Close Menu
    What's Hot

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. ইয়াকুব আলী সরদারের স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন

    অলসতা কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Tuesday, October 21
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 20, 2025

      নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

      Recent

      নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

      বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. ইয়াকুব আলী সরদারের স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      তারকার মন August 5, 2023

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      Recent

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

      কার্ল সেগান : যিনি বিশ্বাস করতেন মহাবিশ্ব একটি মমতাপূর্ণ জায়গা

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » শিশুর মেধাবিকাশ
    শিশু কিশোর

    শিশুর মেধাবিকাশ

    অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালBy অধ্যাপক ডা. মোহিত কামালNovember 5, 2020No Comments7 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    শিশুর মেধাবিকাশ
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    লেখালেখির সঙ্গে মেধা বা প্রতিভার রয়েছে সরাসরি সংযোগ। কিন্তু সবাই প্রতিভাবান লেখক হবে-এমন কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। তবে জোরালোভাবে বলা যায়, সৃজনশীল লেখক মাত্রই প্রতিভাবান।

    শিশুকাল থেকে ঘটতে থাকে প্রতিভার নানামুখী বিকাশ। ঘটতে পারে মেধার বিস্ময়কর বিস্ফোরণ। এই মনোজাগতিক বিকাশের পথে শিশুতে শিশুতে রয়েছে নানা পার্থক্য।

    মেধার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সবার প্রতিভা, বুদ্ধির দীপ্তি ও মাত্রা সমান নয়। কেউ কেউ প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন, কেউবা অনুজ্জ্বল। কেউ ধীরে ধীরে শেখে, কারো শেখার গড় সফলতা স্বাভাবিক বা মাঝারি পর্যায়ের।

    বুদ্ধির পার্থক্য নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে প্রায় একশ বছর ধরে।  বুদ্ধির বিকাশের সঙ্গে কি বংশগত কারণ সরাসরি জড়িত, নাকি পরিবেশও সমানভাবে কাজ করে।

    বর্তমান সময়ে মনে করা হয়, বংশ কিংবা পরিবেশ উভয় কারণে বুদ্ধি বিকাশের তারতম্য ঘটে থাকে। বংশ এবং পরিবেশের কারণে বুদ্ধির পার্থক্য হওয়া অস্বাভাবিক নয়, বিকাশের স্বাভাবিক পথেও শিশুতে শিশুতে পার্থক্যটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরিবেশের কারণে বিকাশের ধাপগুলো কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রভাবিতও হতে পারে।

    যুক্তরাজ্যের মনোগবেষক রাটারের মতে, পরিবেশের কারণে শিশুতে শিশুতে আইকিউয়ের তারতম্যের সংখ্যামান কুড়ি (২০) পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে। পরিবেশের দুটি কারণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুটি হলো: পুষ্টি ও উদ্দীপনা।

    উভয় বিষয়ই বেবিহুড বা প্রাক্-শৈশবে (জন্মের প্রথম  দুই বছর) প্রভাবিত করে বুদ্ধির বিকাশের ধারাকে। এ সময় মস্তিষ্কের দ্রুত বুদ্ধি ও বিকাশ ঘটে। স্বাভাবিক বুদ্ধি ও বিকাশের জন্য পুষ্টি বজায় থাকা জরুরি। জন্মের কয়েক মাস আগে থেকে দুই বছর পর্যন্ত পুষ্টিহীনতা মস্তিষ্কের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে, কমিয়ে দেয় শিশুর শেখার ক্ষমতা।

    এ সময় যদি পুষ্টিহীনতা মোকাবিলা করা না হয়, পুরো জীবনের জন্যই মস্তিষ্কের বেড়ে ওঠা ও বিকাশ বাধা পায় বা কমে যায়। ফলে প্রকৃিতগতভাবে যেভাবে উদ্ভাসিত হওয়ার কথা, সেভাবে বিকশিত হতে পারে না শিশু। এ সময় উদ্দীপনাহীন অনুজ্জ্বল কিংবা নিষ্প্রভ একঘেয়ে নিরানন্দময় পরিবেশও শিশুর বুদ্ধির ধার ভোঁতা করে দিতে পারে।

