করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য ক্রমবর্ধমানহারে মানুষ এন্টিডিপ্রেসেন্টাস (হতাশারোধী) এবং বেনজোডিয়াজেপিন (উদ্বিগ্নতা কমানো) মতো মানসিক রোগের ওষুধ এর প্রতি ঝুঁকে পড়ছে।
এর বড় কারণ করোনার বৈশ্বিক শুরু হওয়ার পরে মানুষ অনিশ্চয়তার ভেতরে পড়ে গেছে। তারা জানে না সামনের দিনগুলোতে কী হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ফার্মাসি বেনিফিট ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম ‘এক্সপ্রেস স্ক্রিপ্টস’ এর এপ্রিলে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে আমেরিকাতে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে প্রেসক্রিপশন ড্রাগের ব্যবহার ২০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। তবে, এটা একদম চূড়ান্ত শীর্ষে ওঠে ১৫ ই মার্চ, যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড -১৯ কে বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ঘোষণা করে।
একই সময়সীমার সময় উদ্বিগ্নতা কমানোর ওষুধের প্রেসক্রিপশান ৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অন্যদিকে মানসিক রোগের ওষুধ যেমন- অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট (হতাশারোধী) ওষুধের প্রেসক্রিপশান ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সময়ে তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি ছিল নতুন প্রেসক্রিপশন।
অথচ মহামারীর আগে, ২০১৫ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে এসব ওষুধের ব্যবহার ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিলো বলে উক্ত রিপোর্টে দেখা গেছে।
নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিকাল সাইকিয়াট্রির অধ্যাপক মাইকেল লিয়েবুইটস বলেছেন, ‘উদ্বেগ ও হতাশা উভয় চিকিৎসার জন্য অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস ওষুধের ব্যবহার আরো বেড়েছে।’
এসব মানসিক রোগের ওষুধ বিক্রি বেড়ে যাওয়ার পেছনে আসলে দেখা যায় যখনই আমাদের আবেগ বা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের সাধ্য থাকে না বা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখন উদ্বেগ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে বলে মনোবিদরা মতামত ব্যক্ত করেছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন