মানসিক চাপ দূরে রাখতে রোজ খান কলা

0
54

কলা এমন একটা ফল যা প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। যখন-তখন খাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় ১০৭টি দেশে পাওয়া যায় স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর এই ফলটি।

পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, কলায় রয়েছে, প্রায় ৯০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২১০ ক্যালোরি, ৫৪ গ্রাম শর্করা, ২ গ্রাম ফাইবার, ২৮ গ্রাম সুগার আর ৬ গ্রাম প্রটিন। এ ছাড়াও কলায় রয়েছে ২ শতাংশ ভিটামিন এ, ৩৪ শতাংশ ভিটামিন সি, ২ শতাংশ আয়রন, ৪০ শতাংশ ভিটামিন বি-৬, ১৬ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম। তাই আমাদের শরীরের নানা সমস্যার মোকাবিলায় সাহায্য করে কলা।
আসুন এ বার কলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারীতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
১) কলায় থাকা পটাশিয়াম আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কলা আমাদের প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম জমতে দেয় না। ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
২) কলায় থাকা প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা এবং সল্যুবল ফাইবার শরীরে শক্তির যোগান দেয়।
৩) পাকা কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। প্রতিদিন একটি বা দু’টি কলা খেতে পারলে আমাদের হৃদযন্ত্র অনেক বেশি সুস্থ বা সচল থাকবে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
৪) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কলার জুড়ি মেলা ভার। কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে বিটামিন বি-৬, যা শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড সৃষ্টি করে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৫) কলায় থাকা ফাইবার এবং প্রোবায়োটিক অলিগোস্যাকারাইজড হজমের ক্ষেত্রে খুবই সহায়ক। এর ফলে খাদ্য উপাদান থেকে শরীর আরও বেশি পুষ্টি সঞ্চয় করতে পারে।
৬) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় কলা অব্যর্থ টোটকা। কলায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুবই উপকারী।
৭) পাকা কলায় থাকে TNF-A নামের এক ধরণের যৌগ যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই যৌগ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৮) কলার খোসা থাকা সামান্য পরিমাণ ফ্যাটি উপাদান ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। কলার খোসা ত্বকে ঘষলে ত্বকের আদ্রতা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ব্রণর সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতেও কলার খোসা ব্যবহার করা হয়।
৯) কলায় আছে ট্রিপটোফ্যান নামের এক রকম অ্যামিনো অ্যাসিড, যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়। সেরোটোনিনের সঠিক মাত্রা আপনার মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এই উপাদান আমাদের স্নায়ুকে শিথিল করে। ফলে ঘুম ভাল হব।
সূত্র: বোল্ড-স্কাই
Previous articleসন্তানকে স্বাবলম্বী ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন
Next articleসামাজিক মাধ্যমের সর্বনাশা আসক্তি থেকে কীভাবে মুক্তি?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here