জীবনের প্রায় পুরোটাই এখন উঠে এসেছে সোশাল মিডিয়ায়! উইকএন্ডের দুপুরে বানানো স্পেশাল লাঞ্চ থেকে শুরু করে সদ্য কেনা নতুন ড্রেস, সব কিছুর ছবিই আমরা শেয়ার করি সোশাল মিডিয়ায়। কিন্তু মাঝেমধ্যে এই চেনা হিসেবটা উলটেপালটে যেতে পারে! যেমন ধরুন আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে তা আপনাদের জীবনেই অশান্তি ডেকে আনতে পারে। তাই সোশাল মিডিয়ায় ও তার বাইরে সুখী সম্পর্ক বজায় রাখতে মাথায় রাখুন পাঁচটি জরুরি নিয়ম।
বেডরুমের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না
শোওয়ার ঘর কিন্তু আপনাদের সবচেয়ে ব্যক্তিগত জায়গা। বেডরুমে তোলা সেলফি বা ঘুমন্ত স্বামীর ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করলে সেটা আপনার স্বামী ভালোভাবে নাও নিতে পারেন। তাই একান্ত ঘরোয়া কোনও ছবি পোস্ট করার আগে ওঁর সঙ্গে কথা বলে নিন।
দাম্পত্যজীবনের খুঁটিনাটি শেয়ার করবেন না
স্বামীর ব্যক্তিগত খুঁটিনাটি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বেশি কথা না বলাই ভালো। সংসারের সব গল্পের ঝুলিও ইন্টারনেটে উজাড় করবেন না। আপনার ব্যক্তিগত সব তথ্য সোশাল মিডিয়ায় চলে গেলে আপনাদেরই সমস্যা হতে পারে।
পরস্পরকে দেওয়া প্রতিটি উপহারের ছবি শেয়ার না করলেই নয়?
সারাক্ষণ যদি এ সব ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তা হলে মনে হতে পারে আপনি কিছু একটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। বিবাহবার্ষিকী বা এনগেজমেন্টের মতো বড়ো ঘটনার বাছাই করা ছবি পোস্ট করতেই পারেন, তবে বাড়াবাড়ি যেন না হয়!
দাম্পত্যকলহের কথা সোশাল মিডিয়ায় নয়
পারিবারিক অশান্তির কথা সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করা মানে আরও বড়ো বিপর্যয় ডেকে আনা। স্বামীর কোনও কাজ আপনার অপছন্দ হলে সেটা নিয়ে ওঁর সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। একইভাবে বন্ধু বা পরিবারের অন্য সদস্যদের মতামত প্রয়োজন হলে সেটাও সাক্ষাতে আলোচনা করুন, সোশাল মিডিয়া মারফত নয়!
বেনিফিট অফ ডাউট দিতে দ্বিধা করবেন না
ধরা যাক রাত পর্যন্ত অফিস করে সহকর্মীদের সঙ্গে ডিনার করতে গেছেন আপনি। এবার সে জমায়েতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হলে আপনার স্বামী ভাবতেই পারেন আপনি ওঁকে মিথ্যে বলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। এই জায়গাতেই বেনিফিট অফ ডাউটের ভূমিকা। একইভাবে স্বামীকেও সেই স্পেসটা দিন। মনে রাখবেন অফলাইনে খোলামনে মেলামেশার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সফল সম্পর্কের রসায়ন।