প্রথম দেখাতে ভালোলাগা, তারপর অল্প-স্বল্প জানা। ধীরে ধীরে হয়তো গড়ে ওঠে হৃদ্যতাও। কিন্তু প্রথম আলাপ থেকে প্রেমপর্ব পর্যন্ত গড়াতে যে সময়টুকু লাগে, সেই সময়টা কি একজন মানুষকে পুরোপুরি বুঝে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট? আবেগকে সরিয়ে রেখে শুধু যুক্তির ভিত্তিতে যদি উত্তর খোঁজেন, তা হলে উত্তরটা হল ‘না’
আপনার পছন্দের মানুষটির শুধু সেইটুকুই আপনি দেখতে পান যতটুকু উনি আপনাকে দেখাতে চাইছেন। এর বাইরে তার পছন্দ, অপছন্দ, বিশ্বাস- এসব কোনও কিছু সম্বন্ধেই আপনি পুরোপুরি জেনে উঠতে পারেন না। আসলে কারও সঙ্গে পাকাপাকিভাবে এক ছাদের নিচে থাকতে শুরু না করলে বোঝা সম্ভব নয় সে মানুষটা আসলে কেমন।
তবে চিন্তা করবেন না, কিছু বিশেষ আচরণ দেখে আপনি আপনার সদ্যপরিচিত সঙ্গীর চিন্তাভাবনা সর্ম্পকে বেশ কিছু আন্দাজ করে নিতে পারেন, আর তা সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাও যথেষ্ট বেশি!
১. রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে খাবারের অর্ডার তাকে দিতে দিন। অর্ডার দেয়ার আগে তিনি নিশ্চিতভাবেই আপনার পছন্দ জানতে চাইবেন। সেই ফাঁকে আপনিও বুঝে নিতে পারবেন উনি কী কী খেতে ভালোবাসেন, কোনটা অপছন্দ করেন। উনি কীভাবে সিদ্ধান্ত নেন, সেটাও এই খাবার অর্ডার দেয়া দেখেই আন্দাজ করা সম্ভব। যিনি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে অভ্যস্ত, তিনি খাবারের মেনু নিয়ে ভাবতেও খুব একটা সময় নষ্ট করবেন না।
২. এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলা শুরু করুন যেটা আপনার নিজের মনের খুব কাছের। পছন্দের সঙ্গীটিও যদি তাতে অংশ নেন বিষয়টি সম্পর্কে তার মনোভাবও আপনি সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। এবং একটা বিষয় থেকেই সংশ্লিষ্ট আরো পাঁচটা বিষয় সর্ম্পকেও তার মানসিকতা যাচাই করে নিতে পারবেন।
৩. পছন্দের সঙ্গীটির সঙ্গে ছোটবেলার গল্প করুন। ছোটবেলার স্মৃতি নিয়ে কথা বলার সময় মানুষের মনের অনেক দরজাই হাট হয়ে খুলে যায়। এই ধরনের গল্প থেকেও একে অপরের মানসিকতা ভালোভাবেই বুঝে নেয়া সম্ভব।
৪. প্রিয় সঙ্গীটি আপনার সঙ্গে কীভাবে কথা বলেন, আশপাশের অন্যান্য মানুষদের সঙ্গে কীভাবে কথা বলেন, সেসব ভালো করে খেয়াল করুন। রেস্টুরেন্টের কর্মী, পথচারী, সাধারণ মানুষ, ট্যাক্সির ড্রাইভার, তার সহকর্মী- এদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলার সময় তার হাবভাব কতটা পাল্টে যাচ্ছে সেটা খেয়াল করলে অনেক কিছুই বুঝতে পারবেন। ধারণা পাবেন তার মন-মানসিকতা সম্পর্কে।
৫. অফিসে আপনার কাজকর্ম নিয়ে, কাজের চাপ নিয়ে কথা বলুন। তিনি কীভাবে রিঅ্যাক্ট করেন দেখুন। হয়তো তিনি আপনাকে শান্ত থাকতে বলবেন, চাপ কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেবেন, অথবা নিজের অফিসের চাপ নিয়ে কথা বলতে শুরু করবেন। উনি যেভাবেই রিঅ্যাক্ট করুন না কেন, আপনি বুঝে নিতে পারবেন অনেক কিছু।