‘যেকোন বয়সী মানুষেরই মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা প্রয়োজন’

0
39

‘মনের খবর’ ম্যাগাজিন নিয়মিত মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে চলেছে। মানুষকে এর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে জানানোর চেষ্টা করছে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এর সমাধান নিয়ে সংবাদ প্রকাশ এবং সার্ভিস সেন্টার নিয়ে হাজির হচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছে মানসিক স্বাস্থ্যের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এখন থেকে নিয়মিত সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার পর্ব চালু করেছে ‘মনের খবর’ ম্যাগাজিন।

এবার আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাধারণ গৃহিনী নাজনীন নাহার। ‘মনের খবর’ এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকার দেওয়া হলো-

মনের খবর: কেমন আছেন?

নাজনীন: ভালো চলছে, আলহামদুলিল্লাহ।

মনের খবর: আপনি পেশায় কী করছেন?

নাজনীন: আমি গৃহিনী। আমার দুই সন্তান আছে, বর্তমানে তাদের নিয়ে সংসারে সময় দিচ্ছি। এর পাশাপাশি আমার স্বামী, শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ির দেখাশোনা করছি।

মনের খবর: মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

নাজনীন: মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের জীবনে খুব প্রয়োজনীয় একটা দিক। যেকোন বয়সী মানুষেরই মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা ভীষণ প্রয়োজনীয়। আমার ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে আমার বয়স্ক শ্বশুর কারো ক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা করা উচিত নয়। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা না থাকলে এটা কেবল একজন ব্যক্তি নয় পুরো পরিবারকেই অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।

মনের খবর: মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য আপনার পরিবারে কী রকম পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন?

নাজনীন: প্রথমেই পরিবারের সবার মধ্যেই বন্ধন থাকতে হবে সুদৃঢ়। ছোট-খাটো কোনো বিষয়ের জন্য অকারণে ঝামেলা করা উচিত নয়। আর অবশ্যই মন-মানসিকতায় উদার হতে হবে। সংকুচিত মন-মানসিকতা হলে পারস্পরিক ঝামেলা হওয়ার সুযোগ থাকে। যা আপনার মধ্যে বা পরিবারের অশান্তির বিষবাস্প ছড়িয়ে দিবে। আমার পরিবার নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ আমি সুখী। সংসারে কিছু ঝামেলা থাকবেই। স্বামীর সঙ্গেও কিছু বিষয় নিয়ে মতের অমিল হতেই পারে। কিন্তু সেসব ধরে রাখার মানেই হয় না। বরং মজার খুনসুটিতে সেসব বিষয় হালকা করে নিতে হবে। এছাড়াও পরিবারের সিনিয়রদের প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা থাকলে তাদের থেকে একই হারে ভালোবাসাও পাওয়া সম্ভব। তবে আমার পরিবারে সবচেয়ে বেশি জ্বালায় আমার দুই বাচ্চা। তারা এত দুষ্টামি করে। তবে আশা করি, সময়ের সঙ্গে তারাও শান্ত হয়ে উঠবে।

মনের খবর: আপনার প্রতিবেশীদের মানসিক স্বাস্থ্যের নিয়মিত খোঁজ নেওয়া হয় তো?

নাজনীন: আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি। তবে রাজধানীর বুকে সম্পর্কগুলো অনেকটাই চার দেওয়ালের মধ্যে আটকা। আমরা গ্রামে বড় হয়েছিলাম, সেখানে সবাই যেন একে অপরের কাছে ছিলাম। এমনকি আমার মফস্বল শহরের সমাজের অনেকের সঙ্গেও এখনো নিয়মিত যোগাযোগ হয়। সেই হিসেবে ঢাকায় সবাই কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যদিও আমি আমার চারপাশের মানুষদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করি। তাদের আপদে-বিপদে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এমনকি আমার চারপাশে যারা কিছুটা সুবিধাবঞ্চিত তাদের বিপদে আপদেও পাশে থাকার চেষ্টা করি।

মনের খবর: আপনারা ‘মনের খবর’ ম্যাগাজিন পড়েন কিনা?

নাজনীন: সেভাবে চোখের সামনে না পড়ায় আমার কখনো পড়া হয়নি।

মনের খবর: আমরা ‘মনের খবর’ ম্যাগাজিন, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে থাকি। মানুষের মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা এসব কাটাতে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সার্ভিস সেন্টার চালু করছি।

নাজনীন: নিশ্চয়ই আমি নিয়মিত ‘মনের খবর’ এর সঙ্গে থাকবো। এবং মানুষকেও ‘মনের খবর’ পড়তে উৎসাহিত করবো।

মনের খবর: ধন্যবাদ, আপনার সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগলো।

নাজনীন: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ, এত প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবার জন্য।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন – কামরুল ইসলাম ইমন

করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪

Previous articleবাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভুগেছিলেন সাহিত্যিক ভার্জিনিয়া উলফ
Next articleলতা মঙ্গেশকরের জানা-অজানা কথা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here