করোনায় মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

করোনায় মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়

করোনা মহামারিতে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হই। আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকি কিন্তু করোনা মহামারিতে এই মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে গেছে। করোনা সম্পর্কে নতুন চিন্তা ভাবনা, টিকা, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার চিন্তা ও মনে এর প্রভাব, চোখের সামনে করোনা আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু যা মানুষের মস্তিস্কে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে। কোভিড-১৯ থেকে বাঁচার আকুতি জেগে ওঠে, অনেকে আবার বিমর্ষ থাকেন, মনমরা ভাব, প্রিয়জনের মৃত্যুতে তিনিও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এসব নিয়েই আমাদের আজ এই লেখা। করোনা মহামারিতে আমরা প্রায়ই এসব মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হই। ত চলুন জেনে নেয়া যাক কিভাবে আমরা করোনা মহামারিতে এসব মানসিক সমস্যা থেকে সুরক্ষা পেতে পারি বা আমাদের মনকে এসব মানসিক সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারি।

১। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা।

জানার শেষ নাই। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা থাকতে হবে। এজন্য আপনাকে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা, বিদেশী বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট, বা অনলাইন মিডিয়া সাহাযা করতে পারে। এছাড়া, বই। ম্যাগাজিন, WHO থেকে স্বচ্ছ ধারনা।

 

২। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি চেক-আপ করে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠতে পারেন। এমন আশাবাদী হয়ে উঠা মানসিকভাবে উজ্জীবিত হতে সাহায্য করে।

 

৩। করোনা ভ্যাক্সিনের টিকার জন্য জন্য রেজিস্ট্রেশন করা।

গত ২৭ জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গনটিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু পূর্বে কিছু বিধি নিষেধ ছিল তবে এখন বয়স নিয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট নিয়ম নেই। এখন ১৮ বছরের ওপরে সবাই ভ্যাক্সিনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। https://surokkha.gov.bd/ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা যাবে।

 

৪। ম্যাসেজ আসার তারিখে ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।

যত দ্রুত সম্ভব করোনা ভাইরাসের টিকা গ্রহণ করুন আশেপাশের মানুষকে নিতে উদ্বুদ্ধ করুন। ১ম ডোজ নেয়া শেষ হলে ২য় ডোজ এঁর সময় আসলে ২য় ডোজ টিকা নেন। নিজেকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষা রাখুন।

 

৫। মুখে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

যত দিন না করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ শেষ না হয় তত দিন মুখে মাস্ক, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।

 

৬। ‘কথা বলো কথা বলি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন তাদের প্রিয়জনদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা বিনামূল্যে প্রদান করছে ‘কথা বলো কথা বলি’ কার্যক্রম। যা তাদেরকে মানসিকভাবে শক্ত হতে সাহঅ্যা করবে।

 

৭। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা

সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলার সাথে সাথে ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাই এটিও সুরক্ষিত রাখতে ভূমিকা রাখে।

এছাড়া, সামাজিক, পারিবারিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ও করোনায় ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে  

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleঅবসর সময় মানেই সময় নষ্ট করা নয়
Next articleমায়ের মাদকাসক্তি সন্তানের জন্য বিপজ্জনক

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here