শিশুদের অমনোযোগিতা যে মানসিক রোগ হতে পারে, এটা অনেকেরই অজানা। শিশুরা সবকিছুতেই জেদ করে। বায়না করে না পেলে অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে পড়ে, এটা স্বাভাবিক। তবে শিশুদের অনেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে সাধারণত তাকে শারিরীক প্রহার করে মনোযোগী হবার জন্য বাধ্য করা হয়। এতে রোগ নির্মূল হয়না বরং সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা হয় মাত্র।
শিশুদের মানসিক রোগের সাধারণ লক্ষণ ও উপসর্গ :
- প্রায়ই কোন কিছুতে অমনোযোগী।
- কাজের মাঝে সহজে নিবিষ্ট থাকে না।
- খামখেয়ালির বশে ভুল করা কিংবা কারোর কোনো নির্দেশ অনুসরণ করে কিছু করতে সমস্যা হয়।
- ঠিক মতো কোনো কাজ করতে পারে না।
- বেখায়ালি বা ঝোঁকের বশে কাজ করার প্রবণতা তৈরি হয়।
- খুব বেশি কথা বলা এবং অন্যান্যদের কথার মাঝখানে কথা বলে ওঠার সমস্যা দেখা দেয়।
- অতিমাত্রায় কাজ করার চেষ্টা করে।
- অল্পতেই উত্তেজিত হয়ে উঠে।
- কী করছিল সেসব ভুলে যায়।
- অস্থিরতা তৈরি হয়।
- শান্ত পরিস্থিতিতেও উদভ্রান্তের মতো ছটফট করে।
চিকিৎসার জন্য করা উচিত :
- যদি লক্ষ্য করেন- আপনার শিশু অমনোযোগিতায় ভুগছে, সেক্ষেত্রে একজন শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, নিউরোলোজিস্ট, সাইকোলোজিস্ট এবং শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
- তিনি তার রোগের লক্ষণগুলোর সামগ্রিক বিচার-বিশ্লেষণ করে চিকিৎসা শুরু করবেন।
- যদি চিকিৎসক বলেন যে, আপনার বাচ্চা অমনোযোগিতায় আক্রান্ত, তাহলে তার মতানুসারে ওষুধ খাওয়ানো শুরু করুন।
- ব্যক্তিগতভাবে অভিভাবক হিসেবে শিশুকে ভালো রাখার জন্য নিজের বাচ্চাকে জানার চেষ্টা করুন, তার আচরণ এবং কাজের ধরণ, শখ, কোন কোন বিষয়ে দক্ষতা এবং অদক্ষতা রয়েছে সেগুলো জানুন এবং সেভাবে বিকশিত করুন।
- নিজেকে এই রোগ সম্পর্কে অবহিত করুন।
- আপনার বাচ্চা নিজের যে কাজকর্মগুলো করতে পারে না, সেগুলোর জন্যে তাকে শাস্তি দিবেন না।
সূত্র : ইন্টারনেট।
স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে