বাবা-মা-সন্তান বা ভাই বোন, খালা-ফুপু –চাচা –মামা সব সম্পর্কই আমাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবনে সবার আলাদা জায়গা থাকে, থাকে আলাদা সম্মান আর নির্ভরতাও।
এমনই কিছু সম্পর্কের মাঝেও অনেক সময় একপক্ষ বাধ্য হয়েই কিছু কথা লুকিয়ে যায়, বা লুকাতে চায়। এটা আসলে সম্পর্ক রক্ষার জন্যই করা হয়। কিন্তু কেমন সে লুকোচুরি, আর কেনই বা করা হয়?
সুখী দম্পতি শামিলা-আবিরের ৭ বছরের ছেলে সীমান্ত। সুখের সংসারে কোনো কিছুরই কমতি নেই। ছেলের সঙ্গে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সব করছে বাবা-মা। কিন্তু শামিলার ভয় হয়, তার জীবনের একটি অধ্যায় নিয়ে…আবিরের সঙ্গে বিয়ে আগে তার আরও একটি বিয়ে হয়েছিল। সব জেনেই আবির তাকে বিয়ে করেছে, কিন্তু তাদের সন্তান, সে যদি বড় হয়ে বিষয়টি জানতে পেরে সহজভাবে না নিতে পারে? এই চিন্তায় এখন থেকেই শামিলার ঘুম হারাম অবস্থা। শামিলা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, তার কী করা উচিৎ।
আবার ৩ বছরের পারভেজ বড় হচ্ছে নিঃসন্তান খালার কাছে। পারভেজের জন্মের পরপরই তার বাবা মায়ের বিয়ে ভেঙেছে। তার বাবা-মা আবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। এই অবস্থায় পারভেজের আসল মাও রয়েছেন মহা চিন্তায় বড় হয়ে পারভেজ যখন জানতে পারবে, মা কাছে থেকেও খালার কাছে সে মানুষ হয়েছে। তখন তার মানসিক অবস্থা কেমন হবে!
সন্তানের মানসিক বিকাশে বাধা হতে পারে বলে যদি তার পরিচয় বা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়াল করা হয়, তবে তা পরে জানলে এটা আরও বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশু অবস্থায়ই এধরনের কথাগুলো তাকে জানিয়ে দিতে হবে। যেন সে বড় হয়ে বিষয়গুলো খুব সাধারণভাবে নিতে পারে। আর এতে করে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কেও কোনো দূরত্ব তৈরি হবে না। বরং এক ধরনের সহানুভুতি ও ভালোবাসা বিশেষ করে সত্য জানানোর জন্য মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে সুস্থ পরিবেশে শিশু বেড়ে উঠবে।
আবার ৩ বছরের পারভেজ বড় হচ্ছে নিঃসন্তান খালার কাছে। পারভেজের জন্মের পরপরই তার বাবা মায়ের বিয়ে ভেঙেছে। তার বাবা-মা আবার অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে। এই অবস্থায় পারভেজের আসল মাও রয়েছেন মহা চিন্তায় বড় হয়ে পারভেজ যখন জানতে পারবে, মা কাছে থেকেও খালার কাছে সে মানুষ হয়েছে। তখন তার মানসিক অবস্থা কেমন হবে!
সন্তানের মানসিক বিকাশে বাধা হতে পারে বলে যদি তার পরিচয় বা পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়াল করা হয়, তবে তা পরে জানলে এটা আরও বিরুপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এজন্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, শিশু অবস্থায়ই এধরনের কথাগুলো তাকে জানিয়ে দিতে হবে। যেন সে বড় হয়ে বিষয়গুলো খুব সাধারণভাবে নিতে পারে। আর এতে করে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কেও কোনো দূরত্ব তৈরি হবে না। বরং এক ধরনের সহানুভুতি ও ভালোবাসা বিশেষ করে সত্য জানানোর জন্য মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে সুস্থ পরিবেশে শিশু বেড়ে উঠবে।