‘থাইরয়েড হরমোনজনিত রোগ- অসংক্রামক রোগ’ এই বিষয়টিকে সামনে রেখে শনিবার (২৫ মে) পালিত হয়েছে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস।
২০০৮ সাল থেকে সারাবিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ কোটি মানুষ বিভিন্ন রকম থাইরয়েড সমস্যা আছে। কিন্তু তাদের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ জানে না তারা থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত থাইরয়েড হরমোনের প্রয়োজন অপরিহার্য। এ হরমোনের তারতম্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, শরীর মোটা হওয়া, ক্ষয় হওয়া, মানসিক বিভিন্ন সমস্যা, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা, হার্টের সমস্যা এবং চোখ ভয়ংকরভাবে বড়ো হয়ে যেতে পারে। বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হিসেবে থাইরয়েড হরমোনের তারতম্যকে দায়ী করা হয়। তাই শারীরিক কার্যক্ষমতা সঠিক রাখার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রায় এ হরমোন শরীরে থাকা জরুরি।
সুস্থ নবজাতকের মায়ের থাইরয়েড হরমোন স্বাভাবিক থাকা জরুরি। নবজাতকের থাইরয়েড হরমোনের অভাব শিশুর স্বাভাবিক শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধিতে পরিণত হতে পারে। শিশুকে এ প্রতিবন্ধকতা থেকে রক্ষা করতে প্রতিটি নবজাতকের জন্মের সাথে সাথে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করা জরুরি।
বিশ্বব্যাপী ১.৬ বিলিয়ন লোক থাইরয়েড রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করা হয়, যেখানে প্রতি আটজন মহিলার মধ্যে একজন তাদের জীবদ্দশায় থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত হন। জন্মগত হাইপোথাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে বিলম্বিত বা কোনো চিকিৎসা না করলে গুরুতর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দেয়। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং লেভোথাইরক্সিনের উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এই স্বাস্থ্য জটিলতাগুলো সহজেই এড়ানো যায়।
বাংলাদেশে থাইরয়েডের চিকিৎসা দীর্ঘদিন থেকে হয়ে আসছে। গত ৩০ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের থাইরয়েড ক্লিনিক থাইরয়েডের সুচিকিৎসা করে আসছে। যেটা দেশের একমাত্র সমন্বিত থাইরয়েড ক্লিনিক। যা নিউক্লিয়ার মেডিসিন এবং সার্জারী বিভাগের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে অত্যন্ত সুনামের সাথে এ দেশের মানুষকে সেবা দিয়ে আসছে। তাছাড়া শুরু থেকেই ACEDB (Association of Clinical Endocrinology & Diabetologist of Bangladesh) বিএসএমএমইউয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এর সাথে সমন্বিতভাবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে এদেশের সাধারণ জনগণকে থাইরয়েড হরমোনের বিভিন্ন ধরনের রোগের ব্যাপারে অবগত করে আসছে।