সংসার, অফিস সবকিছু সামলে চলেন ঠিকই, কিন্তু ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন দিনদিন? কোনোকিছুই ভালোলাগে না, কাজে মন দিতে কষ্ট হয় ইত্যাদি সবকিছুই হয়ে উঠছে আপনার মানসিক চাপের কারণ। সুস্থ থাকার জন্য শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন নেয়া প্রয়োজন। তাই চলুন জেনে নেই মানসিক চাপ সামলানোর মানসিক উপায়-
আপনার শরীরই যদি সুস্থ না থাকে, তা হলে কিন্তু স্ট্রেসের সঙ্গে লড়াই করাটা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। ভাজাভুজি খাওয়া বন্ধ করুন, কারণ খাবারে ট্রান্স ফ্যাটের উপস্থিতি আপনাকে আরও দুর্বল করে তুলবে। তাজা শাকসবজি, ফল, মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, দুধজাত প্রডাক্ট রাখুন খাদ্যতালিকায়।
অশ্বগন্ধা, ক্যামোমাইলের মতো কিছু ভেষজ মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকের ধারণা।জিনসেংও ক্রনিক স্ট্রেস কমানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। রাতে শোওয়ার আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা খেতে পারেন।
অ্যারোমাথেরাপি এবং এসেনশিয়াল অয়েলের যৌথ ব্যবহার মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার ব্যাপারে খুব কার্যকর৷ ল্যাভেন্ডার, নেরোলি, চন্দন, কমলালেবুর এসেনশিয়াল অয়েল উত্তেজিত নার্ভগুলিকে শান্ত করে৷ রাতে শোওয়ার আগে স্নানের অভ্যেস আছে? তা হলে সেই জলে মিশিয়ে নিতে পারেন এসেনশিয়াল তেল৷ বালিশে বা আপনার রোজের মাখার ক্রিমেও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখতে পারেন৷ তবে যে জিনিসটি বাজার থেকে কিনছেন, তার শুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই ব্যবহার করুন৷
কিছু রং আছে যা আপনাকে মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সাহায্য করে। নীল, সবুজ, সাদা, গোলাপি, হালকা বেগুনির মতো কয়েকটি মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। এই রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে অফিসের ডেস্কে কিছু গাছপালা রাখুন, দেখবেন মানসিকভাবে আপনি অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে উঠবেন।
অতিরিক্ত তামাক, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।বেশি রাত জাগবেন না, দৈনিক আট ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনুন, কিছু ব্যায়াম করুন।