Close Menu
    What's Hot

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদ্‌যাপন

    Facebook X (Twitter) Instagram
    Thursday, October 16
    Facebook X (Twitter) Instagram
    মনের খবরমনের খবর
    ENGLISH
    • মূল পাতা
    • কার্যক্রম
      1. জাতীয়
      2. আন্তর্জাতিক
      Featured
      কার্যক্রম October 14, 2025

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      Recent

      ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

      বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

      বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    • প্রতিদিনের চিঠি
    • মানসিক স্বাস্থ্য
      1. মাদকাসক্তি
      2. মানসিক স্বাস্থ্য সেবা তথ্য
      3. যৌন স্বাস্থ্য
      4. শিশু কিশোর
      Featured
      ফিচার October 7, 2024

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      Recent

      যৌনতা নিয়ে ভুল ধারণা

      শিশুর আবেগ নিয়ন্ত্রণ কীভাবে শেখাবেন

      কর্মব্যস্ততা প্রভাব ফেলে যৌনজীবনে

    • ফিচার
    • প্রশ্ন-উত্তর
      1. বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
      2. মাদকাসক্তি
      3. মানসিক স্বাস্থ্য
      4. যৌন স্বাস্থ্য
      Featured
      প্রশ্ন-উত্তর August 7, 2025

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      Recent

      অতিরিক্ত চিন্তা আমার পড়ালেখার হ্যাম্পার করছে

      কেউ আমার সঙ্গে ১০ মিনিট থাকলেই বিরক্ত হয়ে যায়

      বর্তমানে খুব ভয়াবহ সমস্যায় ভুগছি, কী করবো বুঝতে পারছিনা

    • জীবনাচরণ
      1. অন্যান্য
      2. অপরাধ আচরণ
      3. কুসংস্কার
      4. মতামত
      5. মন ও ক্রীড়া
      6. মন প্রতিদিন
      7. মনোসামাজিক বিশ্লেষণ
      8. সাক্ষাৎকার
      Featured
      সাক্ষাৎকার October 13, 2025

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      Recent

      বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

      পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি ও বিরক্ত কাজ করছে

      ভুল ধারণা ও কুসংস্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় বড় বাধা — ডা. মো. আব্দুল মতিন

    • মনস্তত্ত্ব.
      1. তারকার মন
      2. ব্যাক্তিত্ব
      3. মনস্তত্ত্ব
      Featured
      মনস্তত্ত্ব December 5, 2023

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      Recent

      শিশুদের ওসিডি অভিভাবকেরই দায় বেশি

      মানুষ বদলালেই কেবল পৃথিবী বদলাবে

      প্রসঙ্গ : সাইক্লোথাইমিক ব্যক্তিত্ব

    • করোনায় মনের সুরক্ষা
      1. টিপস্
      2. বিশেষজ্ঞের মতামত
      3. বিশ্ব পরিস্থিতি
      4. সার্বক্ষনিক যোগাযোগ
      Featured
      টিপস্ September 28, 2024

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      Recent

      MK4C-তে কীভাবে টেলিসাইকিয়াট্রি চিকিৎসা নেবেন?

      প্রবাসীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় MK4C-তে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা নেওয়ার পরামর্শ

      পরিবার যেভাবে শিশুকে গড়ে তুলবে

    মনের খবরমনের খবর
    You are at:Home » মনোরোগের ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চেয়ে উপকারিতা কি বেশি?
    ফিচার

    মনোরোগের ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার চেয়ে উপকারিতা কি বেশি?

    মনের খবর ডেস্কBy মনের খবর ডেস্কJune 9, 2020No Comments9 Mins Read0 Views
    Facebook Twitter Pinterest Telegram LinkedIn Tumblr Email Reddit
    করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মানসিক রোগের ওষুধ বিক্রি
    করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে মানসিক রোগের ওষুধ বিক্রি
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Pinterest WhatsApp Email

