ইউসি বার্কলের অধ্যাপক আইরিস মস ব্যাখ্যা করেন, ‘অভ্যাসগতভাবে যারা নিজেদের নেতিবাচক আবেগগুলো অন্যকে জানায়, তারা ভবিষ্যতে নেতিবাচক আবেগের সম্মুখীন কম হয় এবং তুলনামূলকভাবে ভালো মনস্তাত্ত্বিক অবস্থার দিকে ধাবিত হয়।’ কিন্তু ব্যাপারটি কেন ঘটে, তা তিনি বলতে পারছেন না।
তিনি মনে করেন, যখন আমরা আমাদের নেতিবাচক আবেগের কথা অন্যকে জানাই তার মানে হচ্ছে, আমরা এই আবেগটিকে কম গুরুত্ব দিচ্ছি এবং এ নিয়ে কম চিন্তা করছি।
মসের মতে, ‘যদি আপনি সবসময় আপনার আবেগগুলোকে বিচার করে যান, তাহলে নেতিবাচকতা আস্তে আস্তে আপনার ভেতরে জমা হতে থাকে।’
যারা তাদের আবেগগুলো লুকিয়ে রাখে এবং বিচার করে, তাদের তুলনায় যারা তাদের আবেগগুলো ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে এবং বিচার না করে অথবা দুঃখ ও হতাশার ব্যাপারগুলো ইতিবাচকভাবে নেয়, তারা কম মুড সুইংয়ে ভোগে।
অর্থাৎ তাদের মানসিক অবস্থা কিছুক্ষণ পরপর পরিবর্তিত হয় না। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ব্রেট ফোর্ডের লেখা একটি অনুচ্ছেদে ইউসি বার্কলের সাইটের কথা বলা আছে।
যেখানে লেখা আছে, ‘যেসব মানুষ তাদের নেতিবাচক আবেগগুলোকে গ্রহণ করতে পারে এবং বিচার করে না, তারা সফলভাবে বিভিন্ন চাপ মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়।’ এ বিষয়ে তিনি তিনটি গবেষণা বা পরীক্ষার কথা উল্লেখ করেছেন।
প্রথম গবেষণায় আনুমানিক ১০০০ জন অংশগ্রহণকারীকে একটি প্রশ্নাবলি প্রদান করা হয়েছিল। প্রশ্নাবলির বিবৃতিটি এমন ছিল, ‘আমি নিজেকে বলি, আমি যে অনুভূতি অনুভব করি তা অনুভব করা উচিত নয়’।
প্রশ্নাবলির বক্তব্যের সঙ্গে কে কতটুকু দৃঢ়ভাবে একমত ছিল তা-ই এখানে দেখা হয়। সাধারণভাবে, যারা তাদের এই অনুভূতিগুলোকে খারাপ মনে করেননি এবং এই বিবৃতিকে সহজভাবে গ্রহণ করেছেন, তাদের মানসিক অবস্থা অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো ছিল।
দ্বিতীয় গবেষণায় ১৫০ জন মানুষ একটি চাকরির সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করে, যার জন্য তারা মাত্র ১০ মিনিট প্রস্তুতির সময় পায়।
তাদেরকে বলা হয়, প্যানেলের সামনে তিন মিনিট দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়ে তাদের শক্তি ও প্রতিভা বর্ণনা করতে হবে, যা রেকর্ড করা হবে। যারা তাদের নেতিবাচক আবেগ টিকিয়ে রাখার প্রবণতা নিয়ে পরীক্ষায় সতর্ক ছিল, তাদের মানসিক উদ্বেগ, যারা সাধারণভাবে আবেগ প্রকাশ করতে চেয়েছে বা গ্রহণ করতে পেরেছেন, তাদের তুলনায় বেশি ছিল।
তিন নম্বর পরীক্ষাটিতে ২০০ জনকে আহ্বান করা হয়, তাদের জীবনে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা কঠিন কোনো অভিজ্ঞতার বিষয়ের, একটি জার্নাল তাদের কাছে রাখার জন্য। ছয় মাস পর, তাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল।
অবাক হওয়ার কিছু নেই, যারা তাদের নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা অস্বীকার করেছেন অথবা লুকানোর চেষ্টা করেছেন তাদের মুড সুইং বা সমস্যার লক্ষণ অন্যদের তুলনায় ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে।
মস বলেন, ‘গবেষকদের জন্য পরবর্তী ধাপ হবে সংস্কৃতি এবং পড়াশোনা নিয়ে কাজ করা, যা তাদের আরো ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে যে কেন কিছু মানুষ অন্যের চেয়ে তাদের আবেগকে গ্রহণ করতে বেশি সক্ষম।’
সূত্র: http://www.konbini.com/ng/ lifestyle/accepting-negative-emotions-better- mental-health-study-finds/
- আবেগতাড়িত মানসিক রোগ বাইপোলার ডিজর্ডার সম্পর্কে জানুন-
- এপোয়েন্টমেন্ট নিতে যোগাযোগ করুন-Prof. Dr. Shalahuddin Qusar Biplob
- চেম্বার – MK4C -মনের খবর ফর কেয়ার
মগবাজার রেইল গেইট।
নাভানা বারেক কারমেলা, লিফটের ৩,
(ইনসাফ কারাকাহ হাসপাতালের বিপরীতে)।
চেম্বার সিরিয়াল – ০১৮৫৮৭২৭০৩০ - আরো পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়া শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যে ভালো না খারাপ