দিনচর্যা কিন্তু আমাদের মনের ওপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, শরীর সুস্থ রাখাটাও মন ভালো রাখার অন্যতম উপায়।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, দিনচর্যা ও ঋতুচর্যা। অর্থাৎ, প্রত্যেকদিন পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে আমাদের প্রতিদিনের যাপন কেমন হবে। প্রতিটি ঋতুতেও তাই দিনযাপন আলাদা হয়।
এই দিনচর্যা কিন্তু আমাদের মনের ওপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি, শরীর সুস্থ রাখাটাও মন ভালো রাখার অন্যতম উপায়। তাই, শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ঠিক থাকলে, বজায় থাকবে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যও।
সকালে
সকালে ফ্রেশ হোম কুকড ব্রেকফাস্ট করবো, পেট ভরে মন ভরে। রাজার মতো! সকালবেলা খাবার খাওয়ার পর সারাদিন কিন্তু পানি খাওয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
দুপুরবেলা
দুপুরবেলা খেতে হবে প্রজার মতো। অর্থাৎ রাজার চেয়ে একটু কম পরিমাণে!
রাতে
রাতেরবেলা আমাদের খেতে হবে একেবারে ভিক্ষুকের মতো স্বল্পাহার।
তবে, একইসাথে আরও কিছু বিষয় মেনে চলতে পারলে সেটি আমাদের শরীর ও মন দু’টির জন্যই খুব ভালো।
১. সিজনাল ফ্রুটস, যেমন জাম, লিচু, চেরি, পাকা পেঁপে, বেদানা, পেয়ারা খাওয়া অত্যন্ত ভালো। তরমুজের মতো জলপূর্ণ ফলে ওয়াটার রিটেনশন বেড়ে যেতে পারে।
২. লবণও না খাওয়াই ভাল যতটা সম্ভব। এতে শরীরে পানির ভাগ ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে।
৩. প্রতিদিন এক কোয়া বা অর্ধেক কোয়া রসুন খেলে ইমিউনিটি বাড়াতে পারে।
৪. দই খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কারণ তা খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রতিহত করে।
৫. উচ্ছে ও করলা খেলে ইনফেকশন থেকে দূরে থাকা যায়।
৬. কাঁচা তেল থেকে ইনফেকশন হতে পারে। কর্ন অয়েল বা লাইট অয়েল খাওয়াটা ভালো। যেহেতু এই সময় ব্যাকটেরিয়ার শক্তিবৃদ্ধি হয়, তাই ইনফেকশনের প্রবণতা বেড়ে যায়।
৭. মশলাদার খাবার থেকে অ্যালার্জি বেড়ে যায়। র-স্যালাডের চেয়ে স্টিমড-স্প্রাউট ভাল।