গত ১০ অক্টোবর ছিল ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০২৩’। সারা বিসসএর সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হয়েছে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘মানসিক স্বাস্থ্য সর্বজনীন মানবাধিকার’।
বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষদের মধ্যে সচেতনতা কম। তারা সাধারণত মানসিক রোগকে রোগ হিসেবে দেখতে চায় না। দেশের প্রায় ৯২% মানুষ তাদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। এর নানামুখী কারণ রয়েছে। যেমন- প্রান্তিক পর্যায়ের বেশিরভাগ মানুষ তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন নয় বা তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কোনো কার্যকরী পদক্ষেপও নেই। আবার আর্থ-সামাজিক কারণেও অনেকের এই সেবার অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা একজন মানুষের অন্যান্য অধিকার বা সেবার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক বৈষম্যের কারণে আমাদের দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ তাদের মানসিক স্বাস্থ্য সেবা পেতে অবহেলিত। আবার তারা এই বিষয়ে যথেষ্ট সচেতনও নন। এবারের ‘মানসিক স্বাস্থ্য সর্বজনীন মানবাধিকার’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার সামগ্রিক এই বেহাল অবস্থা উত্তরণের জন্য সবার মাঝে এখনি সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী নানা পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
দিনটি উদ্যাপন এবং সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ মনোবিজ্ঞান সমিতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগ র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ৮ ঘটিকার সময় তাঁরা টিএসসি থেকে র্যালি শুরু করে শাহবাগ ঘুরে আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়ামে সভায় উপস্থিত হন। আলোচনা সভায় বিপিএর প্রেসিডেন্ট মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে সব মহলের করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন। র্যালিতে স্কুল সাইকোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গানাইজেশনাল সাইকোলজি, জেনারেল সাইকোলজি থেকে শিক্ষার্থীরা ছিলেন সাথে বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠান ছিল ব্যানার সহ।
মনের খবর টিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রোগ্রাম দেখতে ক্লিক করুন