এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সঙ্গীর ধরণ, সঙ্গী কি গতানুগতিক মন-মানসিকতার, না সমান কাজে বিশ্বাসী, নাকি অতি আধুনিক? একটি নতুন তথ্য বলছে, সম্পর্কের ধরণের উপর ও ভালো সম্পর্কের জন্য লিঙ্গভেদে কাজ ভাগ করে নেওয়া নির্ভর করে।
আমাদের জীবনে যে কাজগুলি ভাগ করে নিতে চাই, তা হলো কে খাবার প্রস্তুত করবে, কে কাপড় পরিষ্কার করবে, কে গাড়িটা পরিষ্কার করবে বা কে বিছানা তৈরি করবে ইত্যাদি। গবেষণা বলছে যে, আপনাদের দৈনন্দিন কাজ ভাগ করে নেওয়াটাই বলে দিবে আপনাদের সম্পর্ক কেমন।
সচরাচর যেটা দেখা যায়, তা হলো, কাজ ভাগ করে নেওয়ার জন্য গতানুগতিক যে নিয়মটা আছে, তা-ই থাকে এবং বেশিরভাগ সম্পর্কের ক্ষেত্রে মেয়েরাই দৈনন্দিন কাজগুলো করে যায়। যদিও এখনকার সময়ে যুগলরা সমমনা এটা মনে করা হয় এবং এক-তৃতীয়াংশ যুগল তাদের কাজ ভাগ করে নেয়।
গবেষণা আরো বলছে যে, সমমনা কাপলরাই বেশি সুখী থাকে তাদের সম্পর্কে।
১। কতবার যৌনমিলন হচ্ছে: সমমনা সঙ্গীরা বলছে তাদের প্রতি মাসে গড়ে ৭ বার যৌন মিলন হয়। এই সংখ্যাটা গতানুগতিক বা অত্যাধুনিক যেকোনো কাপলদের চেয়ে বেশি। সুন্দর সম্পরকের ভিত্তিতেও এটা প্রভাব ফেলে।
২। যৌন পরিতৃপ্তি: সমমনা এবং গতানুগতিক যুগলরা বলছে, তারা অধিক যৌন পরিতৃপ্তি পায় কিন্তু অতি আধুনিক মানসিকতার যুগলরা কম পায়।
৩। সম্পর্কে সন্তুষ্টি: দেখা যাচ্ছে যে, সমমনা নারী-পুরুষ উভয়ই তাদের সম্পর্কে এবং কাজ ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে সুখী থাকে অন্য যুগলদের চেয়ে।
৪। কীভাবে কাজগুলো ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে তার উপরও সম্পর্কের সন্তুষ্টি নির্ভর করে, কারণ কাজ দুজনে ভাগ করে নিলে একজনের উপর কম চাপ পরে।
৫। স্পষ্টতা: দেখা যায় যে, আমরা আমাদের ভালো অনুভূতিগুলো ভাগাভাগি করি, খারাপগুলো এড়িয়ে যাই। যারা সমমনা, তারা সবকিছুই ভাগ করে নিতে চায় অন্যদের থেকে বেশি, যারা কিনা গতানুগতিক নারী বা অত্যাধুনিক পুরুষ।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি ডটকমে প্রকাশিত Theresa E DiDonato এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুস্মিতা বিশ্বাস।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/us/blog/meet-catch-and-keep/201804/are-you-egalitarian-couple?utm_source=FacebookPost&utm_medium=FBPost&utm_campaign=FBPost