করোনাকালের আগে প্রকাশিত জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৮-১৯ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে উদ্বেগজনিত অসুস্থতার হার প্রায় ৫ শতাংশ এবং বিষণ্নতাজনিত অসুস্থতার হার প্রায় ৭ শতাংশ।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় জরিপের সঙ্গে ছোট পরিসরের সামনাসামনি জরিপ এবং অনলাইন জরিপ তুলনাযোগ্য না হলেও এসব তথ্য থেকে ধারণা করা যায় করোনা মানসিক স্বাস্থ্যে কী ভয়াবহ ছাপ ফেলছে।
গুরুতর সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জরিপটির জন্য ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা ২৮৮ জনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। দেশে কোভিড-১৯ প্রথম শনাক্ত হওয়ার সময় ২০২০ সালের ৮ মার্চের পর যাঁদের প্রথমবারের মতো মানসিক সমস্যার উপসর্গ ধরা পড়েছে, প্রতিবেদনটির জন্য তাঁদেরই শুধু বাছাই করা হয়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৩৫ শতাংশের বয়স ২০ বছরের নিচে। অংশগ্রহণকারীদের ৪ শতাংশ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। ২ শতাংশ অংশগ্রহণকারীর স্বজনেরা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে মানসিক অসুস্থতার গুরুতর ধরন সিজোফ্রেনিয়া ও স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারে ভোগা রোগীর সংখ্যা বেশি, ২৭ শতাংশ। বাইপোলার রোগী ২৩ শতাংশ।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহির্বিভাগে ২০২০ সালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে পুরুষ ২০ হাজার ৫৮২ জন এবং নারী ছিলেন ১৬ হাজার ৪৮০ জন।
২৫ শতাংশই শিক্ষার্থী
হাসপাতালটির জরিপ প্রতিবেদন অনুসারে, মানসিক অসুস্থতা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠের বয়স ছিল ১১ বছর এবং সবচেয়ে বেশি বয়সী ছিল ৭০ বছর। এ ছাড়া বেকারের সংখ্যা ২৩ শতাংশ, গৃহবধূ ২২ শতাংশ, দিনমজুর ৫ শতাংশ, চাকরিজীবী ১১ শতাংশ, ব্যবসায়ী ৭ শতাংশ এবং কৃষিকাজে যুক্ত ১ শতাংশ ব্যক্তি ছিলেন।
করোনায় স্বজনহারাদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পেতে দেখুন: কথা বলো কথা বলি
করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও দেখুন: সুস্থ থাকুন মনে প্রাণে