অনেক সংসারেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়, স্মার্টফোনে কে বেশি সময় কাটায় তা নিয়ে। গবেষণা কিন্তু বলছে, পুরুষের চাইতে নারীরাই বেশি আসক্ত স্মার্ট ফোনে।
ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার এই গবেষণাটি গত মে মাসে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ‘সিএইচআই কনফারেন্স অন হিউম্যান ফ্যাক্টরস ইন কম্পিউটিং সিস্টেমস’ এ উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের স্মার্টফোন ব্যবহারের ধরণের উপরে করা এই গবেষণায় বলা হয়েছে নারীরাই স্মার্টফোনে বেশি সময় ব্যয় করেন। এছাড়াও বিভিন্ন বয়স এবং লিঙ্গ ভেদে ফোন লক করার পদ্ধতির তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে।
১৩৪ জন নারী এবং পুরুষ ভলান্টিয়ারের ফোন ট্র্যাক করে গবেষণাটি করা হয়েছে যাদের বয়স ১৯ থেকে ৬৩ পর্যন্ত ছিল। তাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে একটি বিশেষ অ্যাপ ইন্সটল করে দেয়া হয়েছিল। দুইমাস ধরে তাদের ব্যবহার নজরের রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে ফোনের লক এবং আনলক করার পদ্ধতিগুলোও দেখা হয়েছে। তারা ফোনে কতক্ষণ কথা বলেছেন, সেই তথ্যও নেয়া হয়েছে।
অ্যানালাইসিসে দেখা গিয়েছে নারীরা পুরুষের চাইতে বেশি সময় ব্যয় করেন স্মার্ট ফোনের পেছনে। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ বছর নারীরা আসক্ত স্মার্টফোনের প্রতি। দেখা গেছে বয়স বাড়ার সাথে বদলে যায় এই চিত্র। বয়স পঞ্চাশের কোঠায় এলে নারীদের চাইতে পুরুষেরা স্মার্টফোনের পেছনে বেশি সময় ব্যয় করেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে বয়স্ক ব্যবহারকারীরা তরুণদের চাইতে কম ব্যবহার করেন ফোন। প্রতি দশ বছর বয়সের পার্থক্যে ব্যবহারের পরিমাণ ২৫% করে কমে। অর্থাৎ ২৫ বছর বয়সী কেউ যদি দিনে ২০ বার ফোন ব্যবহার করে থাকে, তাহলে ৩৫ বছর বয়সী ব্যক্তি ১৫ বার ব্যবহার করেন।
বয়স্ক ব্যবহারকারীরা অটো লক বা পিন লক বেছে নেন আর কম বয়স্করা বেছে নেন ফিঙ্গার প্রিন্ট লক পদ্ধতি। আবার ফোন লক করার ক্ষেত্রে পুরুষরা অটো লকের উপর বেশি নির্ভর করেন, আর নারীরা ম্যানুয়েল লক পদ্ধতি বেছে নেন। তবে ব্যবহারের এমন ধরণের পেছনে কারণ সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি গবেষণায়।
রিসার্চটির সুপারভাইজার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার ইলেক্ট্রিক্যাল ও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর কন্সটানটিন বেজনোসভ বলেন, আনঅথোরাইজ এক্সেস এর থেকে ব্যবহারকারীদের ফোন রক্ষা করার উপায় বের করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন তাদের ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে জানা। ব্যবহার কারিদের ডিভাইস ট্র্যাক করে পাওয়া তথ্যগুলো ভবিষ্যতে স্মার্ট ফোন ডিজাইনের সময় কাজে লাগবে।
সূত্র-হিন্দুস্তান টাইমস