    মনোরোগের ওষুধের সুবিধা-অসুবিধা বা ভালো-খারাপ নিয়ে অনেক কথাবার্তা শোনা যায়। এই জাতীয় ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে কিছু মানুষ নিজের মনে এই বিষয়ে শুধু আন্দাজ বা ধারণা গড়ে তোলে। আবার যারা মানসিক রোগের ওষুধ খান তাদের মধ্যেও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে অনেক চিন্তা দেখা দেয়। সম্প্রতি এই জাতীয় ওষুধ সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন নিয়ে ভারতের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা একটি প্রতিষ্ঠান সেদেশের সাক্রা হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাবিনা রাও-এর কাছে উত্তর জানতে চান। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সেই সাক্ষাৎকারটি মনের খবর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল:

    মনোরোগের ওষুধ সম্পর্কে একজন মানুষের মনের সাধারণ চিন্তাগুলো ঠিক কী?
    মানুষ সাধারণত মানসিক রোগের অসুখের ওষুধ খেতে চায় না। চিকিৎসক হিসেবে আমার বহু বছরের অভিজ্ঞতায় আমি এর কারণ হিসেবে যা যা শুনেছি সেগুলো হল- ”এই ওষুধ খেলে আমার মস্তিষ্কের কার্যাবলী বদলে যাবে। অথবা ”আমি ওই ওষুধগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ব”। আবার কিছু মানুষ ভাবে যে শুধু তাদের  জীবন এই ধরনের ওষুধের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়বে এমন নয়, মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া বা এই রোগের ওষুধ খাওয়া তাদের কাছে দুর্বলতার লক্ষণ। মানসিক রোগের চিকিৎসা করানো বা ওষুধ খাওয়ার মানে হল নিজেকে ‘অসুস্থ’ বা ‘উন্মাদ’ প্রমাণ করা।
    মনোরোগের ওষুধ প্রায়শই দীর্ঘ সময় ধরে খেতে হয় বলে কি মানুষের মনে কোনও ধারণা গড়ে উঠেছে?
    স্বল্প মেয়াদের ওষুধ বলতে আমি তো শুধু অ্যান্টিবায়োটিক এবং ব্যথা কমানোর ওষুধের কথা মনে করতে পারছি। এছাড়া অন্য সমস্ত ধরণের ওষুধই সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি হয়। আর এক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধের সঙ্গে মনোরোগের ওষুধেরও কোনও পার্থক্য নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা সমীক্ষা অনুযায়ী গুরুতর মানসিক অবসাদের হার আমাদের দেশে ৩৬ শতাংশেরও বেশি। অন্য একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এদেশে স্কিৎজোফ্রেনিয়ার বাৎসরিক হার প্রতি হাজার জন মানুষের মধ্যে তিন থেকে চারজন। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো কিছু বিরল রোগের ক্ষেত্রে অনেকদিন ধরে ওষুধ খেতে হয়। আবার সাধারণ অসুস্থতা যেমন- মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের ক্ষেত্রে বেশিদিন ধরে ওষুধ খেতে না হতে পারে।
    মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের মতো অসুখে যারা প্রতিদিন নিয়ম করে ওষুধ খায় এবং ডাক্তারের পরামর্শ মতো থেরাপি বা কাউন্সেলিং করায় তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল ছ’মাস বা বড় জোর একবছর হতে পারে। এরপর যদি দেখা যায় যাদের আর কোনও সমস্যা নেই তাহলে তাদের আর ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। যদি কেউ একবার মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয় তাহলে তার মধ্যে অবসাদ আরেকবার দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ থাকে। কিন্তু আবার দেখা না দেওয়ার সম্ভাবনাও ৫০ শতাংশ থাকে। এটা তখনই সম্ভব যদি একজন রুগি ছ’মাস থেকে একবছর ধরে একটানা ওষুধ খায় এবং অবসাদ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কিছু কৌশল শিখে নিতে পারে। যদি দ্বিতীয়বার কেউ মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয় তাহলে অবসাদ কাটানোর বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করলে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে তার ওষুধ খাওয়ার দরকার না-ও হতে পারে।
    ঠিক কী অবস্থায় পৌঁছলে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রুগিকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন?
    কিছু রুগি এসে ডাক্তারের কাছে বলে যে তার মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং ওষুধের দ্বারা সে চিকিৎসা করাতে চায়। তারপর তারা অন্ধের মতো ডাক্তারের কাছে আসে এবং বলে, ”আপনাকে দেখানোর কথা আমি শুনেছি, কিন্তু এর কারণ আমি জানি না, তবে আমি কখনোই ওষুধ খাব না।” মানুষ এটা বোঝে না যে শুধু মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসলেই অসুখ সারবে না। এমনকী ডাক্তার যদি কাউন্সেলিং-এর জন্য সুপারিশ করেন তাহলে এক বা দু’বার করালেই সমস্যা দূর হবে না। রুগিকে ডাক্তারের কাছে নিয়মিত বেশ কিছুদিন ধরে আসতে হবে এবং তাঁর চিকিৎসাধীন থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কগনিটিভ বিহেভিয়র থেরাপির কথাই ধরা যাক। এই থেরাপির সময়কাল কমপক্ষে ১৬ সপ্তাহ, অর্থাৎ ৪মাস। এবং কেউ যদি এই নির্দিষ্ট সময় ধরে চিকিৎসা করাতে না পারে তাহলে অন্তত এর অর্ধেক সময় থেরাপি করালে সে তার অসুখ নিয়ন্ত্রণে রাখার কিছু কৌশল রপ্ত করতে পারবে।
    রুগি একজন ডাক্তারকে কী বলছে তার উপর ভিত্তি করে ডাক্তার সিদ্ধান্ত নেন। যদি কেউ ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে তার মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা জাগছে, সে আর সমস্যা সহ্য করতে পারছে না, তার মধ্যে হতাশা, কর্মবিমুখতা এবং অবসাদের  জন্ম হচ্ছে, তখন ডাক্তার সেই মানুষটিকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ডাক্তার বুঝতে পারেন যে লোকটির অসুস্থতা খুব অল্প পরিমাণ নয়। কিন্তু যদি কেউ বলে যে কিছু সমস্যার জন্য তার কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে এবং তার মধ্যে দিশাহারা বোধ হচ্ছে, কিন্তু আত্মহত্যার প্রবণতা জাগছে না, তখন ডাক্তার তার শুধু কাউন্সেলিং-এরই ব্যবস্থা করবেন। যখন কেউ মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন তখন তাঁর উচিত মনকে খোলা রেখে যাওয়া। মানসিক রোগের ওষুধ খেলে কারোর মধ্যে ওষুধের প্রতি আসক্তি জন্মায় না। বরং এই জাতীয় ওষুধ যথেষ্ঠ নিরাপদ যা গর্ভাবস্থার বেশিরভাগ সময় অবধি নিরাপদে দেওয়া যায়।
    ইদানীং তো প্রত্যেকেই চায় তাড়াতাড়ি রোগের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে?
    যদি রুগি সমস্যা লক্ষ করার কিছু সময়ের মধ্যেই আমার কাছে আসেন তাহলে আমরা চেষ্টা করি তাঁর প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁকে “রোগ মুক্ত” করতে। কিন্তু এই ঘটনা এদেশে বড় একটা ঘটে না। রুগি মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে আসে সমস্যা শুরু হওার অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে, যখন তা বেড়ে মাঝারি থেকে গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি কারোর মধ্যে এক মাস ধরে ঘুমের সমস্যা চলতে থাকে তাহলে কোনও ডাক্তারই তা এক বা দু’দিনের মধ্যে সারিয়ে দিতে পারবে না। অন্যান্য যে কোনও রোগের চিকিৎসার মতো মনোরোগের চিকিৎসা করতেও যথেষ্ঠ সময় লাগে।
    মানুষকে বুঝতে হবে যে সাধারণ মানসিক রোগের চিকিৎসার একটি অংশ হল পারিপার্শ্বিক চাপ সৃষ্টি করা জিনিষগুলোর প্রতি মনোভাব আর প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটানো। চিকিৎসায় সাড়া দিতে কারোর এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে এবং এই চেষ্টায় রুগির সক্রিয় অংশগ্রহণও দরকার।
    চিকিৎসায় ওষুধ এবং কাউন্সেলিং-এর ব্যবহারের সাধারণ অনুপাত কী হতে পারে?
    যার মধ্যে সমস্যার পরিমাণ কম থাকে তার পক্ষে কাউন্সেলিং যথেষ্ঠ। কিন্তু ভারতের মতো দেশে রুগি যখন ডাক্তারের কাছে আসে তখন তার সমস্যা মাঝারি থেকে গুরুতর থাকে। এই পরিস্থিতিতে রুগিকে একজন ডাক্তার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শই দিতে পারে। তবে রুগি যদি ওষুধ না খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে তাহলে তাদের ক্ষেত্রে নিয়মিত থেরাপির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আর এই চিকিৎসা একদিনে করা যায় না। একদিন চিকিৎসা করিয়ে রুগি যদি তার সেই আগের বিপর্যয়ের মধ্যেই ফিরে যায় তাহলে সুফল পাওয়া সম্ভব নয়। তাই সাপ্তাহিক থেরাপি দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে তা কমাতে হবে।
    গুরুতর মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসার ধরণ কী হবে?
    বাইপোলার সমস্যা, স্কিৎজোফ্রেনিয়া বা খুব গভীর অবসাদ, তার সঙ্গে যদি থাকে হ্যালুশিনেশন তাহলে রুগি ওষুধ খেতে কখনোই অস্বীকার করতে পারে না। এগুলো এতটাই গুরুতর মানসিক অসুস্থতা যে এর ফলে মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্ম, তার বিবাহিত জীবন এবং জীবনের আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞান ওষুধ ব্যবহার না করে শুধু থেরাপির সাহায্যে চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কার করতে পারেনি। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে রুগিকে স্থিতিশীল না করে থেরাপি শুরু করা যায় না।
    মনোরোগের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে আপনি কী বলবেন? একে ঘিরে মানুষের মনে অনেক ভয় থাকে।
    যেগুলো সাধারণ মানসিক অসুখ, সেগুলোর ক্ষেত্রে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সামান্যই হয়। অধিকাংশ রুগিই জানায় যে এমন ওষুধ খেয়ে তাদের বমি বমি পায়, মাথা ব্যথা হয়, মুখের ভিতরটা শুকিয়ে যায় বা ক্লান্ত লাগে। এগুলোকে ওষুধের সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এই জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থেকে উপকারিতাই বেশি। ট্রাইসাইক্লিক অবসাদ-বিরোধী ওষুধ যা আগে ব্যবহার করা হত, তার তুলনায় এখন যে সব ওষুধ সাধারণ মানসিক রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুব সামান্যই হয়। আর কারোর ক্ষেত্রে যদি এই ওষুধের কুপ্রভাব দেখাও দেয়, তাহলে সেই ঘটনাও খুব সচরাচর ঘটতে দেখা যায় না।
    অনেকসময়েই এমন অভিযোগ শোনা যায় যে গুরুতর মানসিক রোগের ওষুধ খেয়ে রুগির চেতনা বা বোধ একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে সেই রুগিকে শান্তি দেওয়া যাবে?
    এই বিষয়টা খুব ভালো করে বোঝা দরকার। ধরা যাক যে কারোর বাইপোলার সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে যদি ম্যানিয়া বা বাতিক খুব বেশি থাকে তাহলে তার সবসময়ে মনে হবে যে ওষুধ খেয়ে সে ক্রমশ জড়ভরতের মতো হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ম্যানিয়া অনেক ক্ষেত্রে এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় যেখানে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কিন্তু এ-ও দেখা যায় যে ওই লোকটিই হয়তো মানসিক অবসাদের জন্য ওষুধ খেতে চাইছে। কারণ সে হতাশা দূর করতে ইচ্ছুক। একজন মানুষের বিরল কিন্তু গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে তার পরিবারের ভূমিকাও কম নয়। পরিবারের সদস্যরা একজন রুগিকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারে। হতে পারে যে ওষুধ খেয়ে কেউ ঝিমিয়ে পড়তে বা ক্লান্ত বোধ করতেই পারে অথবা তার দৈহিক ওজন বাড়তেই পারে। কিন্তু এই কারণে যদি সে চিকিৎসা করানো বন্ধ করে দেয় তাহলে কিন্তু পরিস্থিতি সত্যিই তার হাতের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো রোগের চিকিৎসায় ওষুধ না খেলে অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে পারে। তবু এই অসুখের বা যে কোনও গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে রুগি কাউন্সেলিং-এর মতো কৌশলের সাহায্যে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পরিমাণ কম করা যায়।
    তাই কি বলা হয় যে একজন মানসিক বিশেষজ্ঞের চিকিৎসাধীন থাকা এবং তাঁর দ্বারা রুগির অসুখের লক্ষণগুলির উপর নজরদারির মাধ্যমে অর্ধেক কাজ হয়ে যায়?