    স্কুলে যাওয়ার সময় থেকে কিছুটা উন্নতি হয় পরিবেশের সমস্যা, কিন্তু যে ক্ষতি ইতিমধ্যে হয়ে যায়, তা পূরণ হয় না ভবিষ্যতে। বৈজ্ঞানিক এই তথ্যটির মাধ্যমে শিশুর বুদ্ধির ধার শাণিত করার জন্য বেশি সচেতন হতে হবে বাবা-মাকে। মেধাবী শিশু পেতে হলে পরিপূর্ণ যত্ন নিতে হবে গর্ভবতী মায়েদের।

    মায়ের পুষ্টি ও মনের শান্তি বজায় রাখা জরুরি। এ কথা স্বীকার করে বিজ্ঞান। মস্তিষ্ক যত বড়ো হতে থাকে, তত ফুটতে থাকে শিশুর প্রতিভার নৈপুণ্য। আকারে বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরে ভেতরে বিকশিত হতে থাকবে মস্তিষ্ক, এর বিভিন্ন অংশ বিকশিত হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। ফলে প্রতিভার নৈপুণ্যও উদ্ভাসিত হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে।
    সব ধরনের দক্ষতা বা সামর্থ্য একই সঙ্গে অর্জিত হয় না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কল্পনাশক্তির (Imagination power) আগে বিকশিত হয় স্মৃতিশক্তি। চিন্তাশক্তির আগেই শাণিত হয়ে যায় কল্পনা করার ক্ষমতা। প্রতিভার বড়ো অনুষদগুলো হচ্ছে : স্মৃতিশক্তি, কল্পনাশক্তি, সৃজনক্ষমতা, অর্থপূর্ণ উপলব্ধি ও ধারণার বিকাশ, যুক্তি প্রয়োগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা। এসব অনুষদ মিলেমিশে প্রতিভার স্ফুরন ঘটায়। আর প্রতিভা হচ্ছে মনোজগতের বৌদ্ধিক স্তরের মূল উপাদান, সাহিত্য ও শিল্পকলার বিস্ফোরণ ঘটে প্রতিভা কারণেই।

    এখানে দুটি শব্দ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে মস্তিষ্কের বৃদ্ধি (growth), অন্যটি বিকাশ  (development)।  এ মুর্হূতে আমরা প্রতিভা  বিকাশের কথা আলোচনা করছি। সেই সঙ্গে ধাপে ধাপে আলোচনা করব কীভাবে এই মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো সম্পৃক্ত রয়েছে মস্তিষ্কের  জৈব রাসায়নিক পদার্থ-নিউরোট্রান্সমিটার বা কেমিক্যাল মেসেঞ্জারের সঙ্গে, কীভাবে সৃজনশীলতার স্ফুরণ ঘটে, কীভাবে শব্দচয়নের মাধ্যমে নির্মিত হয়ে যায় সাহিত্যর্কীতি জীবনযাপনে, সংস্কৃতিতে কীভাবে গড়ে ওঠে অভিনব নিদশর্ন।

    মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি
    লেখালেখিতে স্মরণশক্তির ভূমিকা : মস্তিষ্কের তথ্য গ্রহণ ও তা সংরক্ষণ করার সামর্থ্যই হচ্ছে মেমোরি। পরবর্তী সময়ে উপযোগী করে মুহূর্তের মধ্যে তথ্যগুলো পুনরায় সাপ্লাই বা সরবরাহ করে মস্তিষ্ক। তথ্যগুলো গ্রহণ বা সংরক্ষণ করাই মূল বিষয় নয়, ব্যবহারের উপযোগী করে স্মরণ করাও স্মৃতিশক্তির বড়ো সাফল্য। ত্বরিত তথ্য আদান-প্রদানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত রয়েছে অ্যাসিটাইল কোলিন নামক জৈব রাসায়নিক পদার্থ। এটি মস্তিষ্কের একটি উদ্দীপক নিউরোট্রান্সমিটার বা কেমিক্যাল মেসেঞ্জার। এটি অন্য আরো অসংখ্য জৈব রাসায়নিক পদার্থের মতো মস্তিষ্কের সংকেত আদানপ্রদান করে থাকে।

