ভারতে এমনিতে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। এর মধ্যে করোনার কারণে এটি আরও ব্যাপকহারে বেড়েছে। দীর্ঘ লকডাউন, করোনার ভয়, চাকরি হারানো, বেতন কমে যাওয়া, পরিবার বা পাড়াপড়শির আক্রান্ত হওয়া, সামাজিক দূরত্ব, চার দেওয়ালের মধ্যে মূলত নিজেকে বন্দি রাখার প্রভাব এখন ভালোভাবেই পড়ছে ভারতের সাধারণ মানুষের মনের ওপর। তারা অবসাদগ্রস্ত হচ্ছেন। দুশ্চিন্তা ভয়ঙ্করভাবে বাড়ছে।
দেখা দিচ্ছে উদ্বেগ সহ মানসিক নানা ধরনের সমস্যা। আর ভারতে অজ্ঞানতার জন্য হোক বা অস্বস্তি বোধ করার কারণে হোক, লোকে এই মানসিক সমস্যা নিয়ে কথা বলেন না। নিজের মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
এই অবস্থায় ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদান সব রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে বলেছেন, এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ করে অবসাদ ও উদ্বেগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা হবে। করোনা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভালো কাজ করছে। কিন্তু এ বার লোকের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেও তাদের নজর দিতে হবে।
আসলে করোনাকালে অবসাদ, উদ্বেগ ও তার ফলে আত্মহত্যারএকাধিক ঘটনা ঘটেছে ভারতে। এটা শুরু হয়েছিল একেবারে গোড়ায় লকডাউন চালু হওয়ার পরপরই। দক্ষিণ ভারতে একজন গ্রামের মানুষের মনে হয়েছিল, তার করোনা হয়েছে। চিকিৎসক দেখানো নয়, কারও সঙ্গে কথা বলা নয়, তিনি সোজা গিয়ে গাছের ডালে দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
একদিন আগে এইমসের চারতলা থেকে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন হিন্দি কাগজের এক সাংবাদিক। তার করোনার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু তার শেষ বার্তা ছিল, তাকে খুন করা হতে পারে। এইমসে তার ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তারপর এইমসে নির্দেশ গিয়েছিল। চারতলা থেকে তার ঝাঁপ দেওয়ার পিছনে সেই আতঙ্ক, অবসাদ কাজ করছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ধরনের উদাহরণ প্রচুর।
সূত্র: ডয়চে ভেলে
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন