চিঠি : আসসালামু আলাইকুম। আমার বোনের বয়স ১২ বছর। ওর এপিলেপ্সি আছে এবং নিউরোলজিস্ট ডাক্তারের ট্রিটমেন্ট এ আছে। ১১ বছর বয়সে ওর এপিলেপ্সি ধরা দিয়েছে। ওর সমস্যা হচ্ছে ও কিছুতেই কোনো পড়াশোনা মাথায় নিতে পারে না। কিছুই বুঝতে পারে না, সব সময় পরীক্ষায় শূন্য পায়।
- এমনকি একটা অতি নরমাল পড়া অনেকবার পড়ানোর পরও সে পারছে না। চেষ্টা সেও করে, কিন্তু কিছুতেই পারে না, তবে লিখতে পড়তে পারে।
এমন নয় যে ও অনেক দুষ্ট বা চঞ্চল। ও বেশ স্বাভাবিক। ইদানীং বেশ বোকা বোকা আচরণ প্রকাশ পাচ্ছে, ক্লাসে সহপাঠীদের থেকেও বুলিং এর স্বীকার হচ্ছে। বুলিং এর কারণে সে বেশ আপসেট হয়ে পড়ে। একদিন স্কুলে অসুস্থ হয়েও পড়েছিলো। দিনদিন যেন বাচ্চা হয়ে যাচ্ছে। কী কারণে এমন হতে পারে? এবং এই অবস্থায় আমাদের কী করা উচিত?
-আনিকা তাহসিন
পরামর্শ : আপনার বোনের ১১ বছর বয়স থেকে হঠাৎ করে কী যেন শুরু হয়েছে। এটা একেবারেই যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় জন্ম থেকেই শুরু হতে পারে। এরকমটা হয়নি। তার মানে কোনো একটা সমস্যা নিশ্চয়ই হয়েছে ১১ বছর বয়সে। আপনার যাকে দেখিয়েছেন তিনি নিশ্চয়ই কারণটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন এবং সেমতেই ঔষধ দিয়েছেন। যদি কোনো কারণে মনে হয় যে, কারণটা বের করা যায়নি; অনেক সময় এরকম হয় যে কারণটা বের করা কঠিন। তবে কারণ খোঁজার জন্য ডাক্তারকে আপনার হেল্প করতে পারেন বা বলতে পারেন পেছনের কারন দেখার জন্য।
- আর এখন যে সমস্যা হচ্ছে রোগী কিছু মনে রাখতে পারছে না, পরীক্ষায় খারাপ করছে। এই বিষয়টা নিয়ে একটু গভীরভাবে ভাতে হবে যে, কী ঔষধ তাকে দেওয়া হয়েছে, ডোজ কেমন দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি তার অন্য কোনো রোগ আছে কিনা; এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান চিকিৎসার ঔষধ, ডোজ এবং সাথে অন্য কোনো রোগ আছে কিনা সেটা দেখতে হবে। আমার মনে হয় একজন নিউরোলজিস্ট এর সাথে আলাপ করতে পারেন।
পাশাপাশি এপিলেপ্সি না হয়ে যদি এই ধরণের অন্য কোনো রোগ হয়ে থাকে; এই যেমন কনভার্সন ডিজঅর্ডার নামে একটা রোগ আছে। এধরণের কিছু যদি থাকে তাহলে ঔষধ দিতে হবে। তার আগে আসলে দেখতে হবে কেন সে মনে রাখতে পারছে না, শুধু এপিলেপ্সির কারণে নাকি অন্য কোনো রোগ আছে। সুযোগ থাকলে একজন সাইকিয়াট্রিস্টস এর সাথেও যোগাযোগ রাখতে পারেন।
- পরামর্শ দিয়েছেন,
অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব- সম্পাদক, মনের খবর
অধ্যাপক– মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সেকশন মেম্বার– মাস মিডিয়া এন্ড মেন্টাল হেলথ সেকশন অব ‘ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশন’।
কোঅর্ডিনেটর– সাইকিয়াট্রিক সেক্স ক্লিনিক (পিএসসি), মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
সাবেক মেন্টাল স্কিল কনসাল্টেন্ট – বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট টিম।
এই বিভাগের অন্যান্য লেখা পড়তে ক্লিক করুন এখানে :
প্রতিদিনের চিঠি : আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ঘটে নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা। যা প্রভাব ফেলে আমাদের মনে। সেসবের সমাধান নিয়ে মনের খবর এর বিশেষ আয়োজন ‘প্রতিদিনের চিঠি’ বিভাগ। এই বিভাগে প্রতিদিনই আসছে নানা প্রশ্ন। আপনিও লিখতে পারেন আমাদেরকে। সেজন্য ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ।
মানসিক স্বাস্থ্যের যে কোনো প্রশ্ন/পরামর্শ পেতে চিঠি পাঠাতে পারেন পেজের ইনবক্সে অথবা মেইল করুন monerkhaboronline@gmail.com -ঠিকানায়।
[প্রতিদিনের চিঠি পর্বে দেয়া উত্তরগুলো কেবলমাত্র প্রাথমিক দিকনির্দেশনা। সঠিক ও পূর্নাঙ্গ চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের সাথে সরাসরি কথা বলে চিকিৎসা নিতে হবে।]
- মাসিক মনের খবর প্রিন্ট ম্যাগাজিন সংগ্রহ করতে চাইলে কল করুন : 01797296216 এই নাম্বারে। অথবা মেসেজ করুন পেজের ইনবক্সে। লেখা পাঠাতে পারেন monerkhaboronline@gmail.com বা এই 01844618497 হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে।
/এসএস/মনেরখবর/