ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বন্ধের ঘরোয়া উপায়

0
18

ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলা একটা অব্যাসগত ব্যাপার। তবে এ অভ্যাসের কারণে সবার সামনে অনেক সময়ই আপনি হাঁসির রসদও হয়ে ওঠেন৷ এই সমস্যায় মূলত শিশুরা বেশি ভোগে৷ তবে যেকোনও বয়সের মহিলা অথবা পুরুষও ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যায় ভুগতে পারেন৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক ও শারীরিক একাধিক সমস্যার উপসর্গ হতে পারে ঘুমের মধ্যে কথা বলা৷ অনিদ্রা, জ্বর, অতিরিক্ত মদ্যপান, মানসিক চাপ, উদ্বিগ্নতা, অবসাদ, ক্লান্তি ভাবের জেরে ঘুমের মধ্যে বকবক করেন অনেকেই৷ আবার অনেক সময় নানা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও ঘুমের মধ্যে কথা বলেন কেউ কেউ৷ তাই এই সমস্যাকে অবহেলা করবেন না৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু ঘরোয়া টোটকা রইল আপনার জন্য৷
নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোন: প্রতিদিনের কাজের চাপ৷ অফিস, বাড়ির কাজ সামলাতে গিয়ে ক্রমশই কমছে ঘুমের সময়৷ সারাদিনে কখনও চার-পাঁচ ঘণ্টা বা খুব বেশি হলে ছয় ঘণ্টা ঘুমোন অনেকেই৷ কিন্তু মনে রাখবেন ঘুম ঠিকমতো না হলে নানা রোগ আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে৷ ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যায় ভোগারও মূল কারণ হতে পারে এটি৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে ঘুমোন৷ চেষ্টা করুন ঘড়ি ধরে রাতে একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার৷ মেপে মেপে আট ঘণ্টা করে ঘুমোনোর পরই সকালে উঠুন৷
মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন: অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তাই চেষ্টা করুন মদ্যপানের অভ্যাসের বদল করার৷ অতিরিক্ত চা বা কফিও কিন্তু বিপদ ডেকে আনতে পারে আপনার৷ ঘুমন্ত অবস্থায় কথা বলার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন৷
মানসিক চাপ: বর্তমান জীবনযাত্রায় মানসিক চাপ প্রত্যেকেরই নিত্যদিনের সঙ্গী৷ ঘুমের মধ্যে কথা বলারও মূল কারণ হতেই পারে এই মানসিক চাপ৷ তাই আগে মানসিক চাপ কাটাতে দু’দিনের জন্য বরং কোথাও বেড়িয়ে আসুন৷ মন ভাল করতে বই পড়ুন, গান শুনুন৷ প্রতিদিন সকালে উঠে শরীরচর্চা করলেও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন৷
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন: ঘরোয়া টোটকায় কাজ না হলে, পরামর্শ নিন চিকিৎসকের৷ ভুলে যাবেন না ভাল ঘুমই কিন্তু সুস্থতার চাবিকাঠি৷

মানসিক স্বাস্থ্যের সব খবর নিয়ে ‘মনের খবর’ জানুয়ারি সংখ্যা এখন সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে। আজই সংগ্রহ করে নিন আপনার কপিটি।

Previous articleবাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল
Next articleশিশুর দেরিতে কথা বলার বড় কারণ জানাচ্ছে গবেষণা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here