বন্ধুত্ব জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীবনের প্রতিটি ধাপে বিভিন্ন বয়সে নানা ধরনের বন্ধুর দেখা মেলে। আবার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা সবার সাঙ্গেই খুব তাড়াতাড়ি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে।
কিন্তু আমরা সকলেই জানি, বন্ধুত্ব ব্যাপারটা এতটাও সহজ বিষয় নয়। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চারা বন্ধুত্বের সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়। আর ওই সময়টাতেই তাদের ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে, তাই বন্ধু নির্বাচনে সচেতন থাকা উচিত। কীভাবে ও কেমন বন্ধু বাছাই করা উচিত – এ ব্যাপারে শৈশবেই বাচ্চাদের বোঝানো সব মা-বাবা ও শিক্ষকের দায়িত্ব।
প্রথমত, তাদেরকে বোঝাতে হবে যে আশেপাশের সবার সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা ঠিক না। পাশাপাশি এটাও বোঝাতে হবে, বন্ধুত্ব না থাকলেও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রেখে সবার সঙ্গে যোগাযোগ ও একসঙ্গে কাজ করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আবার কোনো খারাপ সঙ্গ থেকে কিভাবে নিজেকে বের করে নিতে হয় তাও তাদেরকে শেখাতে হবে।
বন্ধুদের সঙ্গে ভালোবাসা, সাহচর্যের পাশাপাশি ঝগড়া হওয়া, রাগ করা এবং তাদের কাছ থেকে দুঃখ পাওয়াও অতি সাধারণ বিষয়। মার্কিন শিক্ষক লিজ ক্লিনরোক বন্ধু নির্বাচনের ব্যাপারে কিছু সাধারণ কৌশল ব্যাখ্যা করেছেন । এসব কৌশল আপনি আপনার সন্তানকেও শেখাতে পারেন । এগুলো হলো-
বন্ধুরা সবসময় যা করে –
- কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে
- তোমাকে শ্রদ্ধা করবে
- সবার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করবে
- খারাপ কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবে
- তোমাকে বিশ্বাস করবে
- বিপদে পাশে দাঁড়াবে
- তোমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে
- ভালো কাজে উৎসাহী এবং খারাপ কাজে নিষেধ করবে।
বন্ধুরা মাঝে মধ্যে যা করে –
- তোমার অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে
- মিথ্যা বলতে পারে
- একসঙ্গে হাসাহাসি করবে
- তোমার জন্য আলাদা সময় রাখবে
- তোমাকে উত্যক্ত করবে
- তোমার থেকে দুঃখপ্রকাশ আসা করবে
- একসঙ্গে খেলবে
- ঝগড়া করবে
- দুইজনের মতের অমিল থাকবে।
বন্ধুরা যা করে না –
- তোমার গোপন কথা অন্যদের বলবে
- তোমাকে হেনস্থা করবে
- তোমার ক্ষতি করার চেষ্টা করবে
- ইচ্ছা করে তোমাকে কষ্ট দেবে
- তোমার সঙ্গে চালাকি করবে
- তোমাকে সমস্যায় ফেলবে
- তোমার পেছনে তোমাকে নিয়ে খারাপ কথা বলবে।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে