অতিরিক্ত যৌন সম্পর্ক মানুষের শরীরের জন্য ব্যাপক খারাপ পরিণত বয়ে আনতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পাশাপাশি সংস্থাটি যৌন আসক্তিকে এই প্রথম মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।
রোগব্যাধির আন্তর্জাতিক শ্রেণিকরণের একাদশ সংস্করণে যৌন আসক্তি বা বাধ্যতামূলক যৌন আসক্তি ব্যাধিকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ডব্লিউএইচও।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, যৌন তাড়না ও যৌন আচরণের ওপর তীব্র নিয়ন্ত্রণের ব্যর্থতার কারণে যে কোনো মানুষের মধ্যে এই আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। যৌন আসক্ত ব্যক্তির জীবনে সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দুই হয়ে দাঁড়ায় যৌনতা। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ব্যক্তিগত দায়িত্বজ্ঞানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এই ব্যাধি শনাক্ত হওয়ার আগে আসক্তির কারণে কোনো ব্যক্তি অনন্ত ছয় মাস মানসিক যন্ত্রণায় ভুগতে পারেন বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যসেবা (এনএইচএস) যৌন আসক্তি মানসিক ব্যাধিতে অন্তর্ভুক্ত করবেন কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন যৌন আসক্তিকে মানসিক ব্যাধি হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি।
রয়েল কলেজ সাইকিয়াট্রিস্টের সদস্য ডা. ভ্যালেরি ভুন বলেন, লজ্জার কারণ হওয়ায় এ ধরনের আচরণ গোপন রাখা হয়। অধিকাংশ সময় এই আসক্তি প্রকাশ্যে আসে না। কাজেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই উদ্যোগ অবশ্যই চমৎকার পদক্ষেপ। এতে করে যারা এ রোগে ভুগছেন, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে।