বর্তমান বিশ্বের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে মানসিক উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করতে পারে এমন বিষয়ের অভাব নেই। বর্তমানের এই সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকতে হলে দৃঢ় মানসিকতা সম্পন্ন প্রাপ্ত বয়স্কদের সাথে সাথে সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন শিশুদেরও প্রয়োজন। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিশুদের মধ্যে যাতে করে শান্ত,একাগ্র এবং সুস্থ মানসিকতার বিকাশ ঘটতে পারে সেই লক্ষ্যে নিম্নের তিনটি কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে।
জীবনের নানামুখী প্রতিকূলতা সফলভাবে মোকাবেলা করার জন্য ছোটবেলা থেকেই আমাদের শিশুদের আত্ম প্রত্যয়ী, ধৈর্যশীল এবং মানসিক ভাবে দৃঢ় হওয়ার শিক্ষা প্রদান করতে হবে। বিপদে তারা যেন ধৈর্যহারা না হয়, মানসিক ভাবে ভেঙে না পড়ে সে উপদেশ বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে ধাপে ধাপে তাদের শেখাতে হবে। তবে মানসিক উন্নয়নের এই ধাপগুলো আপাত দৃষ্টিতে বেশ সরল মনে হলেও বাস্তবে অতোটা সহজসাধ্য নয়। এগুলো হল-
১) থামিয়ে দেওয়া
২) ধির-স্থির করা
৩) চতুরতার সাথে সিদ্ধান্ত নেওয়া
আমরা যখন নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে অগ্রসর হই, আমাদের জীবন ধীরে ধীরে সুবিন্যস্ত হয়ে ওঠে। অবশ্য এর জন্য অনেক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। কোন মাতা পিতা, শিক্ষক কিংবা শিশু ভুলভ্রান্তির উর্ধে নয়। কিন্তু এই ধাপ গুলো অনুসরণ করলে আমরা নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক মানসিক পরিবর্তনের পথে ধাবিত হতে পারব।
১) থামিয়ে দেওয়াঃ শিশুদের চঞ্চলতা থাকবেই, কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চঞ্চলতা অবশ্যই তার স্বাভাবিক কাজকর্মের পথে একটি বড় বাধা। তাদের এই মানসিক চঞ্চলতা কমাতে প্রথমেই যেটি প্রয়োজন সেটি হল তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে থামিয়ে দেওয়া। যখন তারা কোন মানসিক পীড়াদায়ক অভিজ্ঞতা বা অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যায়, চেষ্টা করতে হবে তারা যেন সেই বিষয়টির নেতিবাচক দিক গুলো নিয়ে ভাবা থামিয়ে দেয় এবং নতুন ভাবে নিজেদের নিয়ে ভাবতে শুরু করে।
২) ধীর-স্থির করাঃ সমস্ত জীবন ধরেই আমরা ধীর স্থির হতে শিখি, তবে শৈশবে পাওয়া শিক্ষা মানুষকে পরিণত বয়সেও একইভাবে সাহায্য করে। মনে রাখবেন, আপনার শিক্ষা শুধু আপনার শিশুকে শৈশবেই নয়, বরং সমগ্র জীবন ব্যাপী সাহায্য করবে। তারা একাগ্র চিত্তের এবং দৃঢ় মানসিকতার অধিকারী হবে। তাই শৈশব থেকেই আপনার শিশুকে ধীর-স্থির মানসিকতা সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা প্রদান করুন।
৩) চতুরতার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থামিয়ে দেওয়া এবং ধীর-শিত হওয়ার পাশাপাশি সিদ্ধন্ত গ্রহণে চতুর হওয়াও আবশ্যক। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া একজন মানুষের সফলতার পেছনের সব থেকে বড় কারণগুলোর একটি। শিশুদের বোঝাতে হবে কোনটি তার জন্য এবং একই সাথে অন্য সবার জন্য মঙ্গলের। আবেগি হয়ে সিদ্ধান্ত নিলে অধিকাংশ সময় যে সেটি ভাল ফল বয়ে আনেনা এটি তাদের বোঝাতে হবে। তাহলেই তাদের মানসিক উন্নতি ঘটবে এবং তারা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে