সম্প্রতি মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে বয়োজ্যেষ্ঠদের ব্যথা দূর হবার পাশাপাশি ডিপ্রেশনও কমে অনেকাংশে।
বার্ধক্যজনিত এক জার্নালের সিরিজ বি তে প্রকাশিত হয়েছে, বার্ধক্যকালে শরীরে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা করে ফেলে ঘরবন্দী। পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ কমে যায়। এতে করে আরও ডিপ্রেশন বাড়ে।
৬৭ বছর বয়সী ও তারও বেশি বয়সের মানুষের অংশগ্রহণে একটি গবেষণা করা হয়। এতে দেখা গেছে বার্ধক্যজনিত ব্যথায় আক্রান্ত তবে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা কম ডিপ্রেশনে ভুগে। এন অর্বরের ইউনিভার্সিটি অব মিশিগ্যানের সমাজবিদ্যা বিষয়ক সহ-লেখক শেন্নন এং এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে বয়োজ্যেষ্ঠদের স্ট্রেস কমে এবং সামাজিক সখ্যতা বাড়িয়ে তোলে যা তাদের শারীরিক ব্যথা লোপ করে দেয়।
মোবাইল ফোনে নেয়া এক সাক্ষাতকারে শেন্নন এং বলেন, ‘অনলাইন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ফলে বয়োজ্যেষ্ঠদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় নিয়মিত। সখ্যতা বাড়ে এবং মানসিকভাবে তারা সুস্থ থাকে। এই সুস্থতা শরীরেও প্রভাব ফেলে যা তাদের ব্যথা কমিয়ে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখেন।’
২০১৮ সালের পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা অনুযায়ী, ১৯৪৫-১৯৬৫ সালে জন্ম নেয়া ৫৭ শতাংশ এবং ১৯৪৫ এর আগে জন্ম হওয়া ২৩ শতাংশ মানুষ সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এ গবেষণায় ঠিক কোন সামাজিক মাধ্যম বেশি উপকারী এই বিষয় ঠিকমতো বের করা না যায়নি। তবে এ বিষয় নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে বার্ধক্যজনিত মানুষ অনলাইন ব্যবহারের ফলে পূর্বের তুলনায় তাদের ডিপ্রেশন অনেকটা কমে এবং তারা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন।
সূত্রঃ রয়টার্স
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে