জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

শুরু হতে যাচ্ছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ-২০১৯। এ উপলক্ষে জরিপে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসক ও তথ্য সংগ্রহকারীদের দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ৩-৪ মার্চ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের কনফারেন্স হলে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালাতে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপের সকল তথ্য সংগ্রহকারী ও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ অংশগ্রহণ করে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন।
এই জরিপের মূল উদ্দেশ্য হল, সরকারের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতিমালা প্রনয়নে সহায়তা করা। কোথায় কত টাকা বরদ্দা দেওয়া হবে, কোথায় হাসপাতাল প্রয়োজন, আমাদের এডুকেশন পলিসিতে কোন পরিবর্তন আনতে হবে কিনা, তা এই জরিপের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বলে জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারি রেজিস্টার ডা. আহসান আজিজ।
তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অর্থায়নে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রন রোগ কর্মসূচির আওতায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এই জরিপটি পরিচালনা করবে। তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
এটির ফল চলতি বছরেই প্রকাশিত হবে বলেও জানান তিনি।

জরিপে মানসিক স্বাস্থ্য জরিপে প্রাপ্তবয়স্কদের কি ধরনের মানসিক রোগ হতে পারে, কুসংস্কার, চিকিৎসার ক্ষেত্রে কি কি বাধা আছে, এবং মানসিক রোগ হলে মানুষ কোথায় যাবে-এই সমস্ত বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রায় নয় হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি তিন হাজার  শিশুকেও ইন্টারভিউ করা হবে বলে জানান ডা. আহসান আজিজ । এর জন্য সারা বাংলাদেশ থেকে ৪৯৬ জায়গা নির্ধারণ করা হবে।

 
জরিপে প্রধান গবেষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফারুক আলম।

মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে মানুষের ধারনা কি, কুসংস্কার আছে কিনা, সচেতনতা আছে কিনা, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সেবা নেওয়ার প্রবণতা কতটুকু বা মানসিকভাবে অসুস্থ হলে তাদের সেবা গ্রহণে অনীহা কতটুকু, কোথায় সেবা পেতে পারে, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের বিশ্বাস কি, পাশাপাশি কোন কোন ধরনের মানসিক রোগ আমাদের দেশে বেশি হচ্ছে সেটিও এই জরিপের মাধ্যমে জানা হবে বলে জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ আল মামুন।
উল্লেখ্য, দেশে সর্বশেষ মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ করা হয় ২০০৩-২০০৫ মৌসুমে।

Previous articleমানসিক সুস্থতার জন্য “নিরুদ্বেগ প্রতিক্রিয়া” কৌশল
Next articleলেখক লেখকই, লেখকের কোনো জেন্ডার নেইঃ সেলিনা হোসেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here