“মাইনাস থেকে আজকের তুমি হয়ে উঠার পথটা সহজ ছিলোনা। কঠোর পরিশ্রম, মেধা, নিয়মানুবর্তিতার সমন্বয় সাধন কাকে বলে তোমাকে না জানলে আক্ষরিক অর্থে জানা হতো না কখনও। কখনো তোমাকে প্রশংসা করিনি, ভাবছি যদি ঠুস করে মরে যাই কিছু বলে ফেলার সময় এখনি। কি কঠিন কষ্ট তুমি করো আমি সেটা গভীর ভাবেই জানি। সংসারের চাকা ঘোরাতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তোমাকে, আমার ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে লেখালেখির কাজ চালিয়ে নেয়াটা খুব সহজ ছিলোনা। অভিনন্দন তোমাকে, অনেক ভালোবাসি তোমাকে।” উদ্ধৃতিটুকু একজন সাহিত্যিককে পাঠানো তার স্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা থেকে নেওয়। যিনি সম্প্রতি কথাসাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরষ্কার অর্জন করেছেন। তিনি একাধারে খ্যাতনামা মনোচিকিৎসকও। অতি সম্প্রতি যিনি দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে। তিনি কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল। আমাদের আজকের “তারকার মন” বিভাগে তুলে ধরা হল এই মহতারকার সাথে আলাপচারিতার কিছু অংশ
মনের খবর: প্রথমেই বাংলা একাডেমি পুরষ্কার প্রাপ্তিতে আপনার অনুভূতি জানতে চাইব।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: বাংলা একাডেমি পুরষ্কার আমার কাছে সাধনার মত। শুধু বাংলা একাডেমি নয়, কিছুদিন আগে আমি শিশু একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছি। শিশুসাহিত্যে এবং কথাসাহিত্যে দেশের এমন দুটি সম্মান পাওয়াকে আমি আমার নিমগ্নতা, আমার সাধনার চূড়ান্ত ফসল হিসেবে দেখি। আমি অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে লেখালেখির প্রতি নিমগ্ন ছিলাম। অনেকে বলছেন আমি পুরষ্কার পেয়েছি কিন্তু আমি আসলে এভাবে দেখি যে, আমি এটা অর্জন করেছি। পুরষ্কার আমাকে উদ্বেলিত করেছে তবে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়নি। এটি আমার দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
মনের খবর: আপনার লেখালেখির শুরু সম্পর্কে কিছু বলুন।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: অনেকে আমাকে ডাক্তার বা অধ্যাপক হিসেবেই বেশি বিবেচনা করেন। কিন্তু আমি ডাক্তার হওয়ার আগে থেকেই লেখক, আমি অধ্যাপক হয়েছি ৪৫ বছর বয়সে। আর আমি লেখালেখির চেষ্টা শুরু করি ক্লাস ফাইভ থেকেই। ছোটবেলা থেকেই নবাঙ্কুর কচিকাঁচার সাথে জড়িত ছিলাম, তখন থেকেই ছড়া-কবিতা লিখি। সেখান থেকেই আমার বুনিয়াদ গড়া। এরপর অনেক চড়াই উৎরাই ছিলো, কিন্তু আমি লেগেই ছিলাম। কলেজ জীবনেও প্রচুর লিখতাম। মেডিকেলে পড়ার সময় একটু কম লিখেছি। কর্মজীবনে প্রবেশ করে আবার সাহিত্য সত্তাটা আমার কাছে ধরা দেয়। আমি লিখতে থাকি। আমার বইয়ের বিক্রিও বাড়তে থাকে।এরপর আমাকে কথাসাহিত্যিক হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করেছে ৯০ দশকের গোড়ার দিক থেকে। ক্যারিয়ারের সাথে সাথে আমি লেখালেখির সাথে নিরন্তর লেগে ছিলাম। এখন আমার ৫২ টি বই। এর মধ্যে ২২ টি উপন্যাস, ১২ টি গল্পগ্রন্থ, ১১ টি কিশোর উপন্যাস,বাকীগুলো আমার চিকিৎসা বিষয়ক বই। আমি অনেক ধারায় লিখেছে। আমার মূল ধারা গল্প,উপন্যাস,শিশুসাহিত্য। এর বাইরে আমি গবেষণা ও বিজ্ঞান নিয়েও লিখেছি।
