায়তা করেছে। এই কেন্দ্র শুধু চিকিৎসাই নয়, রোগীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও পুনর্বাসনের সুযোগও প্রদান করে।
এতে তিন ধরনের রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়:
- মাদক নির্ভরশীল ব্যক্তি
- আচরণগত সমস্যা ও আসক্তি
- মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত রোগী
চিকিৎসা সেবার সুযোগ ও রিলেপ্স ব্যবস্থাপনা
কেন্দ্রটি ছয় মাস মেয়াদী চিকিৎসা সেবা প্রদান করে, তবে যারা চিকিৎসা সম্পন্ন করার পর পুনরায় আসক্ত হয়ে পড়েন, তারা তিন মাস মেয়াদী রিভিউ চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন। যারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন, তারা বছরে ১২ দিন বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও কাউন্সেলিং সুবিধা পান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট রাখী গাঙ্গুলীর সঞ্চালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, রিকভারি রোগী ও তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা
এই কেন্দ্র আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মাদকাসক্তদের পুনর্বাসন করে। রোগীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিতের পাশাপাশি কাউন্সেলিং ও দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
এই মিলন মেলা পুনর্বাসিত ব্যক্তিদের জন্য অনুপ্রেরণার জায়গা তৈরি করেছে এবং সমাজে তাদের পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ তৈরি করছে।
আরও পড়ুন-