    এর মধ্য দিয়ে অর্ধেকের বেশি কাজ হয়ে যায়। সাধারণ মানসিক রোগের ক্ষেত্রে একটা সময়ের পর ওষুধ খাওয়া বন্ধ করলেও চলে। অন্যদিকে অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ওষুধের মাত্রার পরিমাণ স্থিতিশীল রাখা যায় বা কমও করা যায়।
    বিকল্প থেরাপির বিষয়ে আপনার কী মত?
    অন্যরকম চিকিৎসা করানোর থেকে কোনও ডাক্তারই কিন্তু একজন রুগিকে আটকাতে পারেন না। কিন্তু এ বিষয়ে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বিকল্প ওষুধ আসল ওষুধের কার্যকারিতায় হস্তক্ষেপ করতে পারে। মানে তার গুণাগুণ কমিয়ে দিতে পারে। অধিকাংশ সময়েই এই বিকল্প ওষুধের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ঠ জ্ঞান থাকে না। কারণ এ বিষয়ে পর্যাপ্ত পড়াশোনার অভাব রয়েছে আমাদের মধ্যে। এবং একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞও বিকল্প ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে তত দক্ষ হন না। যোগ ব্যায়াম এবং ধ্যান শরীরকে সুস্থ রাখতে অবশ্যই সাহায্য করে। কিন্তু এর সঙ্গে যদি কেউ অন্য কোনও বড়ি বা গুড়োর সেবন করে তাহলে  অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের সাথে কী বিক্রিয়া হবে সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই।
    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা নাকি সময়ের অভাবে প্রায়শই রুগিকে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে থাকেন- এমন অভিযোগ সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
    এই চিন্তাভাবনার জন্য আমি সাধারণ মানুষকে দায়ী করি না। কিন্তু এই অভিযোগের ক্ষেত্রে আমাদের দেশের প্রকৃত অবস্থাটা বুঝতে হবে। আসলে আমাদের দেশে রুগির সংখ্যার তুলনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, মনস্তত্ত্ববিদ বা মনোরোগ সংক্রান্ত সামাজিক কর্মীর সংখ্যা নিতান্তই কম। একজন অসুস্থ মানুষ যখন ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছে তখন ওই ডাক্তারের চেম্বারে আরও একশোজন রুগির লাইন পড়ে গিয়েছে। দেখা গেল যে যখন ক্লিনিকে ওই অসুস্থ মানুষটির ডাক এল তখন তার রোগের লক্ষণগুলো মাঝারি থেকে বেশ গুরুতর হয়ে উঠেছে। তাই তখন ডাক্তারকে ওষুধ দিয়েই রুগিকে মানসিকভাবে স্থিতিশীল করতে হয়। আসলে রুগির একজন মনোবিদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো দরকার, কিন্তু তা মনোবিদের সংখ্যা কম থাকার কারণে সম্ভব হয় না। তাই এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ডাক্তারই ভাবেন যে কমপক্ষে একজন রুগির সমস্যার আংশিক ভাগটুকুও যদি তিনি সমাধান করতে পারেন তাহলেও যথেষ্ঠ।
    আমার মতে, যদি পাঁচ মিনিটের জন্যও ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলা যায় তাতেই একজন রুগি কিছুটা উপকৃত হতে পারেন। থেরাপিকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিজের ব্যস্তার মধ্যে থেকে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে তার কাউন্সেলিং করানো জরুরি।
    ডাক্তারকে রুগি কী জিজ্ঞাসা করবে সে সম্পর্কে আগে থেকে লিখে নিয়ে আসলে তা খুবই কার্যকরী ফল দেয়। এটা হাড়ের ডাক্তার বা ত্বক বিশেষজ্ঞ-সহ অন্যান্য সব ডাক্তারদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ডাক্তারদের চেম্বারের বাইরে সব সময় লম্বা লাইন থাকে, এবং আমরা চাই এই পরিস্থিতি জেন পাল্টায়। আমরা ডাক্তাররাও রুগিদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটাতে পছন্দ করি।
    মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে চিকিৎসকের সরাসরি পরামর্শ পেতে দেখুন: মনের খবর ব্লগ
    করোনায় মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক টেলিসেবা পেতে দেখুন: সার্বক্ষণিক যোগাযোগ
    করোনা বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য ও নির্দেশনা পেতে দেখুন: করোনা ইনফো
    করোনায় সচেতনতা বিষয়ক মনের খবর এর ভিডিও বার্তা দেখুন: সুস্থ থাকুন সর্তক থাকুন

    https://youtu.be/sMBR-Xy2ce8

    ওষুধে মনোরোগ
    Share. Facebook Twitter Pinterest LinkedIn Reddit WhatsApp Telegram Email
    Previous Articleকোভিড ১৯: দেশে সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃত্যু একদিনে
    Next Article উপসর্গহীন রোগী থেকেও করোনা ছড়ায়: আগের বক্তব্য থেকে সরে আসলো ডব্লিউএইচও
    মনের খবর ডেস্ক

    Related Posts

    ভুতে ধরা নাকি মানসিক রোগ?

    October 4, 2025

    কবরস্থানের নির্জনতা থেকে শহরের চৌরাস্তার কোলাহল: মানসিক রোগীর রহস্যপূর্ণ আচরণ

    September 27, 2025

    স্কুল–কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা: দায় কার?

    September 23, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    Top Posts

    অতিরিক্তি হস্তমৈথুন থেকে মুক্তির উপায়

    July 25, 2021316 Views

    অভিভাবকত্ব শুধুমাত্র লালন-পালনের নাম নয়, এটি একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া

    June 30, 2025300 Views

    বাংলাদেশি মনোরোগ চিকিৎসকের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

    July 2, 2025209 Views

    পর্নোগ্রাফি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখবেন যেভাবে

    March 13, 2022118 Views
    Don't Miss
    কার্যক্রম October 14, 2025

    ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেলে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

    গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ইনার হুইল ক্লাব অফ ঢাকা নাইটিংগেল…

    বগুড়ায় এনডিএফ-এর আয়োজনে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৫ উদযাপিত

    বিপর্যয় বা সংকটকালীন সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সমান গুরুত্বপূর্ণ

    বর্তমানেও অনেকেই মানসিক রোগকে লজ্জার বিষয় মনে করেন — ডা. মো. শাহেদুল ইসলাম

    Stay In Touch
    • Facebook
    • Twitter
    • Pinterest
    • Instagram
    • YouTube
    • Vimeo
    আমাদের সম্পর্কে
    আমাদের সম্পর্কে

    প্রকাশক ও সম্পাদক:
    অধ্যাপক ডা. সালাহ্উদ্দিন কাউসার বিপ্লব
    মোবাইল : (+88) 018-65466594, (+88) 014-07497696
    ইমেইল : info@monerkhabor.com

    লিংক
    • মাসিক ম্যাগাজিন প্রাপ্তিস্থান
    • কনফারেন্স-সেমিনার-ওয়ার্কশপ
    • প্রেজেন্টেশন
    • জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট
    রিসোর্স
    • পরিচালনা পর্ষদ
    • মানসিক বিষয়ে সংগঠন
    • বিশেষজ্ঞ লোকবল
    • নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
    সোশ্যাল মিডিয়া
    • Facebook
    • YouTube
    • LinkedIn
    • WhatsApp
    © 2025 মনেরখবর সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত
    • আমাদের সম্পর্কে
    • যোগাযোগ
    • গোপনীয়তা নীতি

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.

    Ad Blocker Enabled!
    Ad Blocker Enabled!
    Our website is made possible by displaying online advertisements to our visitors. Please support us by disabling your Ad Blocker.