বন্ধুত্ব ছিন্ন হওয়ার পর যেভাবে বন্ধুর সাথে মিশবেন

লজ্জা দূর করতে যা করতে পারেন

এটাই সত্য যে, বেশিরভাগ বন্ধুত্বই সারাজীবন টিকে না। দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব শেষ হয়ে গেলে তার সাথে জড়িত দুই পক্ষেরই কষ্ট হয়, কিন্তু সেই বন্ধুত্বের শেষ যদি হয় বিশ্বাসঘাতকতায়, তবে সেটা পরবর্তী সময়ে রাগের জন্ম দেয়। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো, যার মাধ্যমে এই অবস্থার মোকাবিলা করা কিছুটা হলেও সহজ হবে।
১। অনেকের কাছে বন্ধুত্বের শেষ মানে বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যাওয়া। বন্ধুত্ব অনেক সময় টাকা পয়সার জন্য নষ্ট হয়ে যায় এবং সেটা একই সাথে সময়ের অপচয়ও বটে। তবে একই সাথে এটাও মাথায় রাখা দরকার, বিশ্বাসঘাতক ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা জীবনের জন্য এক অমূল্য ব্যাপার।
২। দুজনের মধ্যে ঘটা স্মৃতিগুলো এখন হয়তো দূষিত কিছু স্মৃতি। যখন জানা যায় অপরদিকের মানুষটি আপনার ক্ষতির কারণ, তখন সেই পুরোনো ভালো স্মৃতি উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং একই সাথে এটি এক প্রকার দ্বিধার জন্ম দেয়। এমনকি ঐ ব্যক্তির সাথে জড়িত মুহূর্তগুলো আপনাকে তাড়া করতে পারে। যেসব ব্যক্তিকে আপনি ভালোবাসেন এবং বিশ্বাস করেন তাদের সাথে নতুন, ভালো স্মৃতি তৈরি করতে পারেন।
৩। এই অনিবার্য, অস্বস্তিকর, অসচেতন অনুভূতিগুলো আপনি না চাইলেও আপনার স্মৃতিতে রয়ে যাবে। এটাকে সহজে এড়িয়ে যাওয়া না গেলেও নিজের অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলা এবং লিখে রাখা নিজেকে কিছুটা হলেও ভালো বোধ করাবে।
৪। যখন পুরোনো বন্ধু বিশ্বাসঘাতকতা করে, তখন নতুন কাউকে বিশ্বাস করা কঠিন। তখন নতুন সম্পর্ক স্থাপনেও বেশ সময় চলে যায়। তাই পুরোনোকে ভুলতে নতুন কাউকে দিয়ে শূণ্যস্থান পূরণ করার চেষ্টা না করাই ভালো। এ সময় যা-ই হোক, পরিবারের মানুষজন আপনার পাশে থাকবে।
৫। সামাজিক যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে যদি আপনাদের বন্ধুত্ব হয়ে থাকে তবে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলস্বরূপ তাকে আনফ্রেন্ড/ব্লক করার মাধ্যমে এড়িয়ে যেতে পারেন। যদিও অনেকের কাছে এটা অপমান স্বরূপ কিন্তু এর মাধ্যমে ক্ষতিকারক মানুষদের এড়িয়ে চলা যায়।
৬। যদি দোষটা আপনার উপর এসে পড়ে তবে কী করবেন? অনেকে অন্যকে দোষ দিতে দক্ষ। অনেকে এটাও বিশ্বাস করতে পারে যে, দোষ আপনি করেছেন। এ সময় আপনি যদি পেছনের দিকে তাকান, আপনার বন্ধুত্বের প্রকৃতিটা তখনই বুঝতে পারবেন।
৭। নিজেকে গুলিয়ে ফেলবেন না। আপনি যাকে ভালোবাসতেন সে আপনাকে ব্যবহার করেছে। যখন আপনি কাউকে বিশ্বাস করেন, তখন তার কাছে নিজেকে মেলে ধরাটাই স্বাভাবিক। এমনকি প্রয়োজনে সম্পদ ব্যয় করাও অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং কষ্ট হওয়াটা স্বাভাবিক।
সবসময় মনে রাখবেন, আপনি একজন বিশ্বাসযোগ্য, ভালোবাসাপূর্ণ ব্যক্তি যাকে হয়তো ব্যবহার করা হয়েছে। ভালো হয় যদি নতুন ভালো কিছুর শুরু করার চেষ্টা করেন।
তথ্যসূত্র: সাইকোলজি টুডে ডটকমে প্রকাশিত Barton Goldsmith এর রচনা অবলম্বনে লিখেছেন সুপ্তি হালদার।
লিংক: https://www.psychologytoday.com/intl/blog/emotional-fitness/201805/7-tips-dealing-the-end-friendship

Previous articleনিয়মিত ঔষধ সেবন করলে সিজোফ্রেনিয়া ভালো হয় বা নিয়ন্ত্রণে থাকে
Next articleব্যক্তিত্বের যে বৈশিষ্ট্য আপনাকে সুখী করতে সাহায্য করে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here