মনের খবর: লেখালেখির পেছনে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা কাদের?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমার ভেতরে লেখালেখির বুনিয়াদ গড়ে দিয়েছেন রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। বহু সাহিত্যিককে তিনি গড়েছেন। এছাড়া আমার স্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি মিডিয়াতে বলি পরিবারকে সময় দিতে। কিন্তু আমি নিজেই পরিবারকে সেটা দিতে পারি না। আমি যখনই সময় পাই পড়তে বসি, লিখতে বসি। এসব মেনে নিয়েও আমার স্ত্রী, আমার পরিবার আমাকে যেভাবে অনুপ্রাণিত করে এসেছে তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমার বাবা-মা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এছাড়া আমার দুজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের বাংলার শিক্ষক আলী আকবর এবং চট্রগ্রাম কলেজের বাংলার অধ্যাপক সিরাজুদৌলা চৌধুরীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ, তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন। সামগ্রিকভাবে অনেকেই আমাকে অনেকভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন। তাদের মধ্য আমার বইয়ের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, শফিক রেহমান, বিদ্যপ্রকাশের মজিবর রহমান খোকা সহ অনেকেই রয়েছেন। আমার বন্ধুরা, আমার পাঠকরা সবাই আমার অনুপ্রেরণা। আমার লেখা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক কিশোর উপন্যাস “উড়াল বালক” স্কলাষ্টিকা স্কুলের পাঠ্যসূচিতে পড়ানো হয়। এটি আমার কাছে বড় প্রাপ্তি মনে হয়। সেটা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেকায়েপ কার্যক্রমের পাঠ্যসূচিতে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। এ ব্যাপারগুলো লেখালেখির প্রতি আমার উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়েছে।
মনের খবর: মনোচিকিৎসক হবেন এই সিদ্ধান্ত কখন নিলেন?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমি তখন চট্রগ্রাম মেডিকেলে পড়ি। তপন কুমার নাথ নামে আমার একজন বন্ধু ছিল। সে আমাকে বলল যে, “তুমি যেহেতু লেখালেখি কর, তুমি সাইকিয়াট্রিতে আসো।” তারপর আমাদের অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক আমাকে উৎসাহ দিলেন সাইকিয়াট্রিতে আসতে। এছাড়া আমি ফ্রয়েড সহ বেশ কয়েকজন মনস্তত্ত্ববিদের লেখা পড়েছিলাম তখন। তাদের লেখা্ও সাইকিয়াট্রিতে আসতে প্রভাব রেখেছে।
মনের খবর: চিকিৎসা এবং লেখালেখি দুটোর মধ্য কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমাকে যদি দুইভাগে ভাগ করা হয় তবে আমি একভাগ চিকিৎসক এবং একভাগ কথাসাহিত্যিক। কোনটাকে আমি আলাদা করতে পারবো না। দুটোই আমার সত্তা, দুটোই আমাকে সমানভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমি নিয়মানুবর্তিতার ফলে আমার দুটো সত্তাকেই লালন করতে পেরেছি। আমি ফালতু কাজে কখনও সময় নষ্ট করিনি। আমি সবসময় কোন না কোন ভালো কাজের সাথে জড়িত থাকি। তবে আমি এটা মনে করি না যে আমার দায়িত্ব শেষ। আমি মনে করি, আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে আরো ভালো কিছু করে যেতে পারবো।
মনের খবর: চিকিৎসা এবং লেখালেখি দুটো কখনও প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: না। বরং আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। মনস্তত্ত্ব সাহিত্যেরই একটা উপকরণ। রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলোতে দেখবেন মনস্তাত্ত্বিক খেলা। আমি আমার চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়েও মনস্তত্ত্বকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। মনস্তত্ত্ব সাহিত্য থেকে আলাদা নয়। অনেক প্রখ্যাত সাহিত্যিকগন তাদের লেখায় মনস্তত্ত্বকে ব্যবহার করেছেন। সেই কাজটি আমার জন্য সহজ হয়েছে। চিকিৎসক হিসেবে আমি মানুষের সংকটগুলো কাছ থেকে দেখতে পাই। তাদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ, সাইকোসোশ্যাল প্যাথলজিগুলো কাছ থেকে দেখতে পারি। যার ফলে সেগুলো সহজে লেখায় তুলে ধরতে পারি। অনেকে আবার মনে করে আমি কেস হিস্ট্রি থেকে লিখি। তারা মূর্খ । কেস হিস্ট্রি একেবারেই ভিন্ন জিনিস। আমি আমার লেখার চরিত্রগুলো তৈরি করি।
মনের খবর: কি আপনাকে সবচেয়ে বেশি আহত করে?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমাদের সমাজে না পড়ে, না জেনে মন্তব্য করার একটা প্রচলন রয়েছে। এটা আমাকে আহত করে। কেউ যদি আমার বই পড়ে মন্তব্য করে যে কিছুই হয়নি তবে আমি সেটা গ্রহণ করি এবং সাধুবাদ জানায়। কিন্তু যারা না পড়েই বলে বসে যে আমার লেখা কিছুই হয়নি, তাদেরকে আমি জ্ঞানপাপী বলি। আমাদের সমাজে এই পাপীদের সংখ্যাই বেশি। এরা আমাদের সাহিত্যের উঠতি তরুণদের জন্য ক্ষতিকর।
মনের খবর: শব্দঘর নিয়ে কিছু বলুন?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: শব্দঘরের প্রকাশক আমার স্ত্রী মাহফুজা আখতার মিলি। সে নীরবে নিভৃতে আমাকে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। শব্দঘর থেকে প্রকাশিত লেখা আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। শব্দঘর থেকে আমরা তরুণ লেখকদের প্রমোট করার চেষ্টা করি।
মনের খবর: আপনার প্রাপ্তি অনেক, কোন অপ্রাপ্তি আছে কি?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমার যা আছে তাই নিয়ে সন্তুষ্ট। তবু যদি অপ্রাপ্তি বলতে হয় তবে আমি বলব- আমি কালজয়ী একটি উপন্যাস লিখতে চাই, কালজয়ী একটি কিশোর উপন্যাস লিখতে চাই; এই অপ্রাপ্তি আমার মাঝে রয়ে গেছে। আর আমার সাহিত্যে স্বীকৃতি স্বরুপ বড় বড় দুটি সম্মাননা আমাকে আরো ভালো কিছু করার তাড়না বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটাই আমার অতৃপ্তি এখন।
মনের খবর: ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: অনেকেই আমাকে শুধু আমাকে বিজ্ঞান লেখক বলতেন। তাই আমি সেসব লেখা কমিয়ে দিয়ে সাহিত্যে সময় বেশি দিয়েছি। এখন যেহেতু আমি কথাসাহিত্য এবং শিশুসাহিত্যে স্বীকৃতি পেয়ে গেছি তাই এখন আমার আমার চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু বিষয়কে মানুষের জন্য সহজবোধ্য করে লিখতে চাই। আর আমাদের মনস্তত্ত্বের বিষয়গুলোকে সাহিত্যের সাথে অর্ন্তমিল করে কিভাবে আরো বেশি জীবন ঘনিষ্ঠ করা যায় সেই চেষ্টা থাকবে।
মনের খবর: স্মরণীয় কোন ঘটনা নিয়ে কিছু বলুন।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: ১২ তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রি হয়েছিল জাপানে। তখন আমি অনেক তরুণ। সেখানে অংশগ্রহণ করা তখন খুব সহজ ছিল না। আশিটা দেশের ১২৮ জনকে তখন বাছাই করা হয়। আমিও ছিলাম তাদের মধ্যে। সেখানে আমাকে বেস্ট ফেলো অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ঘোষণা করা হয়েছিল। এটা আমার কাছে স্মরণীয়। আরেকটা ঘটনা আমার খুব মনে পড়ে। আমাদের দেশে রিতা-মিতা নামে দু’জন বোন ছিলেন যাদের একজন স্রিজোফেনিয়া, আরেকজন শের্য়াড আক্রান্ত ছিলেন। তাদের নিয়ে মিডিয়ায় ব্যপক আলোচনা শুরু হয়েছিল। ১২ বছর ধরে ভূতুরে বাড়িতে থাকা দুই বোনকে আমি সুস্থ করতে পেরেছিলাম। এছাড়া ২০০৯ সালে বইমেলায় আমার “না” উপন্যাসটি একদিনে ১৪০০ কপি খুচরা বিক্রি হয়েছিল যেটা আমার কাছে বেশ স্মরণীয় ঘটনা।
