ব্রাজিলের হার না মানা মানসিকতার পুরস্কার জয় : কাসোমিরো

ব্রাজিলের হার না মানা মানসিকতার পুরষ্কার জয় : কাসোমিরো

কলম্বিয়ার বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও হাল না ছাড়ার যে মানসিকতা দেখিয়েছে ব্রাজিল, সেটিই দারুণ তৃপ্তি দিচ্ছে তাদের অধিনায়ক ও ব্রাজিল সমর্থকদেরকে।

ব্রাজিলের বিতর্কিত গোলে সমতা, যোগ করা ১০ মিনিট সময়ের শেষ দিকে আরেক গোল। সব মিলিয়ে ব্রাজিলের জয়ে ভীড় করছে নানা প্রশ্ন। তবে সেসব প্রশ্নকে পাত্তা দিচ্ছেন না ব্রাজিল অধিনায়ক কাসেমিরো। ব্রাজিলকে স্বস্তি এনে দেওয়া মুহূর্তটি উপহার দিয়েছেন কাসেমিরোই। ম্যাচের শততম মিনিটে তার হেড জিতিয়ে দেয় ব্রাজিল দলকে।

নির্ধারিত সময় শেষে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় যোগ করার পেছনে মূল কারণ ব্রাজিলের আগের গোল। ম্যাচের শুরুর দিকে লুইস দিয়াসের অসাধারণ বাইসাইকেল কিকে এগিয়ে যায় কলম্বিয়া। ৭৮ মিনিটে ফিরমিনোর হেডে সমতা ফেরায় ব্রাজিল। বিতর্ক ওঠে ওই গোল নিয়েই।

নেইমারের শট রেফারির গায়ে লাগলে কলম্বিয়ার ফুটবলাররা খেলা বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকে। তবে খেলা চালিয়ে যাওয়ারই ইঙ্গিত দেন রেফারি। তখন ব্রাজিলের একজন বল বাড়ান রেনান লোদিকে। তার ক্রসেই হেড থেকে গোল করেন ফিরমিনো। কলম্বিয়ার ফুটবলারদের প্রতিবাদে সময় বয়ে যায় অনেক। সেটা পুষিয়ে দিতেই শেষে যোগ করা হয় এতটা লম্বা সময়। যা কাল হয় কলম্বিয়ার জন্য, ব্রাজিলের জন্য হয় আশীর্বাদ।

তবে ম্যাচের পর কাসোমিরো বললেন, জয়টা তাদের প্রাপ্যই ছিল। কৃতিত্ব ব্রাজিলেরই প্রাপ্য। কারণ আমরা দারুণ মানসিক শক্তির প্রমাণ রেখেছি, খেলার লাগাম ধরে রেখেছি এবং শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পেয়েছি। কারণ মাথা ঠাণ্ডা রেখে গোলের চেষ্টা করে গেছি আমরা। এই ধরনের মানসিকতাই থাকা উচিত।

ব্রাজিল অধিনায়ক বলেন, তারা গোল করে এগিয়ে যায়, এরপর নিচে নেমে খেলতে থাকে, তাতে ম্যাচটি হয়ে ওঠে আক্রমণ বনাম রক্ষণ। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচের সবকটিই জিতল ব্রাজিল। আমাদের সঙ্গে অবশ্য কলম্বিয়াও নিশ্চিত করে ফেলেছে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা।

Previous articleমানসিক সমস্যায় সৃষ্ট শারীরিক জটিলতা: কারণ ও করণীয়
Next articleরাগ কখন রোগ হয়ে ওঠে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here