“সামরিন এবার এপ্রিলে ১৩ বছরে পা দিল। তার মানে থার্টিন! সে বাবার কাছ থেকে জেনেছে ১৩ থেকে ১৯ হল টিন এজ। তারমানে হল তার বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়ে গেছে। এখন আর সে ছোট নেই এটা ভাবতেই তার অনেক আনন্দ হচ্ছিল! এবারের জন্মদিনকে ঘিরে তার, আর বাসার সবার অনেক অনেক পরিকল্পনা ছিল। বন্ধুদের সাথে কি কি করবে, নতুন নতুন কত মজার মজার গিফট পাবে ভেবেছিল! কিন্তু এই দুষ্টু করোনাভাইরাসটার জন্য কিছুই হল না! একটা সুন্দর কেক-ও কাটা হলনা! মনটা খুবই খারাপ হয় তার! সেই মার্চের ১৮ তারিখ থেকে তার স্কুল বন্ধ। কতদিন হয়ে গেছে! বাসায় থেকে বোর হয়ে যাচ্ছে। এখন অবশ্য অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে কিন্তু তাও আগের মত কি আর মজা করতে পারছে! ক্লাশের ফাঁকে বন্ধুদের সাথে গল্প, একসাথে টিফিন খাওয়া আর প্রতিদিন নতুন নতুন কত কিছু জানা। কত ফান আর এক্সাইটিং ছিল সময়টা।
রামিসা হল ক্লাসের সবচেয়ে জ্ঞানী। তার কাছে মনে হয় পৃথিবীর সব তথ্য আছে। সে জানেনা এমন কিছুই নেই। ওর কাছ থেকে জানুয়ারী মাসেই করোনাভাইরাস সম্পর্কে জেনেছে সে। কত ভয়াবহ ছোঁয়াচে একটা অসুখ! কত মানুষ অসুস্থ হয়ে পরছে সারা পৃথিবীতে। এখন প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই সামরিন দেয়ালে মেপে ছোট করে একটা দাগ কাটে কত টুকু লম্বা হল দেখার জন্য। মাকে যে কবে লম্বায় ছাড়িয়ে যেতে পারবে! আজকে মনে হচ্ছে আগের ড্রেসগুলো মনে হয় সব ছোট হয়ে যাচ্ছে। দুই মাসেই কি সে বড় হয়ে গেল তাহলে! ইশ স্কুল খুললে কি দেখবে তার ক্লাশের সবাই নিশ্চয়ই একটু করে বড় হয়ে গেছে! আচ্ছা, সকালের এসেম্বলির লাইনের সিরিয়ালও তো মনে হয় পরিবর্তন হয়ে যাবে তাহলে! ভাবতে ভাবতেই অনলাইন ক্লাশের জন্য রেডি হয় সামরিন।”
টিন এজ কিংবা কৈশোরকাল (১৩-১৯ বছর) হল মানব জীবনের এমন এক সন্ধিক্ষণ যখন একজন মানুষ শিশুকাল থেকে পূর্ণ বয়সের দিকে ধাবিত হয়। এটা হল শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি হবার সময়। এসময় শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হওয়াই স্বাভাবিক। এসময়টায় পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল ব্যাপকভাবে ব্যক্তিত্ব গঠনে ভূমিকা রাখে। বয়ঃসন্ধিকাল একটি অনন্য এবং গঠনমূলক সময়। যেখানে দারিদ্র্যতা, শিশুকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে অপব্যবহার, বা সহিংসতার সংস্পর্শ সহ একাধিক নেতিবাচক ঘটনা কৈশোর বয়সিদেরকে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত করতে পারে। তাই মনস্তাত্ত্বিক সুস্থতার উন্নতি করা এবং কৈশোরপ্রাপ্তদের প্রতিকূল অভিজ্ঞতা এবং ঝুঁকির কারণগুলো থেকে রক্ষা করা তাদের সুস্থতার জন্য এবং যৌবনে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বিশ্বব্যাপী ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে অসুস্থতা এবং অক্ষমতার চতুর্থ শীর্ষ কারণ হল হতাশা এবং ১০-১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি পঞ্চদশতম কারণ। ১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে উদ্বেগ হল নবম এবং ১০-১৫বছর বয়সীদের উদ্বেগ ষষ্ঠতম কারণ। মানসিক ব্যাধিগুলি স্কুলের কাজ এবং স্কুলের উপস্থিতিগুলির মতো ক্ষেত্রগুলিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে। সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্বকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ বিষয় হল, হতাশা থেকে আত্মহত্যাও করতে পারে। Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এর তথ্য অনুযায়ী কৈশোরে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা। বিশ্বের প্রায় ৯০% নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বসবাসকারী কিশোর-কিশোরীদের ৯০%-এরও বেশি আত্মহত্যার ঘটনা রয়েছে।
কিশোর-কিশোরীদের পিতামাতার জন্য বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট উপযোগী ১১টি সাধারণ উপদেশঃ
১। বড় হতে তাড়াহুড়ো নয়ঃ এসময় পরিবার এবং চারপাশ থেকে বারবার শুনতে হয় “এখন আর তুমি ছোট নও, এইটুকু কাজ পারনা!” আবার সাথে এটাও শুনতে হয় “ছোট মানুষ, ছোট মানুষের মত কথা বলবে, অত বেশী বুঝতে যেও না!” এরকম দ্বিমুখী মন্তব্য কিশোর-কিশোরীদের মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করে যা থেকে তারা আত্নবিশ্বাস হারায়। তাদেরকে শৈশব উপভোগ করতে দিন। আজ ১৩-তে পা দিয়েছে বলেই একদিনে পৃথিবীর সব বুঝে যাবে তা নয়। এসময়ে কেমন আচরণ হওয়া উচিৎ তা ধীরেধীরে বুঝিয়ে বলুন।
২। পুরো জীবনের পরিকল্পনা এখনই নয়ঃ মেয়েকে বড় ডাক্তার, ছেলেকে নামকরা ইঞ্জিনিয়ার হতেই হবে। সব পরিকল্পনা এখনই করে ফেলতে হবে তা নয়। আপনার সন্তানের মেধা, রুচি, পছন্দ অনুযায়ী সে কি হতে চায় তাকেই নির্ধারণ করার সুযোগ দিন। বাবা-মা হিসেবে আপনি অবশ্যই তাকে নির্দেশনা দেবেন, পথ দেখাবেন কিন্তু তার সুকুমার বৃত্তিগুলোকে প্রস্ফুটিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবেননা। দুঃসহ, চাপময় একটি কৈশোর যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
৩। বন্ধুর পরিবর্তন স্বাভাবিক ঘটনাঃ নবম শ্রেণীতে যেহেতু বিষয়ভিত্তিক শ্রেণীবিভাগ আলাদা হয়ে যায় তাই সহপাঠী, বন্ধু বদলে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ঘটনা এটা তাকে আগে থেকেই ধারনা দিন। যাদের বাবা-মার বদলীর চাকুরী, তাদেরকে ২/৩ বছর পর পরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বদলাতে হয়। জানের বন্ধুটাকে ছেড়ে আবার নতুন করে নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেয়া সত্যি কঠিন কাজ। এসময়টায় তাকে সময় দিন, নতুন বন্ধুরা কে কেমন জানতে চেষ্টা করুন।
৪। “কুল” শুধুমাত্র একটি মতামতঃ এসময়টায় রঙিন চোখে পৃথিবী দেখে, যা দেখে তাই ভাল লাগে! কিশোর-কিশোরীরা নিত্য নতুন ফ্যাশন আর যুগোপযোগী আধুনিকতায় মগ্ন হয়ে যায়। কথা, পোশাক, এমনকি হাঁটার স্টাইলেও তারা “কুল” হতে চায়। তাকে বোঝাতে হবে মার্জিত এবং নিজস্ব স্টাইলই হল “কুলনেস”, ফিল্ম স্টারদের অনুকরণ করাটা নয়। তবে রুঢ়ভাবে নয়, সহজ করে বলুন।
৫। “না” বলাটা দোষের নয়ঃ বন্ধুরা হয়ত লেটনাইট পার্টি করবে কিম্বা দূরে কোথাও অ্যাডভেঞ্চার-এ যাবে। আপনি হয়ত চাচ্ছেন না সে যাক। সেক্ষেত্রে তাকে তার পারিবারিক মূল্যবোধ সম্পর্কে আগে থেকেই জানান। বন্ধুদের “না” বলে দিলেই যে সে ব্যাকডেটেড কিংবা সিলি হয়ে যাবে তা নয়। এটি আসলে কিভাবে তার জন্য ভাল তা ব্যাখ্যা করুন নতুবা সে ভীষণ ভাবে কষ্ট পাবে, এমনকি আপনাকে ঘৃণাও করবে।
৬। তুমি পৃথিবীর একমাত্র উদ্বিগ্ন ব্যক্তি নওঃ যে কোন কিছুতেই অস্থির হয়ে গেলে তাকে তার অনুভূতির সাথে পরিচিত করাতে হবে। আপনার কৈশোরেও এমন হত এবং এবয়সে কমবেশি সবারই এমন উদ্বিগ্নতা কাজ করে। নিজেকে গঠনমূলক কাজে কিভাবে ব্যস্ত রাখা যায় এবং কিভাবে মানিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে ভাবতে হবে। আপনার কৈশোরকালীন সময়ের উদ্বেগ কিভাবে অতিক্রম করেছিলেন উদাহরণ দিন।
৭। বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে সাহায্য খোঁজাঃ স্কুলে, বাড়িতে, খেলার মাঠে, বেড়াতে গেলে কিংবাকোন ট্যুরে গেলে যে কোন বিপদ হলে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট কার সাহায্য নিতে হবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। নাম, মোবাইল নাম্বার, ঠিকানা দিয়ে তথ্যের লিখিত তালিকা, যেমনঃ ডাক্তার, স্থানীয় পুলিশ, দমকল, আত্নীয়, শিক্ষক, করোনাকালীন সময়ে প্রয়োজনীয় অনলাইন সার্ভিস ইত্যাদি ছোট নোটবুকে তার কাছে রাখুন।
৮। অন্যের মতামতের প্রতি উদারতাঃ এসময়ে নিজেকেই সেরা ভাবতে চায় সব কিশোর-কিশোরী। তাই অন্যের মতামত থেকে যে শেখার আছে তা বোঝাতে হবে। তার চিন্তাটা ভুলও হতে পারে। তার চেয়ে অন্যের মতামত বেশী গ্রহনযোগ্য হতে পারে। তাকে কেউ সমালোচনা করলে তা ইতিবাচকভাবে নিতে এবং অন্যের প্রতি উদার ও শ্রদ্ধাশীল হতে তাকে সাহায্য করুন।
৯। সময়ের সাথে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনঃ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ কিংবা কলেজ শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ; অনেকগুলো ধাপ পার করতে হয় এসময়টায়। তাই সময়ের সাথে সাথে চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। আপনার সন্তানকে পরিপক্ক হতে সাহায্য করুন। এসময় অনেক নতুন জিনিস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে কিম্বা বন্ধুদের থেকে জানতে পারবে এবং নিজেও তা করতে চাইবে। আপনি যদি অতিরিক্ত কড়া শাসনে রাখেন হয়ত আপনাকে জানাবেই না। তাই অতি কড়া কিংবা অতি বন্ধু না হয়ে বরং বন্ধুত্বপূর্ন আচরণ করুন যাতে স্বাচ্ছন্দে সে নিজে থেকেই আপনাকে বলে।
১০। নিজের বুদ্ধির উপর বিশ্বাস রাখাঃ সব অবস্থায় বাবা-মা পাশে থাকবেনা। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের অনুমান শক্তি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কিভাবে প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে সে শিক্ষা দিন। কোন ঘটনা শেষে বলা যেতে পারে “এখানে তুমি হলে কি করতে?”
