শীতকালের সকালের কুয়াশা দেখতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু আপনি কি জানেন, আপনার মস্তিষ্কেও জমতে পারে কুয়াশা। অবাক হচ্ছেন! দীর্ঘ দিনের মানসিক চাপ, হতাশা, অনিদ্রা, টেনশনের জন্য আপনার মস্তিষ্কে জমতে পারে কুয়াশা। মাথা যন্ত্রণা, মেজাজ খিটমিটে হয়ে যাওয়া অথবা মনে হবে মাথায় কেউ একটন ইটের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এসব কিছুই ঘটছে মস্তিষ্কে কুয়াশা জমার কারণে। মনোবিদ্যার ভাষায় যাকে বলে ‘ব্রেইন ফগ’ বা ‘মাথার কুয়াশা’।
এখন ভাবছেন এ থেকে রেহাই কিভাবে পাবেন! আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল মনোবিদ খুঁজে বের করেছেন এর উত্তর।
শরীরচর্চা
মনের ক্লান্তি কাটাতে শরীরচর্চা কাজে লাগাতে পারেন। খেলাধুলা বা হ্লাকা এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারেন। ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এতে মাথার ক্লান্তিও দূর হবে। তাই মনের ক্লান্তি কাটাতে এক্সারসাইজের মাধ্যমে শরীরকে ক্লান্ত করে দেওয়াটা সহজ উপায়। এমনটাই মত মনোবিদদের।
মানসিক চাপ কমানো
সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মনকে ভালো রাখা। মনকে শান্ত রাখতে মেডিটেশন করা যেতে পারে। প্রতিদিন কিছুটা সময় ধ্যান বা মেডিটেশন করলে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব।
ডায়েটে পরিবর্তন
তেলেভাজা বা অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার খেলে শুধু শরীর নয়, মস্তিষ্কও কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঘুম পায়। এইসব খাবারের কারণে পেটে এমন কিছু ব্যাকটেরিয়া জন্মায়, যা ক্লান্তির কারণ। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, এসব পছন্দের খাবার খাওয়া বাদ দিয়ে দিবেন। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদরা বলেছেন, রাতে ১০ ঘন্টা পেটকে বিশ্রাম দিন। ওই সময় কিছু না খাওয়াই ভালো। ফল বা স্বাস্থ্যকর খাবারের পরিমাণ বাড়াতে পারেন।
সূর্যের আলো
মস্তিষ্কের বা মনের ক্লান্তি দূর করতে ঘুমের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। ঘুম ভালো হলে ক্লান্তি দ্রুত কাটে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের জার্নালে বলা হয়েছে, প্রতিদিন সূর্য উঠা আর ডোবার সময় কিছুক্ষণ যদি সেই আলোতে দাঁড়ানো যায়, তাহলে ঘুম ভালো হয়। রাতে চটজলদি ঘুম চলে আসে, আবার দিনের শুরুতে ঘুম ভাঙ্গে।
সূত্রঃ ইন্টারনেট
লিখেছেনঃ শরীফুল সাগর
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে