সন্তানের মোবাইল গেমস আসক্তি দূর করবেন যেভাবে

0
135

টেকনোলজি যেমন একদিক দিয়ে আমাদের জীবনযাত্রা করে দিচ্ছে অনেক সহজ, তেমনি আবার তৈরি করছে অনেক আজেবাজে সমস্যা। এরই একটি হলো, বাচ্চাদের মোবাইল গেমস আসক্তি। আমরা যেমন কথা বলা, টেক্সট করা বা জরুরি ইমেইল দেখবার জন্য ফোন বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি, বাচ্চারা কিন্তু সেটা করে না। তাদের মূল আকর্ষণ হলো বিভিন্ন গেমস, যেমন ক্যান্ডি ক্রাশ, মাইনক্র্যাফট, ফ্ল্যাপি বার্ড ইত্যাদি। যখন দেখবেন আপনার বাচ্চা বাইরে অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে যাবার বদলে ঘরে বসে গেমস খেলছে, স্কুলে মনোযোগ দিচ্ছে না, এমনকি পরিবারের অন্যদের সাথে বাইরে গেলেও হাতে আইপ্যাড নিয়ে রাখছে সারাক্ষণ, তবে বুঝবেন লক্ষণ খুব খারাপ, আপনার বাচ্চার অনেকটাই আসক্তি হয়ে গেছে মোবাইলের প্রতি। কি করে তার এই আসক্তি দূর করবেন?

১) একা থাকার সময় কমিয়ে দিন
সন্তান যদি একা একা থাকে তবে সে বেশি সময় ধরে গেমসের প্রতি মন দেবে। কিন্তু গেমস খেলার সময়ে যদি পরিবারের অন্যরাও তার আশেপাশে থাকে, তবে সে খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে না এবং একটু একটু করে খেলার প্রতি বিরক্তি এসে যাবে।

২) পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন
অনেক গেমস আছে যেখানে বাচ্চারা আপনার ফোন ব্যবহার করে গেমসের বিভিন্ন পয়েন্ট কিনতে পারে। এ কাজটি যেন তারা না করতে পারে তা নিশ্চিত করতে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখুন। খেলার এসব পয়েন্ট কিনতে না পারলে গেমসের প্রতি বাচ্চার আকর্ষণ কমে আসবে।

৩) সময় বেঁধে দিন
বাচ্চারা যখন একটা গেমস নিয়ে পড়ে আছে, তখন তাকে সময় বেঁধে দিন। কতক্ষণ সে গেমসটা খেলতে পারবে, এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিন। যেমন রাতের খাবারের আগে ১০ মিনিট খেলতে পারবে, এমন নিয়ম করে দিন। এতে তার আসক্তি কমে আসবে।

৪) বেশি সমস্যা হলে কঠোর হন
মনে রাখবেন আপনি তার অভিভাবক এবং আপনার কথাই তার মেনে চলতে হবে। সুতরাং যদি দেখেন বাচ্চা গেমসে বেশি আসক্ত হয়ে গেছে এবং আপনার কোনো নিয়মই মানতে চাইছে না, তাহলে অবশ্যই ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি করতে হবে।

৫) অন্য কোনো দিকে তাদের মনোযোগ সরিয়ে নিন
বাচ্চাদের অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত রাখলে তারা আর গেমস নিয়ে ভাবার সময়ই পাবে না। সে গেমস খেলছে বিরক্তি দূর করার জন্য। আপনি যদি শুধুই তার থেকে ফোন নিয়ে নেন এবং তার করার মতো আর কিছু না থাকে তবে খুব একটা লাভ হবে না। তাদেরকে কোনো একটি খেলা (ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, সাইকেল, সাঁতার, মার্শাল আর্টস) বা কোনো শিল্প (গান, নাচ, বাদ্যযন্ত্র, ছবি আঁকা) শেখার ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দিন।

৬) উদাহরণ স্থাপন করুন
বাচ্চার বাবা-মা নিজেরাই যদি সারাক্ষণ ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তবে বাচ্চাও অবধারিতভাবে সেই অভ্যাস গ্রহণ করবে। সুতরাং বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে হলে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন নামিয়ে রাখুন।

৭) নিজের আচরণ ঠিক করুন
আপনি নিজেই কি দায়ী বাচ্চার এই আসক্তির জন্য? ভেবে দেখুন। অনেক অভিভাবক বাচ্চাকে সময় দিতে চান না। বাচ্চা যখন তাদের সাথে খেলতে চায়, তখন তারা বিরক্ত হয়ে বাচ্চার হাতে ফোন ধরিয়ে দেন। এই কাজটা করা থেকে বিরত থাকুন। বাচ্চাকে সময় দিন। এতে আপনার এবং বাচ্চার, উভয়েরই উপকার হবে।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous article‘ডিভাইস এডিকশন’ হতে পারে আত্নহত্যার কারণ
Next articleমানসিক সমস্যায় ছিলেন যে সকল তারকারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here