মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা সুখ, দুঃখ, ভয়, বিস্ময়, ক্রোধ এবং বিরক্তির মত নেতিবাচক আবেগ গুলোকে বোঝতে পারে না। গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যলয়ের বিজ্ঞানীরাই প্রথম, যারা মাদকাসক্তি এবং মাদকাসক্তদের মৌলিক আবেগ (সুখ, দুঃখ,ভয়, বিস্ময়, ক্রোধ এবং বিরক্তি) চিনতে পারার সম্পর্ক বিশ্লেষণ করেছেন। এই গবেষণায় প্রকাশ করা হয়েছে যে, মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মুখভঙ্গির মাধ্যমে করা মৌলিক আবেগগুলো বুঝতে অসুবিধা হয়।
আবার অ্যালকোহল, ভাং ও কোকেন এর নিয়মিত ব্যবহার ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং বাকপটুতার উপর প্রভাব ফেলে। কোকেন ও ভাং এর ব্যবহার ব্যক্তির স্মৃতি এবং যুক্তিবিচার করার ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একইভাবে, কোকেনের অপব্যবহার প্রতিবন্ধকতার পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত।
গবেষণায় গবেষকেরা স্নায়ুমনোবৈজ্ঞানিক (নিওরোসাইকোলজিক্যাল) মূল্যায়নের জন্য একই সামাজিক অবস্থান (বয়স এবং শিক্ষা) থেকে ১২৩ জন মাদকাসক্ত ব্যক্তি এবং ৬৭ জন মাদকে অনাসক্ত ব্যক্তিকে নিয়েছিলেন। তারপর গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক মিলে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন।
গবেষণাটিতে প্রকাশ করা হয় যে, ৭০ শতাংশ মাদকাসক্ত ব্যক্তির নিয়মিত একাধিক ধরণের মাদক ব্যবহারের ফলে কিছুপরিমাণ মানসিক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। এই উপসর্গ স্মৃতি, বাকপটুতা, নমনীয়তা, পরিকল্পনা করার ক্ষমতা, কাজ করার ক্ষমতাকে স্বাভাবিকের তুলনায় কমিয়ে আনে।
এই গবেষণাটি এ বিষয়ের উপর প্রথম। যেখানে দেখানো হয়েছে, মাদকাসক্ত ব্যক্তির ঠিক কি ধরণের মানসিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে, যেখানে থেরাপি নেওয়ার জরুরী অবস্থা হয়ে পড়ে। গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরাই প্রথম যারা মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের মৌলিক আবেগ চিনতে পারার ক্ষমতা পরিমাপ করার জন্য এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।
তথ্যসূত্র: সাইপোষ্ট।
অনুবাদটি করেছেন সুপ্তি হাওলাদার।