    প্রতিভার একটি বড়ো অনুষদ হচ্ছে স্মরণশক্তি
    প্রতিভার ধাবমান বিকাশের পথে প্রথম বিকশিত হয় স্মরণশক্তি। এমনকি ছয় মাস বয়সের আগে একটি শিশু মানুষ চিনতে পারে। চারপাশে পরিচিত মুখ থাকলে উল্লসিত হয়, তৃপ্ত থাকে। অচেনা মুখ দেখলে কান্না জুড়ে দিতে পারে শিশু। অচেনা জায়গা, শব্দ, দৃশ্য কিংবা প্রাণী দেখলেও ভয় পেতে পারে, কান্না শুরু করতে পারে। এসব কিছু প্রমাণ করে, শিশুর স্মরণ রাখার ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায় এ বয়সে। কল্পনাশক্তি, সৃষ্টিশীলতা, অর্থপূর্ণ শব্দের মাঝে সম্পর্ক তৈরি করা কিংবা যেকোনো বিষয়ে যুক্তি দেখানোর দক্ষতা ইত্যাদির মূল ভিতই হচ্ছে স্মরণশক্তি। শিশুর বুদ্ধিকে শাণিত করে তোলার জন্য অনেক কিছু করণীয় আছে মা-বাবার। স্কুলজীবন শুরুর আগে যদি স্মৃতির ব্যবহার শেখানো যায়, অবশ্যই স্কুলের যাত্রা থেকে ভালো ফল করবে শিশু। বিভিন্ন বিষয়-আশয় কীভাবে মনে রাখতে হবে, এ ব্যাপারে যদি শিশুর জন্য যথাযথ ভিত গড়ে তোলা যায়, পরবর্তী জীবনে বড়ো অর্জনের পথ খুলে যাবে, মনোজগৎ হবে সমৃদ্ধ, সৃজনশীল বিকাশের পথ হবে গতিশীল।

    প্রাথমিক শৈশবে (২-৫ বছর) স্মৃতিশক্তি শাণিত করার কৌশল : শিশুর স্মরণশক্তির ভিত সুদৃঢ় করতে হলে প্রথমে নিচের টিপসগুলোর প্রতি মনোযোগী হতে হবে মা-বাবাকে :

    শিশুর মনোযোগ
    নতুন কিছু শোনা বা দেখার জন্য শিশুর মনোযোগ বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। জোরাজুরি, চাপাচাপি নয়; কৌশলে উৎসাহিত করতে হবে শিশুর মনোযোগ। যে যত বেশি মনোযোগী হতে পারবে, তার মেমোরি হবে তত বেশি ধারালো। জীবনের সকল ক্ষেত্রে তত বেশি সফলতা অর্জন করবে সে। যা দেখছে, শিশুটি যদি দেখার সময় মনোযোগী হতে পারে; কিংবা যা শুনছে, যদি মনোযোগ স্থাপন করতে পারে, অবশ্যই প্রখর স্মৃতিশক্তির ভিত গড়ে উঠবে।

    শিশুর অর্থপূর্ণ উপলব্ধি
    শিশু চারপাশের অনেক কিছু দেখে, অনেক কিছু শোনেও। দৃশ্যমান বস্তু কিংবা শত্রু শব্দের অর্থ যদি বুঝতে পারে, বেড়ে যাবে মনে রাখার ক্ষমতা। খেলাচ্ছলে কিংবা কৌশলে দৃশ্যমান চারপাশের সবকিছুর অর্থ তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে মা-বাবাকে। স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে যাবে শিশু। এগোনোর পথটি সহজ ও অর্থপূর্ণ করে তোলা মা-বাবার প্রধান কাজ। মনে রাখতে হবে, এ ক্ষেত্রে আরোপিত নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে না।

    পুনরাবৃিত্তর মাধ্যমে ভুলে যাওয়া রোধ করা
    একটি দৃশ্য দেখে হয়ত এর অর্থ বুঝতে পেরেছে শিশু, পুনরায় সেই দৃশ্য দেখার সুযোগ না পেলে স্মৃতি থেকে তা ধীরে ধীরে মুছে যাবে। তেমনিভাবে আগে শেখানো অর্থপূর্ণ শব্দ বা বাক্যাংশটিও বারবার শোনাতে হবে তাকে কিংবা শোনার জন্য পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এখানেও শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হচ্ছে না, জোর দেওয়া হচ্ছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের ওপর।