মনের খবর: এবারের বইমেলায় নতুন কি বই প্রকাশিত হয়েছে?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: বিদ্যাপ্রকাশ থেকে “লুইপা’র কালসাপ” এবং অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে “সত্যডানা সন্দেহ পালক” নামে দুটো উপন্যাস নতুন এসেছে। আর অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে আমার উপন্যাস সমগ্র নিয়ে তিনটি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। আর শব্দঘর থেকে আমি যেসব গল্প প্রকাশ করি সেখান থেকে একটি সম্পাদনাও প্রকাশিত বিদ্যাপ্রকাশ থেকে হয়েছে। এছাড়া অনেকগুলো বইয়ের সংস্করণ বের হয়েছে।
মনের খবর: সাহিত্য মানুষের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশে কতটুকু ভূমিকা রাখে বলে মনে করেন?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমার বই পড়ে অনেকে এসে বলেছে যে বইটা পড়ার কারণে সে নানা বিপদ থেকে বেঁচে গেছে। আবার কেউ এসে বলেছে বইটা আগে পড়া থাকলে সে বিপদে পড়ত না। অর্থাৎ আমি সামাজিক যে ক্ষতগুলো তুলে ধরি, সেটা যখন তরুণ-তরুণীরা পড়ে সেটা তাদের মনোজগতের সংস্কার হিসেবে কাজ করে। সেরকমভাবে সব সাহিত্যই মানুষের মনোজগতের সংস্কারে ভূমিকা রাখে।
মনের খবর: প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে তরুণ প্রজন্ম বই বিমুখ হচ্ছে, এই ব্যাপারটি নিয়ে কিছু বলুন।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বই বিমুখতার সাথে জড়িয়ে আছে প্রেষণা। উৎসাহ, আকাঙ্খা, চাহিদা যা মানুষকে লক্ষ্যের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যায়। প্রযুক্তির অতি ব্যবহার সেই প্রেষণাটাকে কমিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন পর্ণ সাইট দেখে তারা নারীকে ভোগের পণ্য ভাবছে। তাদের নৈতিক স্খলন হচ্ছে। তরুণদের কর্মস্পৃহা কমছে, মাদক বাড়ছে। আবার এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করেছে। তাই এটার ব্যবহার করতে হবে ভালো কাজের জন্য।
মনের খবর: আমাদের মানসিক রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কি করা যেতে পারে বলে মনে করেন?
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: আমাদের দেশে মানসিক রোগ বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা যারা মনোচিকিৎসায় জড়িত তাদের পক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধি পুরোপুরো সম্ভব না। সেক্ষেত্রে আমাদের ঘরে ঘরে নৈতিকতার যে ঘাটতি শুরু হয়েছে সেগুলো শুধু ধর্মীয় অনুশাসন দিয়েও রোধ করা সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে মিডিয়ার বেশি বেশি প্রচার দরকার। আমাদের প্রফেসর হেদায়েতুল ইসলাম , প্রফেসর আনোয়ার সৈয়দ হক , প্রফেসর এমএসআই মল্লিক, প্রফেসর গোলাম রাব্বানী, প্রফেসর ওয়াজিউল আলম চৌধুরী, প্রফেসর ঝুনু শামসুন্নাহার সহ সিনিয়র যারা রয়েছেন তাদের বক্তব্য বেশি বেশি মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত।
মনের খবর: ব্যস্ততার মধ্যেও মনের খবরকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল: মনের খবরকেও ধন্যবাদ। মানসিক রোগ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে তাদের অবদানও অনেক।