বলিভিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামলেই রেকর্ডটা নিজের করে নেবেন আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসি, এমনটাই জানা ছিলো মেসি ভক্তদের। রেকর্ডটা আরো রাঙিয়ে তুলতে এবার কোপা ঘরে তুলতে চায় আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার হয়ে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার রেকর্ড এখন লিওনেল মেসির। আজ কুইয়াবায় বলিভিয়ার বিপক্ষে রেকর্ডের সেই ম্যাচে কী চমৎকার ফুটবলই না উপহার দিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা মেসি।
হাভিয়ের মাচেরানোকে ছাড়িয়ে যাওয়া মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ১৪৮তম ম্যাচ খেলতে নেমে তাঁর জাদুতেই বলিভিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে দলটি। এর ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। আগামী ৩ জুলাই গোইয়ানিয়ায় বি গ্রুপের চতুর্থ দল ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ আটের লড়াইয়ে নামবে মেসির আর্জেন্টিনা।
বলিভিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড ভাঙার ম্যাচে ২টি গোল করেছেন মেসি, করিয়েছেন আরও ১টি। একতরফা ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে বাকি গোলগুলো করেছেন পাপু গোমেজ ও লাওতারো মার্তিনেজ।
মেসির আর্জেন্টিনার বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বলিভিয়ার। দলটির জন্য শেষ ম্যাচটি ছিল নিছকই আনুষ্ঠানিকতা। তবে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি ছিল গ্রুপসেরা হয়ে নকআউট পর্বে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। সেই কাজটাই কী দারুণভাবে সাড়লেন মেসিরা।
এদিন মেসিরা ম্যাচের প্রথম তিন মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু আর্জেন্টিনার হয়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামা স্ট্রাইকার সের্হিও আগুয়েরো ও আনহেল কোরেয়া সহজ সুযোগ নষ্ট করায় আর সেটা হয়নি।
তবে ৬ মিনিটে কোরেয়ার কাছ থেকে পেনাল্টি বক্সের মাথায় বল পেয়ে যান মেসি। সেখান থেকে বলিভিয়ার ডিফেন্ডারদের মাথার ওপর দিয়ে কী দারুণভাবেই না গোমেজকে বলটা দিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বলিভিয়ার গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়ে যান ৩৩ বছর বয়সী গোমেজ।
আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলটি পায় ৩৩ মিনিটে। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন মেসি। গোমেজকে বক্সের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন বলিভিয়ার হুসতিনিয়ানো। আর্জেন্টিনার জার্সিতে সেটি ছিল মেসির সব মিলিয়ে ৭৪তম ও পেনাল্টি থেকে ১৮তম গোল।
মেসি ৭৫তম গোলটি পেয়ে যান ৪২ মিনিটে। আগুয়েরোর থ্রু বল ধরে বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে শট নেন মেসি। এগিয়ে আসা বলিভিয়ার গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পের মাথার ওপর দিয়ে জালে জড়ায় বল। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ১৯৯৩ সালে সর্বশেষ কোপা আমেরিকা জেতা আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ঘড়ির কাটা ঠিক এক ঘণ্টা ছুঁতেই বলিভিয়া একটা গোল পেয়ে যায়। হুসতিনিয়ানোর পাস থেকে ফ্রাঙ্কো আরমানিকে পরাস্ত করতে ভুল করেননি এরউইন সাভেদ্রা। পাঁচ মিনিট পরেই আবার ব্যবধানটা ৩ করে ফেলে মেসির আর্জেন্টিনা। বদলি হিসেবে মাঠে নামার ২ মিনিটের মধ্যে গোল পেয়ে যান লাওতারো মার্তিনেজ।