এটা খুবই স্বাভাবিক যে ছোট্ট শিশুরা সব সময় চঞ্চল হয়ে থাকে। তারা কথা শুনতে চাইবে না এবং যা বলা হবে তার বিপরীত কাজ করবে। বয়স বাড়লেও কিছু ক্ষেত্রে এসব অভ্যাস অনেকের মাঝেই থেকে যায়। এমন কিছু শিশু আছে যারা অন্যদের তুলনায় একটু বেশিই ছটফটে। শিশুদের এসব স্বভাবজাত কার্জকলাপ অনেক সময় তাদের মানসিক অবস্থার সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়। কখনো পরিবারের মাঝে বিশেষ কোনো পরিবর্তনের জন্য হয়। তাদের প্রতি মনযোগের অভাবে হয়, আবার কখনো পিতা-মাতার সাথে তাদের সম্পর্কের বিশেষ অবস্থার জন্যও হয়।
শিশুদের এসব আচরণ পিতা-মাতাকে অনেক সময় তাদের সন্তানদের প্রতি ক্ষুব্ধ করে তোলে। অনেক সময় তারা নিজেদের প্রভাবহীন মনে করেন। আবার এসব পরিস্থিতি তাদের মাঝে ভীতি সঞ্চার ও করে। ফলশ্রুতিতে শিশুরা নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। এসব শিশুদেরকে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
শিশুদের উপর বাধ্যবাধকতা সহনশীল মাত্রায় নামিয়ে আনুন। যেমন,সরাসরি শিশুকে কিছু করতে নিষেধ না করে তাকে অন্য কোন বিকল্প বেছে নেওয়ার সুযোগ দিন। এতে আপনার শিশুর স্বাধীনতা বজায় থাকবে এবং সেও অধিক সহযোগী হয়ে উঠবে।
যদি আপনার শিশুর অভিযোগের সাথে কোন আবেগপ্রবণ বিষয় জড়িয়ে থাকে, যেমন আপনার ব্যস্ততা, তাহলে তার অভিযোগের জায়গা গুলি পূরণ করার চেষ্টা করুন এবং তাকে আরো সময় দিন।
প্রতিনিয়ত একই বিষয়ে বাগবিতন্ডা এড়িয়ে বরং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। সহজেই শিশুর হাতের কাছে থাকা কোন বস্তু একটু চোখের আড়াল করে রেখে শিশুকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
আপনার আচণে পরিবর্তন আনুন। খুব কড়াভাবে শাসন না করে শিশুকে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন এবং বুঝিয়ে দিন আপনি বিবাদ এড়িয়ে যেতে চাইছেন।
শিশুর বিশ্বাস অর্জন করুন। শিশুকে প্রশ্ন না করে সরাসরি নিজের মনের কথা তার কাছে ব্যক্ত করুন।
যখন আপানার শিশু আপনার কাছে কিছু চাইছে, সরাসরি না বলা এড়িয়ে চলুন। সমস্যাগুলো তার সামনে তুলে ধরুন সাথে সাথে তার ইচ্ছেকেও গুরুত্ব দিন। সরাসরি বাধা না দিয়ে সমস্যা গুলো তুলে ধরলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশুর মাঝে প্রতিরোধমুলক মানসিকতা তৈরি না হয়ে সহযোগিতামুলক মানসিকতা গড়ে ওঠে। কোন বিষয়ে তৎক্ষনাৎ ধৈর্য্য না হারিয়ে শান্ত থাকুন। আপনার প্রতিক্রিয়া যদি তাকে উৎসাহিত না করে তাহলে সে তার ব্যবহারে পরিবর্তন আনতেই পারে।
এমন কোন জাদু কাঠি নেই যা আপনার সন্তানকে আপনার সব কথা শুনতে বাধ্য করবে। এই ছোট ছোট বিষয়গুলিতে নজর দিলে আপনার সন্তান আপনার মধ্যাকার পরিবর্তন গুলো লক্ষ করবে এবং সকল বিষয়ে বিরোধিতায় নিরুৎসাহিত হবে। সমস্যাগুলো নিয়ে আপনার সন্তানের সাথে খোলামেলা আলোচনা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।
অনুবাদ করেছেন: প্রত্যাশা বিশ্বাস প্রজ্ঞা
সূত্রঃ https://www.psychologytoday.com/intl/blog/how-raise-happy-cooperative-child/201907/the-opppositional-child
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে