দুই-তৃতীয়াংশ জেলায় নভেল করোনাভাইরাসের দেড় হাজারের বেশি রোগী পাওয়ার পর গোটা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সরকার।
বাংলাদেশে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন ২০১৮’র ক্ষমতাবলে সারা দেশকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে একমাত্র পন্থা জনসাধারণের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাস্তবায়ন করার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বলে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিটিতে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের সহায়তা নিয়ে সংক্রামক রোগ আইনের ধারা প্রয়োগ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে নির্দেশে। এসব আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সংক্রমণ রোগ আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় চলাচলও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলেও নির্দেশনাতে বলা হয়েছে। আইইডিসিআরের ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের অন্তত ৪৫টি জেলায় পাওয়া গেছে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকায় ৫৪৬ জন, নারায়ণগঞ্জে ২১৪ জন, গাজীপুরে ৫৩ জন, চট্টগ্রামে ৩১ জন, নরসিংদীতে ২৮ জন, মুন্সিগঞ্জে ২১ জন, মাদারীপুরে ১৯ জন, কিশোরগঞ্জে ১৭ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন; গাইবান্ধা ও জামালপুরে ১২ জন করে, বরিশালে ১০ জন; গোপালগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে ৯ নয় করে করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৮ জন, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহে ৭ জন করে; চাঁদপুর, নিলফামারী ও রাজবাড়ীতে ৬ জন করে; মানিকগঞ্জ ও শরিয়তপুরে ৫ জন করে; বরগুনা, নেত্রকোণা, পিরোজপুর ও রাজশাহীতে ৪ জন করে; ঝালকাঠি, শেরপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ জন করে; ফরিদপুর, কুরিগ্রাম, লালমনিরহাট, মৌলভীবাজার, পটুয়াখালী ও রংপুরে ২ জন করে এবং চুয়াডাঙ্গা, কক্সবাজার, হবিগঞ্জ, খুলনা, লক্ষ্মীপুর, নড়াইল, নোয়াখালী ও সুনামগঞ্জে একজন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।