জটিল মানসিক রোগের মধ্যে সিজোফ্রোনিয়া একটি। বিভিন্ন কুসংস্কার, অপচিকিৎসা, চিকিৎসাহীনতা এই বিষয়টিকে আরো জটিল করে তুলেছে। একজন সিজোফ্রোনিয়া আক্রান্ত মানুষ কতটুকু ভালো থাকবেন, বোঝা হয়ে থাকবেন কিনা তা পরিবারের উপর অনেকটা নির্ভর করে।
সিজোফ্রোনিয়া অনেক সময় প্রখমেই বোঝা যায়, অনেক সময় বোঝা যায় না। সিজোফ্রোনিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হল সন্দেহ প্রবণতা। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তি বিড়বিড় করে কথা বলেন এবং কানে বিভিন্ন কথা শুনতে থাকে। এবং পরে আস্তে আস্তে পরিবার সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এসব ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় জ্বীন ভূতের আছড় বলে অবহেলা করা হয়। যা রোগীকে আরো বিপদে ফেলে দেয়। এরকমটি হলে দ্রুতই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সিজোফ্রোনিয়া রোগের শতকরা ২৫ ভাগ রোগী দ্রুতই সুস্থ হয়ে যায়, ২৫ ভাগ রোগী সুস্থ হতে সময় নেয় এবং ৫০ ভাগের চিকিৎসা দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে হয়।
সিজোফ্রোনিয়ার ক্ষেত্রে পরিবারই পারে একজন রোগীকে ভালো রাখতে। পরিবার সঠিক ভূমিকা রাখলে, সদাচরণ করলে সিজোফ্রোনিয়া রোগীর জন্য সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়।
সিজোফ্রোনিয়া সম্পর্কে এসব কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরগ বিভাগের চেয়ারম্যান, মনোরোগ ও যৌনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব।
গতকাল ২২ নভেম্বর(বৃহ:বার) রাত ১১ টা-১২ টা পর্যন্ত ‘মনের খবর’ ফেসবুকের নিয়মিত মাসিক লাইভ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি সরাসরি প্রশ্নের উত্তর প্রদানের পাশাপাশি সিজোফ্রোনিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
সকল প্রশ্নের উত্তরসহ পুরো অনুষ্ঠানটির ভিডিও লিংক: https://www.facebook.com/monerkhabor/videos/204940960411512/
উল্লেখ্য, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন ও ওয়েব পোর্টাল এর ফেসবুক পেজ থেকে প্রতিমাসে ফেসবুক লাইভের আয়োজন করা হয়। প্রতি পর্বে বিষয় ভিত্তিক আলোচনার পাশাপাশি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়।