১১। আর্থিক সম্পদের আকাঙ্ক্ষা না করাঃ সন্তানকে মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন হতে উদ্বুদ্ধ করুন। সততা, বিশ্বস্ততা, কৃতজ্ঞতাবোধ সম্পর্কে বলুন। প্রয়োজনে ধর্মীয় পথপ্রদর্শক কিম্বা মহান ব্যক্তিত্বদের জীবনী পড়ে শোনান। টাকা উপার্জনই জীবনের একমাত্র লক্ষ নয় সেই শিক্ষা দিন। এবং আপনি নিজেও যে তা বিশ্বাস করেন তা তাকে বুঝতে দিন।
২০ মার্চ, ২০২০ UNICEF টিন-এজারদের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ৬ টি স্ট্রাটেজির নির্দেশ দিয়েছে। তা সংক্ষেপে দেয়া হলঃ
১। বুঝতে চেস্টা করা যে তোমার উদ্বিগ্নতা সম্পুর্ণ ভাবে স্বাভাবিকঃ “উদ্বেগ হল একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর অনুভূতি যা আমাদের যে কোন ভয়, আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করে এবং আমাদের নিজের সুরক্ষার জন্য ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করে”। “তোমার উদ্বেগ তোমাকে এখনই যে সিদ্ধান্তগুলি নিতে হবে তা করতে সহায়তা করতে চলেছে” -ডা. ড্যামুর। তিনি মেনে চলতে বলেন, “অন্য ব্যক্তির সাথে বা বড় দলে সময় ব্যয় না করা, হাত ধোয়া এবং মুখ স্পর্শ না করা।”
২। চিন্তার পরিবর্তন করঃ “যখন আমরা দীর্ঘস্থায়ী জটিল পরিস্থিতিতে থাকি, তখন সমস্যাটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা খুব সহায়ক। যে জিনিসগুলি সম্পর্কে আমি কিছু করতে পারি এবং আমি যে জিনিসগুলি সম্পর্কে কিছুই করতে পারিনা”-ডা. ড্যামুর। এই মুহূর্তে সেই দ্বিতীয় ভাগের অধীনে একটি বিষয় হল আমাদের নিজেদের মধ্যে চিন্তাধারার পরিবর্তন করা। অর্থাৎ আমার কিছুই করার নেই এই অবস্থানটায় নিজেকে রিফ্রেম করা। তিনি বলেন, “বাড়ির কাজ করা, প্রিয় সিনেমা দেখা বা কোনও উপন্যাস নিয়ে দিনের বেলা বিছানায় শুয়ে যাওয়া ভাল উপায় হতে পারে”।
৩। তোমার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগের জন্য নতুন উপায়গুলি সন্ধান করঃ তুমি সামাজিক দূরত্ব পালনের সময় যদি বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে চাও তবে সোশ্যাল মিডিয়া হল এক দুর্দান্ত উপায়। তিনি সৃজনশীলতাকে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, “আমার পরিকল্পনা হল তারা অনলাইনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করুক। এমন উপায় খুঁজে বের করুক, যা তারা এর আগে যা করেছে তার থেকে আলাদা।” তিনি পিতামাতার সাথে স্ক্রিন-সময়সূচী তৈরির পরামর্শ দেন।
৪। নিজের উপর ফোকাসঃ তুমি কী নতুন কিছু করতে, একটি নতুন বই শুরু করতে বা বাদ্যযন্ত্রের অনুশীলনে সময় কাটাতে চাও? এখনই করার সময় এসেছে। নিজের দিকে মনোনিবেশ কর। নতুন-পাওয়া সময়গুলো কাটানোর উপায়গুলি খুঁজে পাওয়া তোমার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার একটি ভাল উপায়। ডা. ড্যামুর বলেছেন, “আমি যে বইগুলিতে পড়তে চাইছি এবং যে জিনিসগুলি আমি করতে চাইছি তার সমস্তগুলির একটি তালিকা তৈরি করেছি।”
৫। তোমার অনুভূতিগুলো অনুভব করঃ বন্ধু, শখ, বা ক্রীড়া ম্যাচগুলির সাথে ইভেন্টগুলি মিস করা অবিশ্বাস্যরকম হতাশাব্যঞ্জক। এটি তাদের কাছে সত্যিই মন খারাপের বিষয়। ডা. ড্যামুর বলেছেন, “এই হতাশা মোকাবেলার সেরা উপায় কি? “যখন বেদনাদায়ক অনুভূতি হয়, তখনই বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন কস্ট থেকেই তুমি আরও দ্রুত ভাল বোধ করতে শুরু করবে।
৬। নিজের এবং অন্যের প্রতি সদয় হওঃ কিছু কিশোর-কিশোরী করোনাভাইরাসের কারণে স্কুলে নির্যাতন ও বুলিং এর মুখোমুখি হতে পারে। যাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয় তাদের সহায়তা করা এবং সহায়তার জন্য বন্ধু বা প্রাপ্তবয়স্কদের উৎসাহ প্রয়োজন।
পরিশেষে মনে রেখ, তোমরা যা বল, কর, যা অন্যকে আঘাত করতে পারে সে সম্পর্কে তোমাদের এখন আগের থেকে বেশি চিন্তাভাবনা করা দরকার। তোমরা যেমন তোমাদের কৈশোরকাল উপভোগ করবে ঠিক তেমন তোমাদের চারিত্রিক বিকাশও সুমার্জিত ও সুগঠিত করবে। তোমাদের পিতামাতা সহ অন্যান্যদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।