    শিশুর সঙ্গে মেমোরি গেমে অংশগ্রহণ
    অনেকগুলো খেলনা বা বস্তু নিয়ে তার সঙ্গে মেতে ওঠা যেতে পারে। প্রতিটি খেলনা বা বস্তুর নাম অর্থসহ বারবার খেলাচ্ছলে তুলে ধরতে হবে। এ সময় শিশুর মনোযোগ আছে কি না খেয়াল রাখতে হবে। অমনোযোগ দুর্বল করে দেবে মেমোরি গেমের উদ্দেশ্য। কিছুক্ষণ পর একটি বস্তু বা খেলনা সরিয়ে রাখুন, কাজটি করতে হবে কৌশলে। পরবর্তী খেলার ধাপে বোঝার চেষ্টা করুন হারিয়ে যাওয়া খেলনাটার ব্যাপারে সে উৎসুক কি না, বা সেটা সে খুঁজছে কি না। যদি খোঁজে, বুঝতে হবে, প্রাথমিক বয়সেই মেমোরির গাঁথুনিটি মজবুত করে দিতে পেরেছেন আপনি। পরবর্তী জীবনে উত্তরোত্তর শিশুর মেমোরি শাণিত হতে বাধ্য। প্রয়োজন আপনার ধৈর্য ও শিশুর প্রতি নজর দেওয়া। মনোযোগী হওয়া। সময় দেওয়া।

    একই গল্প বারবার বলা
    একই গল্প বারবার শোনাতে হবে শিশুকে। পরবর্তী সময়ে গল্পটি নিজের মতো করে বলার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সে কি পুরো গল্পটি বলতে পারছে না? অসুবিধে নেই। চর্চা অব্যাহত রাখলে লাভ হবে, ক্ষতি নেই। বারবার গল্পটি শোনার পর হয়ত একসময় পুরো গল্পটি বলতে পারবে সে। এবার একটু কৌশলের আশ্রয় নিতে হবে। গল্পটির অংশবিশেষ ছাড় দিয়ে আবার শোনানো যেতে পারে তাকে। দেখবেন, ছাড় দেওয়া অংশটুকুু চট করে ধরিয়ে দিচ্ছে সে। এ কাজগুলো করতে হবে শিশুর ম্যাচিউরেশন ও শেখা বা শোনার দক্ষতা গড়ে ওঠার পর।
    শিশুকে ছন্দোবদ্ধ করে শেখানো
    এ সময় ছন্দোবদ্ধ করে শিশুকে ‘নার্সারি রাইমস’ শেখানো যেতে পারে। সপ্তাহের নাম, সংখ্যা বা বর্ণগুলো ছন্দোময় করে মনে গেঁথে দিতে পারলে সহজে ভুল করবে না শিশু। এ ক্ষেত্রে ছন্দের মিল তৈরি হওয়ার কারণে পরবর্তী ইস্যুটিও চট করে মনে এসে যাবে তার। শিশু যেন বুঝতে পারে তার সঙ্গে বড়োরা এখন আনন্দময় খেলায় শরিক হয়েছে। এমনি মজাদার অনুভূতির মাধ্যমে শিশুর মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। শিশুকে কোনোভাবেই বুঝতে দেওয়া যাবে না যে তাকে কিছু শেখানো হচ্ছে।

    পুরো বিষয়টির অর্থ তুলে ধরা
    ক্রমান্বয়ে শিশুকে পুরো বাক্য কিংবা কবিতার পঙক্তি বা চরণগুলোর অর্থ বুঝিয়ে দিতে হবে। টুকরো টুকরো করে ক্ষুদ্র অংশের অর্থ না বলে পুরো পঙক্তিমালার অর্থ বোঝার ক্ষমতা বাড়ানো গেলে মেমোরি ধারালো হতে বাধ্য।

    সূত্র: মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ২য় বর্ষ, ১ম সংখ্যায় প্রকাশিত।

    স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে

    https://youtu.be/WEgGpIiV6V8

     

    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleঅস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন যৌনরোগের সঙ্গে সম্পর্কিত
    Next Article কেন আত্মপ্রেম প্রয়োজন?
    অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল

    প্রাক্তন পরিচালক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট।

    Related Posts

    শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

    December 30, 2023

    ব্যাকামের ১৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

    November 16, 2023

    অস্থিতিশীল পারিবারিক পরিবেশ শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়

    October 3, 2023
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 20, 2025

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে মনোরোগবিদ্যা বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু

    নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ -এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে জেলা পর্যায়ে মানসিক…

    বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. ইয়াকুব আলী সরদারের স্ত্রী ইন্তেকাল করেছেন

    অলসতা কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.