ধরুন, আপনি ক্লাস সিক্সের কোন বাচ্চা পরিণত বয়সে ধনী হবে তা অনুমান করতে চান, আপনি যদি খুব পড়াশুনা করা বা লাজুক ধরনের কোনো বাচ্চাকে বেছে নেন, তবে ভুল করবেন। কারণ ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজির ৪০ বছরের গবেষণা অনুযায়ী যেই বাচ্চারা বেপরোয়া হয়, তারাই পরবর্তী সময়ে অনেক টাকা-পয়সার মালিক হয়।
১৯৬৮ সালে সিক্স গ্রেডের ১২ বছর বয়সী বাচ্চাদের নিয়ে গবেষণা করা হয়। তারা শিশুদের বুদ্ধিমত্তা, ব্যবহার, চারিত্রিক গুণাবলি ও পিতা-মাতার আর্থ-সামাজিক অবস্থার দিকে লক্ষ করেন।
৪০ বছর পরে তাদের কাছে তাদের পেশা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সবচেয়ে পড়াশোনা করা ছাত্রটি অবশ্যই অনেক সম্মানের চাকরি করে, কিন্তু তারা তেমন ধনী না। দুষ্টু ছাত্ররাই পরবর্তী জীবনে বেশি আয় করে, গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে।
কেন এমন হয়?
একটি কারণ হতে পারে, তারা বেশি আয়ের জন্য দরাদরি করতে দ্বিধাবোধ করে না।
আরেকটি কারণ তারা প্রতিযোগিতা করতে ভালোবাসে। তারা অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় যেতে দুশ্চিন্তা বোধ করে না, বরং নিজের সুবিধাটা নিজে আদায় করে নিতে চায়।
২০১২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী অনুগামী ব্যক্তিরা কম আয় করতে পারে অন্যদের চেয়ে, যারা কিনা অন্যের কথা খুব কমই মেনে চলে।
বেশি পড়াশোনা করা ছাত্ররা খুব কমই কোটিপতি হতে পারে।
যারা নিয়মভঙ্গকারী তারাই উদ্যোক্তা, আবিষ্কারক এবং কোটিপতি হতে পারে।
শিশুর নিয়ম না মেনে চলা ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে।
আপনি যদি এমন কোনো বাচ্চাকে বড় করেন, যে কিনা বেপরোয়া ধরণের, তবে আপনি চিন্তিত হবেন না; তার এই বৈশিষ্ট্যটিই একদিন ভালেো কিছু বয়ে আনবে। আপনি তার এই বেপরোয়া হওয়ার শক্তিকে অবশ্যই ভালো কাজে ব্যবহার করবেন এবং সে যেন খারাপ কোনো কিছুর সাথে কখনো আপোস না করে। তাকে সহমর্মিতার শিক্ষা দিন, যেন সে দয়ালু এবং যত্নবান হতে পারে ভালো কিছুর প্রতি।
কিন্তু যখন সে কাউকে সত্যিকার অর্থে আহত করছে না তখন কোনো শিশুকে কখনোই হতাশ করবেন না তার নিয়ম না মেনে চলার জন্য। তার এই নীতিটাই তাকে ভবিষ্যতের জন্য আরো মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজিটুডে ডটকমে প্রকাশিত Amy Morin এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/what-mentally-strong-people-dont-do/201803/why-kids-who-break-the-rules-are-more-likely-become?utm_source=FacebookPost&utm_medium=FBPost&utm_campaign=FBPost