জোরে কোনো কথা বললে রেগে যায়

আবদার করে না পাওয়া পর্যন্ত সে শান্ত হয় না

সমস্যাঃ আমার স্ত্রীর নাম শাহানা, বয়স ৩৫। একটা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করে। মাঝে মাঝেই সে অজ্ঞান হয়ে যায়। মাথায় তেল পানি দিলে ধীরে ধীরে জ্ঞান ফিরে আসে। এরপর তার আচরণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। যেমন-জোরে কোনো কথা বললে রেগে যায় এবং হাতের কাছে যা পায় তা-ই ছুঁড়ে মারে। তার কণ্ঠস্বর পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং এমন অসুস্থ হয়ে পড়ে যে অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পর্যন্ত পারে না। এমনিতে সে শান্ত স্বভাবের। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি এবং তাদের কথামতো বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষাও করিয়েছি কিন্তু রিপোর্ট সব ভালো। এখন ডাক্তার মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। আমার প্রশ্ন হলো, আমার স্ত্রীর এ রকম অসুস্থতার সাথে মানসিক রোগের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা? যদি থাকে তাহলে সেটা কী ধরনের রোগ এবং এই রোগের চিকিৎসা কী? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।

-আসাদুর রহমান, কেরানীগঞ্জ।

পরামর্শঃ আপনার স্ত্রীর অসুস্থতার মধ্যে অজ্ঞান হয়ে পড়া, আচরণের পরিবর্তন, কণ্ঠস্বরের পরিবর্তনের কথা লিখেছেন। এগুলো কনভার্সন ডিজঅর্ডার (Conversion Disorder) এর উপসর্গ। এটি একটি মানসিক অসুস্থতা। তার মানসিক দুশ্চিন্তাগুলো শারীরিক উপসর্গ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। আপনি আরো লিখেছেন যে, অসুস্থতার সময়ে তিনি অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটতে পারেন না। অর্থাৎ তিনি অন্যের কাছ থেকে মনোযোগ চাচ্ছেন। হয়তো আপনার থেকেও তিনি মনোযোগ চাচ্ছেন। এমন হতে পারে যে, সময়ের অভাবে আপনাদের মধ্যে খোলাখুলিভাবে কথাবার্তা হচ্ছে না। বিনোদনের জায়গাটাতেও অভাব আছে কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব আছে। তার চিকিৎসার জন্য সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজন। কিছু ওষুধও দরকার হতে পারে। আটটা থেকে দশটা লম্বা সেশন প্রয়োজন হতে পারে। তার মনের কথা শোনা, কনফ্লিক্ট মনোযোগ চাচ্ছেন। এমন হতে পারে যে, সময়ের অভাবে আপনাদের মধ্যে খোলাখুলিভাবে কথাবার্তা হচ্ছে না। বিনোদনের জায়গাটাতেও অভাব আছে কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব আছে। তার চিকিৎসার জন্য সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজন। কিছু ওষুধও দরকার হতে পারে। আটটা থেকে দশটা লম্বা সেশন প্রয়োজন হতে পারে। তার মনের কথা শোনা, কনফ্লিক্ট (Conflict) মনোযোগ চাচ্ছেন। এমন হতে পারে যে, সময়ের অভাবে আপনাদের মধ্যে খোলাখুলিভাবে কথাবার্তা হচ্ছে না। বিনোদনের জায়গাটাতেও অভাব আছে কিংবা পারিবারিক কোনো দ্বন্দ্ব আছে। তার চিকিৎসার জন্য সাইকোথেরাপি/কাউন্সেলিং সেশন প্রয়োজন। কিছু ওষুধও দরকার হতে পারে। আটটা থেকে দশটা লম্বা সেশন প্রয়োজন হতে পারে। তার মনের কথা শোনা, কনফ্লিক্ট দূর করা, সেইসঙ্গে রিলাক্সেশন ও মেডিটেশন কার্যকরী হতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ থেকে চিকিৎসা নিন। আশাকরি উপকৃত হবেন। দূর করা, সেইসঙ্গে রিলাক্সেশন ও মেডিটেশন কার্যকরী হতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ থেকে চিকিৎসা নিন। আশাকরি উপকৃত হবেন। দূর করা, সেইসঙ্গে রিলাক্সেশন ও মেডিটেশন কার্যকরী হতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে থেকে চিকিৎসা নিন। আশাকরি উপকৃত হবেন। দূর করা, সেইসঙ্গে রিলাক্সেশন ও মেডিটেশন কার্যকরী হতে পারে। আপনি একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে থেকে চিকিৎসা নিন। আশাকরি উপকৃত হবেন।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন্নাহার

সাবেক বিভাগীয় প্রধান, মনোরোগবিদ্যা

বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সূত্রঃ মনের খবর মাসিক ম্যাগাজিন, ৪র্থ বর্ষ, ৫ম সংখ্যায় প্রকাশিত। 

স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে   

 

“মনের খবর” ম্যাগাজিন পেতে কল করুন ০১৮ ৬৫ ৪৬ ৬৫ ৯৪
Previous articleমানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কিছু বিশেষ পরিপোষকের ভূমিকা
Next articleকমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের আলোচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here